বাংলারজমিন
‘আমি কি জানতাম এই বুড়োর সঙ্গে প্রেম করেছি’
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১০ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
চুনারুঘাটের কাজিশাইল গ্রামের প্রেমিকা মনিরা জানতো না তার প্রেমিক রউফের বয়স বেশি। প্রেমিক বিবাহিত, ছেলে সন্তান আছে- তাও জানতো সে। মোবাইলে কথা বলার সময় কণ্ঠে বয়সের কোন ছাপও ছিলো না প্রেমিকের। এ অবস্থায় বেশদিন মোবাইলে প্রেম চলে এ প্রেমিকযুগলের মাঝে। সরাসরি দেখা না হলেও এ অবস্থায়ই প্রেমিকা বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু বেচারা প্রেমিক তাতে রাজি হয়নি নানা কারণে। এতে ক্ষিপ্ত প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে চলে আসে বিয়ের দাবি নিয়ে। এলাকার বেরসিক জনতা প্রেমিকযুগলকে আটক করে সরাসরি পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। চুনারুঘাট উপজেলার কাজিশাইল গ্রামের মকবুল হোসেন (৫৫) এর সাথে ফোনে পরিচয় হয় কিশোরগঞ্জ জেলার নাপিতেরচর গ্রামের হানিফ মিয়া কন্যা মনিরার (২০)। ফোনালাপ করার কারণে একদিন উভয়ে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। হতাশায় হাবু-ডুবু খাওয়া প্রেমিকা মনিরা তা আমলে না নিয়ে ৬ই জুলাই প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের আশায় চলে আসে কিশোরগঞ্জ থেকে। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর মনিরার চোখ ছানা-বড়া। মনিরা বলেন, আমি কি জানতাম এতোদিন এই বুড়োর সঙ্গে প্রেম করেছি? যেন আসমান ভেঙে মাথায় পড়ে তার। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসী জড়ো হন রউফের বাড়িতে। গ্রামের লোকজন উভয়ের কথা মন দিয়ে শুনেন এবং রউফের স্ত্রীকে স্বামীর বিয়ের জন্য রাজি করান কিন্তু প্রেমিকা মনিরা বিয়ে করতে রাজি না হয়ে উল্টো তার জীবন ধ্বংস করার বিচার দাবি করে। এতে বেকায়দায় পড়েন গ্রামবাসী। এক সময় চুনারুঘাট থানাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রেমিকযুগলকে থানায় নিয়ে যায় রাতেই। পরদিন শনিবার উভয়কে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে ৭ই জুলাই নরসিংদী জেলার লালপুর গ্রামের প্রেমিক, আনসার সদস্য বাবুল মিয়া চুনারুঘাটের গোছাপাড়া গ্রামের কাদির মিয়ার কন্যা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী প্রেমিকা সীমার সঙ্গে দেখা করতে আসে রাতে। বাবুল গোপনে সীমার বাড়িতে এলে বিষয়টি গ্রামবাসীর নজরে আসে। একপর্যায়ে আটক করা হয় এ প্রেমিকযুগলকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এদেরকে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন তাদেরকে কারাগারের পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। জোড়া প্রেমিকযুগল এখন কারাগারে।