ভারত

অসমে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালানোয় তোপের মুখে সাবেক উপাচার্য

কলকাতা প্রতিনিধি

৯ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

অসমে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালানোয় হেট ক্যাম্পেইনের মুখে কেন্দ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য্য। নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় সমিতির সভাপতি ও কেন্দ্রিয় অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে হেট ক্যাম্পেন চলছে। আমি বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। তাই প্রতি মুহূর্তে আমার বিরুদ্ধে যে প্ররোচণা দেওয়া হচ্ছে, তা অভাবনীয়। আমার ওপর মনস্তাত্ত্বিক পীড়ন চলছে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে, আমি আবার বলছি, তা আধিপত্যবাদের ঘৃণ্য খেলা। ভারতের বুকে অন্ধ প্রাদেশিকতাবাদ চলছে। যা অত্যন্ত আশঙ্কার। তাঁর আরও অভিযোগ, অসমীয়া উগ্র জাতীয়তাবাদী, যাঁরা সবসময় ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শমনস্ক, তারা বাঙালির বিরুদ্ধে ঘৃণা, বিদ্বেষ, আক্রোশ ছড়াচ্ছে।  কয়েকদিন আগেই কলকাতার একটি সংবাদপত্রে তপোধীর ‘অসমে বাঙালির শরশয্যা’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। তার পরেই অসমের বিভিন্ন সংবাদপত্রে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানো শুরু হয়েছে। এমনকি হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, শিলচরের ‘নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় সমিতি’র সভাপতি তপোধীর ভট্টাচার্য অসমে বাংলাভাষিদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঘটনার অন্যতম প্রতিবাদী মুখ। তিনি জানিয়েছেন,  অসমের রাজনীতির কারবারিরা তাদের আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে। বলতে চাইছে বাঙালিরা তাদের শত্রু। সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে  দেওয়া হচ্ছে একটা ধারণা যে, বাংলাদেশিরা অসম দখল করে নিচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা তা নয়। তিনি বলেছেন, বাংলাভাষিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। অসমে ৩ কোটি ১২ লাখের মধ্যে অসমীয়াদের সংখ্যা দেড় কোটি। ৯০ লক্ষ মাত্র বাংলাভাষি। হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষই রয়েছেন তাতে। তিনি বলেছেন,  বাঙালিদের অনেকেই দেশভাগের অনেক আগে  থেকেই রয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৮৭৪ সালের আগে বরাক উপত্যকা অসমে ছিল না। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মধ্যেই ছিল। কাছাড় আর গোয়ালপাড়াও। ইংরেজরা পরে অসমের সঙ্গে তা জুড়ে দেয়। তপোধীর প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর কাজ হল বাংলাভাষিদের পাশে দাঁড়ানো। তিনি মনে করেন, আধিপত্যবাদের খেলা চলছে।  আর তাই রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জির কাজ, যা ২০১৫ সালের পরে শুরু হয়েছে, সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ বাঙালির নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও  বলেছেন, ভাষার ভিত্তিতে মানুষে-মানুষে বিভাজন করে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা চলছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status