পাভার্ডের সাফল্যের নেপথ্যে...

আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচে অসাধারণ এক গোল করে ফ্রান্সের জয়ের পথ সুগম করেন ফরাসি ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন পাভার্ড। তার ওই গোল কোটি কোটি ফুটবল ভক্তের মন জিতে নিয়েছে। মাঠে দারুণ ফুটবল নৈপুণ্য দিয়ে এদিন ভক্তদের মাতিয়েছেন তিনি। কিন্তু ওই সাফল্যের জন্য পাভার্ডকে অনুপ্রাণিত করেছেন আরেক সুন্দরী তরুণী। খেলার দিন টিভি ক্যামেরা বারবারই দেখানো হচ্ছিল পাভার্ডের সাফল্যে গলা ফাটানো এক তরুণীকে। তিনি হলেন রেচেল লিগ্রেইন ত্রাপানি। অতুলনীয় শারীরিক সৌন্দর্যের জন্য গোটা ফ্রান্সে এক নামে পরিচিত তিনি। ২০০৭ সালে জিতে নেন ফ্রান্সের সবচেয়ে সুন্দরী ও আবেদনময়ী নারীর খেতাব। গ্যালারি থেকে অনিন্দ্যসুন্দরী গার্লফ্রেন্ডের গলা ফাটানো উৎসাহ পাভার্ডের অসাধারণ নৈপুণ্যের অন্যতম কারণ। আর এতে ভর করে ফরাসিরা বিশ্বকাপের শিরোপার দৌড়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে যায়। খেলা শেষে প্রেমিকের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে কোনো রাখঢাক রাখেননি রেচেল ত্রাপানি। টিভি ক্যামেরার সামনে মাঠেই চুমু খেয়ে বসেন পাভার্ডকে। ভালোবাসায় আলিঙ্গন করেন তাকে। শুধু সুন্দর দেহসৌষ্ঠবই না, শিক্ষাগত যোগ্যতাতেও  বেশ এগিয়ে রয়েছেন রেচেল ত্রাপানি। ২০০৬ সালে সাহিত্যে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছেন তিনি। ছোটকাল থেকেই অসাধারণ শারীরিক সৌন্দর্য দিয়ে নজর কাড়েন সবার। ২০০৭ সালে সৌন্দর্যের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পান
। জিতে নেন সবচেয়ে সুন্দরী ও আবেদনময়ী ফরাসি তরুণীর পুরস্কার। প্যারিসে জমকালো এক অনুষ্ঠানে তার মাথায় সৌন্দর্যের স্বীকৃতি পরিয়ে দেয়া হয়। এরপরই রাতারাতি বিশ্ব তারকায় পরিণত হন রেচেল পাত্রানির। খেলাধুলার প্রতি তীব্র আকর্ষণ তার। আর সেজন্য ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অ্যাথলেটদেরকেই প্রাধান্য দিয়েছেন সবসময়। ব্যক্তিগত জীবনে কয়েক দফা বৈবাহিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। সব ক্ষেত্রেই পছন্দের পুরুষটি ছিলেন অ্যাথলেট। সর্বশেষ এ বছরের মে মাসের দিকে ফুটবলার বেঞ্জামিন পাভার্ডের বাহুডোরে নিজেকে সঁপে দেন তিনি। সাত বছরের ছোট পাভার্ডের সঙ্গে রেচেল ত্রাপানির সম্পর্ক বেশ জমে উঠেছে। গ্যালারি থেকে প্রেমিকের পক্ষে চিল্লানো ও খেলা শেষে ভালোবাসার চুম্বন তারই প্রমাণ।