এক্সক্লুসিভ
গতি ও কৌশলের মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী হবে
১০ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
পিটার্সবুর্গের রেস্ট্রভস্কি স্টেডিয়ামে আজ গতি ও কৌশলের এক মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। বিশ্বকাপে অল ইউরোপিয়ান সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে রেড ডেভিলদের বিপক্ষে দ্য ব্লুজদের এগিয়ে রাখছেন তিনি। আমিনুল বলেন, রাশিয়া বিশ্বকাপের দুইটি অন্যতম ব্যালেন্স টিম হলো ফ্রান্স ও বেলজিয়াম। যোগ্যতর দল হিসেবেই তারা উঠে এসেছে সেমিফাইনালে। আজকের ম্যাচটি জিততে পারলেই বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরার চূড়ান্ত লড়াই। বাংলায় জানবাজি বলে যে শব্দটি রয়েছে সেটার বাস্তবপ্রয়োগ হয়তো আজ দেখা যাবে রেস্ট্রভস্কি স্টেডিয়ামে।
ফ্রান্সকে এগিয়ে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করে আমিনুল বলেন, ফ্রান্সের এ দলটির টোটাল টিম কম্বিনেশন ভালো। তাদের খেলোয়াড়রা ইয়াং এবং ডায়নামিক। জোনাল মার্কিংয়ে তার বেশ কার্যকর। দেশমের শিষ্যদের বল পাসিং ক্ষমতা ও অ্যাকুরিসি যেমন ভালো তেমনি তাদের ট্রানজিকশনও দারুণ। বল পাস দেয়ার পর পরস্পরের পজিশন কোথায় হবে সেটা নিয়ে তাদের মধ্যে রয়েছে দারুণ বোঝাপড়া। সবচেয়ে বড় কথা তারা ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত একই রিদমে খেলতে পারে। সবমিলিয়ে তারা যে শিরোপার দাবিদার সেটা প্রতি ম্যাচেই জোরালো করে তুলছেন।
আমিনুল বলেন, গ্রুপে পর্বে পানামা, তিউনিশিয়ার পাশাপাশি শিরোপার অন্যতম দাবিদার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নকআউটে উত্তীর্ণ হয়েছে বেলজিয়াম। দ্বিতীয়পর্বে জাপানের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও লড়াকু মানসিকতার মাধ্যমে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। কোয়ার্টারে তাদের হাতেই বিদায় ঘটেছে চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে ব্যালেন্স টিম ও বিশ্বফুটবলের শীর্ষ পরাশক্তি ব্রাজিলের। বিগত ২৪টি ম্যাচে হারেনি তারা। ভালো খেলোয়াড়দের সন্নিবেশ ও তাদের মধ্যে সমন্বয় ছাড়া এমন ধারাবাহিকতা সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই তারা চূড়ান্ত লড়াইয়ের মঞ্চ ফাইনালে যেতে পারে এমন সম্ভাবনা নিয়ে কেউ দ্বিমত করবে না। অন্যদিকে ফ্রান্স প্রথম পর্বে কিছুটা নড়বড়ে ছিল। অস্ট্রেলিয়া, পেরুর বিপক্ষে জয় পেলেও ডেনমার্কের সঙ্গে করেছিল ড্র। কিন্তু এই দলটিই বদলে গেছে নকআউট পর্বে। দ্বিতীয় রাউন্ডে তারা চারবার বল জড়িয়েছে বিশ্ব ফুটবলের প্রধানতম সমর্থকনির্ভর দল ও অন্যতম পরাশক্তি আর্জেন্টিনার জালে। কোয়ার্টারে তাদের শিকার হয়েছে লাতিনের আরেক প্রতিষ্ঠিত ফুটবলশক্তি উরুগুয়ে। আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা ফ্রান্সের তরুণ তুর্কিদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি।
আমিনুল বলেন, স্বদেশী শীর্ষ ক্লাব পিএসজিতে নেইমার-কাভানির সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পে এ বিশ্বকাপে তার জাত চিনিয়েছেন। দুরন্ত গতি আর দারুণ ফিনিশিং ক্ষমতা নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা পারফরমারে পরিণত হয়েছেন। উরুগুয়ের বিপক্ষে যে দুর্দান্ত সেভ করেছে ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস এরপর তার ওপর আস্থা রাখাই যায়। মাঠে নিজেদের অর্ধে উমতিতি, কন্তের মতো নির্ভরযোগ্য প্রহরী যেমন ফ্রান্সের আছে, তেমনি প্রতিপক্ষের অর্ধে রয়েছেন গ্রিজম্যান, পগবা, অলিভার জিরু, মাতাউদির মতো ভয়ঙ্কর ও সুযোগ সন্ধানীরা। ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড জিরু এখনও গোল করতে পারেনি। তবে প্রতিটি ম্যাচেই তিনি কার্যকরভাবে গোলে এসিস্ট করে যাচ্ছেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে বেলজিয়ামের রক্ষণকে তাই সত্যিকারের পরীক্ষাটি দিতে হবে। অন্যদিকে বেলজিয়াম ওয়েল কম্বাইন্ড একটি দল। বেলজিয়ামের গোলপোস্ট পাহারা দেন একজন থিবো কুরতোয়া। রক্ষণ দেয়াল ভিনসেন্ট কোম্পানি ও মুনিয়ের, ফেল্লাইনি, হ্যাজার্ড ও ডি ব্রুইনোর মতো মধ্যমাঠের সেনানি আর লুকাকুর মতো কার্যকর ফিনিশার নিয়ে বেলজিয়াম কেনই বা ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে পারবে না। হ্যাজার্ড ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দিয়েই বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি নেতা। আর লুকাকু যে দানবীয় শক্তি নিয়ে ফুটবল খেলে সেটা যেকোনো রক্ষণের জন্যই আতঙ্কের। আমিনুল বলেন, ফুটবল গোলের খেলা। বেলজিয়াম দল নিয়মিত গোল পাচ্ছে। ফুটবল ভাগ্যের খেলা। প্রতিটি ম্যাচে ভাগ্যও তাদের ফেভার করছে। সেমিতেও তারা ভাগ্যের ফেভার পেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
আমিনুল বলেন, ফ্রান্স-বেলজিয়াম ম্যাচে ফলাফল নির্ধারণে একটি বড় ভূমিকা থাকবে দুই কোচের কৌশলের। দিদিয়ের দেশম দীর্ঘদিন ধরেই ফ্রান্স দলের সঙ্গে রয়েছেন। এই দলটিকে বলতে গেলে তিনিই গড়ে তুলেছেন। তার খেলোয়াড়ি অভিজ্ঞতা যেমন সমৃদ্ধ তেমনি তার হাতে রয়েছে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার মতো অপশন। অন্যদিকে বেলজিয়ামের কোচও তার যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। নিশ্চয়ই ফ্রান্সকে রুখে দেয়ার কৌশল তিনি এঁটেছেন। ডিফেন্সের জায়গায় ফ্রান্সের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে হবে।
ফ্রান্সকে এগিয়ে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করে আমিনুল বলেন, ফ্রান্সের এ দলটির টোটাল টিম কম্বিনেশন ভালো। তাদের খেলোয়াড়রা ইয়াং এবং ডায়নামিক। জোনাল মার্কিংয়ে তার বেশ কার্যকর। দেশমের শিষ্যদের বল পাসিং ক্ষমতা ও অ্যাকুরিসি যেমন ভালো তেমনি তাদের ট্রানজিকশনও দারুণ। বল পাস দেয়ার পর পরস্পরের পজিশন কোথায় হবে সেটা নিয়ে তাদের মধ্যে রয়েছে দারুণ বোঝাপড়া। সবচেয়ে বড় কথা তারা ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত একই রিদমে খেলতে পারে। সবমিলিয়ে তারা যে শিরোপার দাবিদার সেটা প্রতি ম্যাচেই জোরালো করে তুলছেন।
আমিনুল বলেন, গ্রুপে পর্বে পানামা, তিউনিশিয়ার পাশাপাশি শিরোপার অন্যতম দাবিদার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নকআউটে উত্তীর্ণ হয়েছে বেলজিয়াম। দ্বিতীয়পর্বে জাপানের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও লড়াকু মানসিকতার মাধ্যমে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। কোয়ার্টারে তাদের হাতেই বিদায় ঘটেছে চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে ব্যালেন্স টিম ও বিশ্বফুটবলের শীর্ষ পরাশক্তি ব্রাজিলের। বিগত ২৪টি ম্যাচে হারেনি তারা। ভালো খেলোয়াড়দের সন্নিবেশ ও তাদের মধ্যে সমন্বয় ছাড়া এমন ধারাবাহিকতা সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই তারা চূড়ান্ত লড়াইয়ের মঞ্চ ফাইনালে যেতে পারে এমন সম্ভাবনা নিয়ে কেউ দ্বিমত করবে না। অন্যদিকে ফ্রান্স প্রথম পর্বে কিছুটা নড়বড়ে ছিল। অস্ট্রেলিয়া, পেরুর বিপক্ষে জয় পেলেও ডেনমার্কের সঙ্গে করেছিল ড্র। কিন্তু এই দলটিই বদলে গেছে নকআউট পর্বে। দ্বিতীয় রাউন্ডে তারা চারবার বল জড়িয়েছে বিশ্ব ফুটবলের প্রধানতম সমর্থকনির্ভর দল ও অন্যতম পরাশক্তি আর্জেন্টিনার জালে। কোয়ার্টারে তাদের শিকার হয়েছে লাতিনের আরেক প্রতিষ্ঠিত ফুটবলশক্তি উরুগুয়ে। আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা ফ্রান্সের তরুণ তুর্কিদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি।
আমিনুল বলেন, স্বদেশী শীর্ষ ক্লাব পিএসজিতে নেইমার-কাভানির সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পে এ বিশ্বকাপে তার জাত চিনিয়েছেন। দুরন্ত গতি আর দারুণ ফিনিশিং ক্ষমতা নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা পারফরমারে পরিণত হয়েছেন। উরুগুয়ের বিপক্ষে যে দুর্দান্ত সেভ করেছে ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস এরপর তার ওপর আস্থা রাখাই যায়। মাঠে নিজেদের অর্ধে উমতিতি, কন্তের মতো নির্ভরযোগ্য প্রহরী যেমন ফ্রান্সের আছে, তেমনি প্রতিপক্ষের অর্ধে রয়েছেন গ্রিজম্যান, পগবা, অলিভার জিরু, মাতাউদির মতো ভয়ঙ্কর ও সুযোগ সন্ধানীরা। ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড জিরু এখনও গোল করতে পারেনি। তবে প্রতিটি ম্যাচেই তিনি কার্যকরভাবে গোলে এসিস্ট করে যাচ্ছেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে বেলজিয়ামের রক্ষণকে তাই সত্যিকারের পরীক্ষাটি দিতে হবে। অন্যদিকে বেলজিয়াম ওয়েল কম্বাইন্ড একটি দল। বেলজিয়ামের গোলপোস্ট পাহারা দেন একজন থিবো কুরতোয়া। রক্ষণ দেয়াল ভিনসেন্ট কোম্পানি ও মুনিয়ের, ফেল্লাইনি, হ্যাজার্ড ও ডি ব্রুইনোর মতো মধ্যমাঠের সেনানি আর লুকাকুর মতো কার্যকর ফিনিশার নিয়ে বেলজিয়াম কেনই বা ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে পারবে না। হ্যাজার্ড ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দিয়েই বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি নেতা। আর লুকাকু যে দানবীয় শক্তি নিয়ে ফুটবল খেলে সেটা যেকোনো রক্ষণের জন্যই আতঙ্কের। আমিনুল বলেন, ফুটবল গোলের খেলা। বেলজিয়াম দল নিয়মিত গোল পাচ্ছে। ফুটবল ভাগ্যের খেলা। প্রতিটি ম্যাচে ভাগ্যও তাদের ফেভার করছে। সেমিতেও তারা ভাগ্যের ফেভার পেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
আমিনুল বলেন, ফ্রান্স-বেলজিয়াম ম্যাচে ফলাফল নির্ধারণে একটি বড় ভূমিকা থাকবে দুই কোচের কৌশলের। দিদিয়ের দেশম দীর্ঘদিন ধরেই ফ্রান্স দলের সঙ্গে রয়েছেন। এই দলটিকে বলতে গেলে তিনিই গড়ে তুলেছেন। তার খেলোয়াড়ি অভিজ্ঞতা যেমন সমৃদ্ধ তেমনি তার হাতে রয়েছে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার মতো অপশন। অন্যদিকে বেলজিয়ামের কোচও তার যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। নিশ্চয়ই ফ্রান্সকে রুখে দেয়ার কৌশল তিনি এঁটেছেন। ডিফেন্সের জায়গায় ফ্রান্সের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে হবে।