বাংলারজমিন
রিকশাচালককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিলেন মালিক
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
১০ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
নাম মো. আবদুল হালিম। রিকশা চালানো তার একমাত্র পেশা। দৈনিক দুইশ’ টাকায় ভাড়ায় চালাতেন রিকশা । মালিকের হাতে জমার টাকা বুঝিয়ে দিয়ে অবশিষ্ট যা থাকে ওই টাকায় চলে তার সংসার। অসুস্থ থাকায় দুইদিন রিকশা চালাতে পারেনি হালিম। রিকশা চালাতে না পারলেও জমার টাকা পরিশোধ বাধ্যতামূলক। ওই দুইদিনের জমার ৪শ’ টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় রিকশার মালিক শফুরউদ্দিন শপ্পা তার ছেলেকে নিয়ে দিনমজুর চালককে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দু’হাত ও দু’পা ভেঙে রাস্তায় ফেলে দেয়। এ মধ্যযুগীয় অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে বন্দরের মালিভিটা গ্রামে। সোমবার রাতে হালিমের হাত-পায়ের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় দি বারাকাহ্ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে রিকশাচালক হালিম। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে শফুরউদ্দিন।
শফুরউদ্দিন জানান, আমার রিকশা চুরি করে নিয়ে গেছে। এজন্য তাকে মেরেছি। মেরেছি বলেই স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশ হবে। মাতবরদের পরামর্শে আমি তার চিকিৎসার চালিয়ে যাচ্ছি। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন মণ্ডল জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শফুরউদ্দিন শপ্পার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় চাঁদাবাজি, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও জালিয়াতি মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
শফুরউদ্দিন জানান, আমার রিকশা চুরি করে নিয়ে গেছে। এজন্য তাকে মেরেছি। মেরেছি বলেই স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশ হবে। মাতবরদের পরামর্শে আমি তার চিকিৎসার চালিয়ে যাচ্ছি। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন মণ্ডল জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শফুরউদ্দিন শপ্পার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় চাঁদাবাজি, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও জালিয়াতি মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।