খেলা
বিশ্লেষণ
‘ফ্রান্সের তারুণ্য বেলজিয়ামের ভয়ের কারণ’
১০ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার
রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, স্পেন ও জার্মানির মতো দল। তবে টিকে আছে ফ্রান্স। যাদের আজ টপকাতে হবে ফুটবল শক্তির হুঙ্কার দেয়া বেলজিয়ামকে। এখনো বিশ্বকাপ না জেতা বেলজিয়াম অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের শক্তিতে অনেকটাই অপ্রতিরোদ্ধ। তাদের সবশেষ শিকার পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। অন্যদিকে ফ্রান্স তারুণ্যের গতিতে এই বিশ্বকাপে পাত্তাই দিচ্ছে না কোনো দলকে। তারা এ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করেছে মেসির আর্জেন্টিনাকে। ল্যাটিন ফুটবলের দুই ধারক পরাস্ত হয়েছে ইউরোপের এ দুই দলের কাছে। এখন এ দুই দলই মুখোমুখি ফাইনালের সীমানা ছুঁতে। আমি প্রথমেই বলে রাখছি, সেমির এ ম্যাচটা অনেকটা ফাইনালের একটি রূপ। যদি ফ্রান্স ও বেলজিয়াম মুখোমুখি না হতো তাহলে এ দুই দলই এবার ফাইনাল খেলতো। তবে, অসম শক্তির দুই দল হলেও, আমি ফ্রান্সকে এগিয়ে রাখবো। কারণ ওদের তারুণ্য আর গতি ভয়ঙ্কর। যা বেলজিয়ামের জন্যও বড় ভয়ের। তবে, এবার যে অঘটন হয়েছে তাতে বলা খুব কঠিন কোন দল জিতবে। আর ইউরোপের দুই দল নিয়ে বলাতো আরো কঠিন।
ফ্রান্স এ পর্যন্ত ৫ পাঁচ ম্যাচ খেলেছে। যেখানে তাদের কাছে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া, পেরু, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে। একমাত্র ড্র করেছে তারা ডেনমার্কের সঙ্গে। তাদের জয়ের ধারা ছিল অনেকটাই এক তরফা। মেসির আর্জেন্টিনা ২ গোল করে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৪ গোল হজম করেছে। মেসিকে এমনভাবে আটকে ফেলেছিল ফ্রান্স সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা তিন গোল দিলেও একটিও মেসির পা থেকে আসেনি। এমন রণ কৌশল ফ্রান্স নিতে পারে বেলজিয়ামকে ঘিরেও। বিশেষ করে বেলজিয়ামের প্রাণ ভোমড়া হ্যাজার্ডকে আটকে দিয়ে লিখতে পারে আরেকেটি জয় গাঁথা। আমি মনে করি ফ্রান্সের এমবাপ্পে, পাগবারা নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া। ওদের কিন্তু এখন শুধু পাওয়ার লড়াই। হ্যাঁ, বেলজিয়ামের অভিজ্ঞ অনেক ফুটবলার আছে। এর মধ্যে ওরা যদি হ্যাজার্ডকে আটকে ফেলে তাহলে বেলজিয়ামের জয় সহজ হবে না। দুই দলের রক্ষণভাগ, মাঝ মাঠ ও আক্রমণ সমানে সমান হলেও, ফ্রান্সের চেয়ে গতির দিক থেকে একটু পিছিয়ে বেলজিয়াম। আপনারা যদি ফ্রান্সের ম্যাচগুলো দেখেন তাদের কিন্তু জিততে এখন পর্যন্ত কোনো বেগ পেতে হয়নি। তবে, বেলজিয়াম সবগুলো ম্যাচ জিতলেও কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। জাপানের বিপক্ষে ম্যাচে হারের শঙ্কাতেই পড়েছিল। ব্রাজিলের বিপক্ষে জিতেছে, কিন্তু ব্রাজিলের যে গোলগুলো ভাগ্যের কারণে হয়নি সেটি হলে পার্থক্য অনেক বড় হতো। তবে, আবারো বলছি দুই দলের এ ম্যাচে থাকবে ফাইনালের চেয়ে বেশি উত্তেজনা।
রাশিয়া বিশ্বকাপে দেখা গেছে ইউরোপের দলগুলোর চূড়ান্ত উত্থান। আমি মনে করি এ বিশ্বকাপ জন্ম দিয়েছে অনেক অঘটনের। যে কারণে চারটিই ইউরোপের দল সেমিফাইনালে। কোনো বড় দলের পক্ষে কথা বললে দেখেছি সেটির উল্টোটাই হয়েছে। তাই বেলজিয়াম ও ফ্রান্স ম্যাচে কে জিতবে তা বলা অনেক কঠিন। তবে, এটি বলতে পারি এ দুই দল থেকে যেই ফাইনালে যাবে তাদের হাতে শিরোপা উঠার সম্ভাবনাই বেশি।
‘ইংল্যান্ডের উপর ভরসা রাখা কঠিন’
১৯৬৬ পর ফাইনালে উঠার দারুণ সুযোগ ইংল্যান্ডের। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার সুযোগ প্রথমবার ফাইনাল খেলার। এমন লড়াইয়ে আমি কোনোভাবেই ইংল্যান্ডের উপর ভরসা রাখতে পারছি না। ওরা এখন পর্যন্ত যে ফুটবল খেলেছে সেখানে ধারাবাহিকতা ছিল না। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে ইংলিশরা সুইডেনের বিপক্ষে যা খেলেছে তা আসলে কারোরই ভালো লাগেনি। ওদের কখনো আক্রমণ ভালো মনে হয়। আবার মাঝ মাঠেও ভালো করেছে। ডিফেন্সেও ভালো করেছে। কিন্তু তিনটি বিভাগ একই সঙ্গে ভালো করেনি। হ্যাঁ, ওদের অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়ও রয়েছে এবার। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার মতো ওরা ধারাবাহিক নয়। ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষণভাগ অসাধারণ। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে ওদের শক্তির চূড়ান্ত রূপ দেখেছেন। এমনকি টাইব্রেকারেও ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকবে ক্রোয়েশিয়া। তবে, ইংল্যান্ড সব ধরনের চেষ্টা করবে ফাইনালে যাওয়ার। ইংলিশরা এ ধরনের ম্যাচে কাউকে ছাড় দেবে না।
অনুলিখন: ইশতিয়াক পারভেজ
ফ্রান্স এ পর্যন্ত ৫ পাঁচ ম্যাচ খেলেছে। যেখানে তাদের কাছে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া, পেরু, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে। একমাত্র ড্র করেছে তারা ডেনমার্কের সঙ্গে। তাদের জয়ের ধারা ছিল অনেকটাই এক তরফা। মেসির আর্জেন্টিনা ২ গোল করে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৪ গোল হজম করেছে। মেসিকে এমনভাবে আটকে ফেলেছিল ফ্রান্স সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা তিন গোল দিলেও একটিও মেসির পা থেকে আসেনি। এমন রণ কৌশল ফ্রান্স নিতে পারে বেলজিয়ামকে ঘিরেও। বিশেষ করে বেলজিয়ামের প্রাণ ভোমড়া হ্যাজার্ডকে আটকে দিয়ে লিখতে পারে আরেকেটি জয় গাঁথা। আমি মনে করি ফ্রান্সের এমবাপ্পে, পাগবারা নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া। ওদের কিন্তু এখন শুধু পাওয়ার লড়াই। হ্যাঁ, বেলজিয়ামের অভিজ্ঞ অনেক ফুটবলার আছে। এর মধ্যে ওরা যদি হ্যাজার্ডকে আটকে ফেলে তাহলে বেলজিয়ামের জয় সহজ হবে না। দুই দলের রক্ষণভাগ, মাঝ মাঠ ও আক্রমণ সমানে সমান হলেও, ফ্রান্সের চেয়ে গতির দিক থেকে একটু পিছিয়ে বেলজিয়াম। আপনারা যদি ফ্রান্সের ম্যাচগুলো দেখেন তাদের কিন্তু জিততে এখন পর্যন্ত কোনো বেগ পেতে হয়নি। তবে, বেলজিয়াম সবগুলো ম্যাচ জিতলেও কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। জাপানের বিপক্ষে ম্যাচে হারের শঙ্কাতেই পড়েছিল। ব্রাজিলের বিপক্ষে জিতেছে, কিন্তু ব্রাজিলের যে গোলগুলো ভাগ্যের কারণে হয়নি সেটি হলে পার্থক্য অনেক বড় হতো। তবে, আবারো বলছি দুই দলের এ ম্যাচে থাকবে ফাইনালের চেয়ে বেশি উত্তেজনা।
রাশিয়া বিশ্বকাপে দেখা গেছে ইউরোপের দলগুলোর চূড়ান্ত উত্থান। আমি মনে করি এ বিশ্বকাপ জন্ম দিয়েছে অনেক অঘটনের। যে কারণে চারটিই ইউরোপের দল সেমিফাইনালে। কোনো বড় দলের পক্ষে কথা বললে দেখেছি সেটির উল্টোটাই হয়েছে। তাই বেলজিয়াম ও ফ্রান্স ম্যাচে কে জিতবে তা বলা অনেক কঠিন। তবে, এটি বলতে পারি এ দুই দল থেকে যেই ফাইনালে যাবে তাদের হাতে শিরোপা উঠার সম্ভাবনাই বেশি।
‘ইংল্যান্ডের উপর ভরসা রাখা কঠিন’
১৯৬৬ পর ফাইনালে উঠার দারুণ সুযোগ ইংল্যান্ডের। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার সুযোগ প্রথমবার ফাইনাল খেলার। এমন লড়াইয়ে আমি কোনোভাবেই ইংল্যান্ডের উপর ভরসা রাখতে পারছি না। ওরা এখন পর্যন্ত যে ফুটবল খেলেছে সেখানে ধারাবাহিকতা ছিল না। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে ইংলিশরা সুইডেনের বিপক্ষে যা খেলেছে তা আসলে কারোরই ভালো লাগেনি। ওদের কখনো আক্রমণ ভালো মনে হয়। আবার মাঝ মাঠেও ভালো করেছে। ডিফেন্সেও ভালো করেছে। কিন্তু তিনটি বিভাগ একই সঙ্গে ভালো করেনি। হ্যাঁ, ওদের অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়ও রয়েছে এবার। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার মতো ওরা ধারাবাহিক নয়। ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষণভাগ অসাধারণ। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে ওদের শক্তির চূড়ান্ত রূপ দেখেছেন। এমনকি টাইব্রেকারেও ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকবে ক্রোয়েশিয়া। তবে, ইংল্যান্ড সব ধরনের চেষ্টা করবে ফাইনালে যাওয়ার। ইংলিশরা এ ধরনের ম্যাচে কাউকে ছাড় দেবে না।
অনুলিখন: ইশতিয়াক পারভেজ