খালেদার রিভিউ বিষয়ে আদেশ ১২ই জুলাই

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিল ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগের দেয়া আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি গতকাল শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে আদেশের জন্য ১২ই জুলাই (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগ। সর্বোচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এই মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আদেশ গত ১৬ই মে বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ৩১শে জুলাইয়ের পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ১
মধ্যে খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তির আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। আপিল নিষ্পত্তির এ সময়সীমা পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত ২৫শে জুন আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা।
এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য ১২ই জুলাই (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল শুনানিও ওই দিন হবে। এ ছাড়া এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির আবেদন ও তার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনের ওপরও ১২ই জুলাই শুনানি হবে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানির দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার করা আইনজীবীদের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত এসব বিষয়ে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছর ও অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদ- দেয় বিচারিক আদালত। পরে রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের কারাদ-প্রাপ্ত কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ হাইকোর্টে আপিল করেন।