খেলা

অথচ দেশে ঘৃণিত ক্রোয়েশিয়া দল!

মাহমুদ ফেরদৌস

১০ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন


ক্রোয়েশিয়ায় এত খেলোয়াড় থাকতে বিশ্বকাপে জয়-পরাজয় নির্ধারক পেনাল্টি মিস করতে হলো লুকা মদ্রিচকে! ১লা জুলাই ডেনমার্কের সঙ্গে নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি পেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। তখন ১-১ গোলে সমতায় ছিল দু’দল। ওই পেনাল্টিতে গোল দিতে পারলেই হয়তো জয় পেয়ে যেত ক্রোয়েশিয়া। কেননা খেলা চলছিল তখন অতিরিক্ত সময়ের; বাকিও ছিল মাত্র ৪ মিনিট। পরে অবশ্য টাইব্রেকারে ম্যাচটি জিতে ক্রোয়েশিয়া।
তবে পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
এ ধরনের অন্তিম মুহূর্তে কোনো খেলোয়াড় যদি পেনাল্টি মিস করে বসেন, তখন সচরাচর ভক্তরা হতাশ হন। তবে কিছুক্ষণ বাদেই ওই খেলোয়াড়ের জন্য সহানুভূতির জন্ম নেয়। তবে লুকা মদ্রিচের ব্যাপারটা ছিল একেবারে ভিন্ন।
দলের ক্যাপটেন তিনি। ক্লাবে তিনি খেলেন বর্তমানের ও ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। তাকে ভাবা হয় বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে। আর ক্রোয়েশিয়া এখন খেলবে সেমিফাইনাল। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম দলটি বিশ্বকাপে এত ভালো করছে। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে গিয়ে বা চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রাক্তন রেকর্ড ভাঙার সুযোগ তো আছেই। সেই হিসেবে ক্রোয়েশিয়ায় মদ্রিচদের পাওয়ার কথা ছিল নায়কোচিত মর্যাদা।
এমনকি ২০ বছর আগের ওই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের নায়কেরা ক্রোয়েশিয়ায় এখনও আইকনের মর্যাদা পান। অথচ, বর্তমান বিশ্বকাপ দলের অনেক সদস্য, বিশেষ করে মদ্রিচ, দেশে যতটা না ভালোবাসার পাত্র, তার চেয়ে বেশি ঘৃণিত!
ফরেইন পলিসি ম্যাগাজিনের নিবন্ধে উঠে এসেছে এই কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য। এতে বলা হয়, ভক্তদের ক্রোধের মূল লক্ষ্যবস্তু হলেন দ্রাভকো মামিচ। তিনি ক্রোয়েশিয়ান ক্রীড়াঙ্গনে একসময় সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও বৈচিত্র্যময় ব্যক্তিত্বদের অন্যতম ছিলেন। এই বছরের জুন মাসে একটি প্রতারণার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন মামিচ। ওই মামলার সঙ্গে মদ্রিচেরও সম্পর্ক ছিল।
২০০৮ সালে স্থানীয় ক্লাব ডায়নামো জাগরেভ থেকে বৃটিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারে মদ্রিচের দলবদল এবং ২০১০ সালে ডায়নামো থেকে ফ্রান্সের অলিম্পিক লিয়োনাসে দেজান লভরেনের দলবদলই ছিল ওই মামলার মূল ইস্যু। সমস্যাটা হলো, দ্রাভকো মামিচ একাধারে ডায়নামো জাগরেভের প্রধান নির্বাহী ছিলেন, আবার মদ্রিচ ও লভরেনের এজেন্টও ছিলেন! স্বাভাবিকভাবেই তার এই দুই ভূমিকা পরস্পরবিরোধী। অভিযোগ উঠে, ওই দুই দলবদল থেকে অঢেল অর্থের ভাগ পেয়েছেন মামিচ।
মামিচের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ ছিল যে, ডায়নামো জাগরেভ থেকে খেলোয়াড়দের দলবদল করিয়ে তিনি অবৈধভাবে ব্যক্তিগত লাভ ঘরে তুলেছেন। এখানে সমস্যাটা হলো, ডায়নামো কোনো ব্যক্তি-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নয়। এর মালিক হলো ভক্তরা! অনেকটা সমিতির মতো চলে এই ক্লাব। মামিচ এখানে যেই কাজটা করেছেন সেটা হলো, তিনি ক্রোয়েশিয়ান তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়দের বিদেশি ক্লাবে চুক্তি পাইয়ে দিতে সহায়তা করতেন। বিনিময়ে তিনি ওই খেলোয়াড়দের প্রাপ্য অর্থ বা বেতন থেকে অর্ধেক অর্থ নিতেন! কিন্তু তিনি নিজে একটি ক্লাবের কর্তা; তার ভূমিকা হওয়া উচিত ছিল, তিনি নিজ ক্লাবের স্বার্থ দেখবেন। অথচ, তিনি ব্যক্তিগত লাভের জন্য ক্লাবের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে খেলোয়াড়দের বেচতে সহায়তা করতেন। এজন্যই প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
মমিচের বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন মদ্রিচ। নিজের দেওয়া সাক্ষ্যে মদ্রিচ প্রথমে বলেছিলেন, মামিচের ছেলে বা ভাইকে নিয়ে তিনি ব্যাংকে যেতেন; আর নিজের হাতে লাখ লাখ ডলার উত্তোলন করে তা নগদে তাদের হাতে তুলে দিতেন। এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। ভক্তরা বরং এক প্রভাবশালী ফুটবল কর্তার শোষণের শিকার হওয়ায় মদ্রিচ ও লভরেনের প্রতি সহানুভূতিশীলই ছিলেন। কিন্তু সমস্যাটা হলো, পরে মামিচের বিরুদ্ধে দেওয়া এই বক্তব্য থেকে সরে আসেন তারা! তখনই মুহূর্তেই ভীষণ অজনপ্রিয় হয়ে যান মদ্রিচ ও লভরেন। কারণ, মামিচ তখন দেশের প্রায় প্রত্যেক ফুটবল ভক্তের কাছে ঘৃণিত। আর মদ্রিচ ও লভরেন কিনা তাকে রক্ষা করতেই বক্তব্য পালটে ফেলেছেন!
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত শুনানিতে দেখা যায়, বিচারক প্রথমে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী মদ্রিচকে তার পূর্বতন বিবৃতি দেখান। ওই বিবৃতিতে মামিচের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মদ্রিচ। কিন্তু সেদিন আদালতের সামনে আমতা আমতা করে নিজের পুরোনো বক্তব্য থেকে সরে আসেন মদ্রিচ। এটি ছিল ২০১৭ সালের ঘটনা।
এরপর মদ্রিচ ও লভরেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। ভাবা হয়, একজন ঘৃণিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বাঁচাতেই তারা মিথ্যা বলছেন। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া হয় ভয়াবহ। যাদারে একটি হোটেলে নব্বইয়ের দশকে শরণার্থী হিসেবে থাকতে হয়েছিল মদ্রিচের পরিবারকে। সেই হোটেলের দেওয়ালে কেউ একজন লিখে যায়, ‘লুকা (মদ্রিচের ডাক নাম), এই একটা দিন তোমার অনেকদিন মনে থাকবে।’
ডায়নামো জাগরেভ দলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হাজদুক স্প্লিট দলের ভক্তরা মদ্রিচ-বিরোধী স্লোগানও তোলে! যদিও মদ্রিচ ডায়নামো ছেড়েছেন এক দশক আগে, আর এখন খেলেন বিদেশের এক ক্লাবে! মূলত, মামিচকে দমানোর সুযোগ নষ্ট করে দেওয়ায় মদ্রিচের ওপর এত ক্ষোভ ভক্তদের।
তবে মদ্রিচের পল্টি সত্ত্বেও, মামিচকে সাড়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয় একটি আদালত। মামিচের ভাই জোরান, যিনি নিজেও ডায়নামোর সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ, পান ৫ বছরের সাজা। তবে মামিচ রায় ঘোষণার আগেই পালিয়ে যান প্রতিবেশী দেশ বসনিয়া ও হার্জেগোভেনিয়ায়।
ফুটবল ক্রোয়েশিয়ায় স্রেফ একটি খেলা নয়, বরং ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর মামিচ কেবল একজন ক্রীড়া নির্বাহীই ছিলেন না। ডায়নামো জাগরেভের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক ও উঠাবসা ছিল বিচারক, রাজনীতিক, গণমাধ্যম প্রধান ও পুলিশের সঙ্গে। আর ডায়নামো জাগরেভ এতটাই ক্ষমতার কেন্দ্রের নিকটে ছিল, এটি অনেক সময় ছিল জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও মনোভাবের প্রতীক। ফলে এটি আর দশটা সাদামাটা ফুটবল ক্লাব ছিল না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্শাল টিটো যখন যুগোস্লাভিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করলেন, তখন ডায়নামোর সঙ্গে সার্বিয়ার বেলগ্রেড-ভিত্তিক রেড স্টার ও পার্টিজান দলের খেলা ছিল ভয়াবহ জাতীয়তাবাদী বৈরিতার বিষয়। এসব খেলাকে ক্রোটসরা দেখতো দেশে সার্ব আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শনের সুযোগ হিসেবে। ইউরোপজুড়ে ফুটবল ক্লাবে-ক্লাবে যে দ্বৈরথ, তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর ছিল ডায়নামো ও রেড স্টারের মধ্যকার ম্যাচ। স্পেনে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা, ইতালিতে রোমা ও লাজিও, স্কটল্যান্ডে গ্লাসগো সেলটিক ও রেঞ্জার্সের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাও এতটা তীব্র ছিল না।
১৯৯০ সালের ১৩ই মে, ডায়নামো ও রেড স্টারের মধ্যকার একটি ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ভক্তরা মাঠে নেমে সহিংসতায় লিপ্ত হন। সেদিন সার্বিয়ান এক পুলিশ কর্মকর্তার আঘাত পেয়েও ডায়নামোর তারকা খেলোয়াড় জভোনিমির বোবান পালটা লড়াই করেছেন। সার্বিয়ানপন্থী বলে পরিচিত পুলিশের এক সদস্যকে তিনি কষে লাথি মেরে যে খ্যাতি তিনি পেয়েছিলেন, সেটা তিনি আগে-পরে কোনো গোলও করে পাননি।
১৯৯২ সালে, যুগোস্লোভিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা ও সার্বদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে, ক্রোয়েশিয়ান জাতীয়তাবাদ ছিল তুঙ্গে। তখন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঞ্জো টাডজম্যান চাইলেন ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ক্লাবটির নাম ডায়নামো পরিবর্তন করে হাস্ক গ্রাদজানস্কি রাখবেন। প্রেসিডেন্ট মনে করতেন ডায়নামো হলো কম্যুনিস্ট যুগের প্রতীক। আর নবস্বাধীন দেশে নিজের ব্যক্তিগত ছাপ রাখারও ইচ্ছা ছিল তার। হাস্ক গ্রাদজানস্কির প্রতি টাডজম্যান সরকারের সমর্থন ছিল অসীম। প্রেসিডেন্ট নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিরোস্লাভ ব্লাজেভিচকে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও কোচ হিসেবে নিয়োগ দেন। ব্লাজেভিচই পরে ক্রোয়েশিয়াকে ১৯৯৮ সেমিফাইনালে তুলেছিলেন।
তবে সমস্যা ছিল একটাই। ডায়নামো ক্লাবের অনেক একনিষ্ঠ ভক্ত, যারা ১৯৯০ সালের ওই দাঙ্গায়ও অংশ নিয়েছিলেন, তাদের কাছে নতুন নামটা খুবই হাস্যকর মনে হয়। পরে ১৯৯৩ সালে ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে ক্রোয়েশিয়া জাগরেভ রাখা হয়। এবার টাডজম্যানের যুক্তি ছিল অকাট্য। তিনি বলেন, ক্রোয়েশিয়ার শীর্ষ ক্লাব এখন থেকে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সুতরাং, ক্লাবের নাম ক্রোয়েশিয়া জাগরেভ রাখা হলে ক্লাবটি বিদেশে দেশের দূতের ভূমিকা পালন করবে। তবে টাডজম্যানের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে ফের ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে ডায়নামো জাগরেভ রাখা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবশ্য ডায়নামো ইউরোপিয়ান ফুটবলে দ্যুতি ছড়াতে পারেনি। তবে ইউরোপের কিছু সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের উত্থান এখানেই, যারা পরে খেলেছেন ইউরোপের সেরা সব ক্লাবে। এদের মধ্যে আছেন মদ্রিচ, লভরেন ও ইতালির শীর্ষস্থানীয় ক্লাব জুভেন্টাসের স্ট্রাইকার মারিও মান্দজুকিচ। এদের সবার সঙ্গেই কিন্তু মামিচের সংশ্লিষ্টতা আছে।
তবে ক্রোয়েশিয়া দলের সবাই এমন ব্রাত্য নয়। বর্তমান দলের অন্তত একজন তারকা খেলোয়াড়, আন্দ্রেজ ক্রামারিচ প্রকাশ্যে মামিচের দুর্নীতির নিন্দা জানিয়েছেন। আন্দ্রেজ ক্রামারিচ যখন তরুণ ছিলেন তখন ডায়নামোতে খেলতেন। সেই সময় তিনি মামিচের সঙ্গে ভবিষ্যৎ আয় ভাগাভাগির চুক্তিতে আসতে অস্বীকৃতি জানান। ২০১৩ সালে, ক্রামারিচ প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, এ কারণে তাকে ডায়নামোতে বেশিক্ষণ খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে তখন ক্রামারিচ ডায়নামোতে একঘরে হয়ে পড়েন। তিনি ওই বছরই ক্লাবটি ছেড়ে দেন। পরে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দলে খেলা শেষে বর্তমানে তিনি খেলছেন জার্মানির হফেনহেইমে। এছাড়া জাতীয় দলেও এখন তার আসন পাকাপোক্ত।
মামিচের দাবির মুখে ক্রামারিচের নতি স্বীকার না করা এখন ক্রোয়েশিয়া জুড়ে অনেক প্রশংসিত হচ্ছে। অনেকের মতে, এমনই হওয়া উচিত ক্রোয়েশিয়ার প্রত্যেক খেলোয়াড়। তবে বাস্তবতা হলো, ক্রামারিচ স্রেফ একজন ব্যতিক্রম।
ডেনমার্কের বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর ম্যাচে মদ্রিচ যখন পেনাল্টি মিস করলেন, খেলা তখন ট্রাইবেকারে গড়ালো। তখন ক্রামারিচ সহজেই নিজের গোলটি করলেন। এরপর মদ্রিচ যখন শ্যুট নিতে আসলেন তখন গোটা স্টেডিয়াম আর টেলিভিশনের কোটি দর্শক উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছিলেন: মদ্রিচ কি ১৫ মিনিট আগের ভুলটির পুনরাবৃত্তি করবেন নাকি গোল করে ক্ষতি পুষিয়ে দেবেন? ডেনমার্কের কোচ সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, এ ধরনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় পেনাল্টি শ্যুটআউট যেই খেলোয়াড় করবেন তার শরীরে এতটাই আড্রেনাইল উৎপন্ন হয় যতটা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা কোনো ব্যক্তির হয়। তবে দ্বিতীয়বার মদ্রিচ সফলভাবে গোল করেন। ক্রোয়েশিয়ান ভক্তরাও স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়েন। ১৫ মিনিট আগেও মদ্রিচ তাদের হতাশ করেছিলেন; হতাশ করেছিলেন আদালতে সাক্ষ্য দিতে গেলেও, তবে এই বার অন্তত স্বস্তির সুবাতাস এনে দিতে পেরেছেন।
ক্রোয়েশিয়ার কোচ ওই ম্যাচ শেষে তাই প্রশ্ন ছোঁড়েন, ‘আপনারা কেউ একবার চিন্তা করতে পারেন, যদি সে দ্বিতীয়বারও ব্যর্থ হতো, তাহলে কী ঘটতো?’


   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status