ঈদ আনন্দ ২০১৮

ভ্রমণ

বিশ্বের এক আশ্চর্য

শাকেরা আরজু

২৮ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৬:৩১ পূর্বাহ্ন

সাউথ কোরিয়ার জেজু দ্বীপ বিশ্বের সাত আশ্চর্যের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ২০১১ সালে। কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বীপ এটি। এর আয়তন ১৮৪৬ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক স্নিগ্ধ শান্ত পরিবেশ আর উচু পাহাড়ে ঘেরা এই পাথুরে দ্বীপটি ২ লক্ষ বছর আগে আগ্নেয়গিড়ির অগ্নুৎপাতে সৃষ্টি হয়েছিলো। যে পাহাড় থেকে আগ্নেয়গিরি অগ্নুপাত হয়ে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছিল বলে এর নাম ‘হালাসান’ পাহাড়। জেজু দ্বীপে পর্যটকদের জন্য সব স্তরের সু ব্যবস্থা করা আছে।
সাউথ কোরিয়ার দেগু শহর থেকে আমরা বিমানে ৪০ মিনিটে জেজু দ্বীপে পৌঁছি।  যদিও জাহাজে ১২ ঘন্টায় যাওয়া যায়। জেজুতে পা রেখেই মন শান্ত হয়ে গেলো। চতুর্দিকে এত শান্ত নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভরপুর যে আবেগ-আপ্লুত হয়ে গেলাম। যাক, অনলাইনে একটি ১৫ সিটের মাইক্রো ভাড়া করা ছিল আগেই। তা নিয়ে বেরিয়ে পরি।
লাভা টিউব : এয়ারপোর্ট থেকেই আমাদের রিসিভ করে প্রথমেই জেজুতে লাভা টিউবে গেলাম। ২২.৩৬৭ কিলোমিটার আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে সৃষ্টি একটি গুহা। ভেতরে কিছু পরিবর্তন না এনে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা আছে। বাইরে কিছুটা গরম থাকলেও ভেতরে যাওয়ার পর প্রচন্ড ঠাণ্ডা। এই পাহাড়কেই জেজুর প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। আর পুরো কোরিয়াতে জেজুর কমলা খুব বিখ্যাত।

গংসাং ইলচুংবং (সানরাইজ পিক) : যেখান থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। আগ্নেয়গিরির অগ্নুপাতে সৃষ্টি হয়েছিল ১৮২ মিটার উঁচু এই পাহাড়টি, যা কিনা ২০০৭ সালে ‘ ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’-এ অন্তর্ভূক্ত হয়। সেওংসান ইলছুল্বং-এর আশেপাশে উপকূলীয় ছোট ছোট পর্বতের সৃষ্টি হয়েছিল অগ্নুপাতের ফলে। সে জন্য এই পাহাড়ের নিচ দিয়ে সাগরের পাশে ছোট ছোট অনেক ক্লিফ তৈরি হয়েছে। কোরিয়ানরা এই জায়গাটিকেও মনোরম করার জন্য গুছিয়ে নিয়েছে। এখানেই ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা করেছে।
সেওংসান ইলছুল্বং পিক-এর আরেক নাম হচ্ছে ‘সানরাইজ পিক’। পাহাড়ে উঠতে উঠতে দেখলাম সাগর, পাহাড় আর আকাশের মেলবন্ধন। আর যতটুকু শুনেছি এবং ছবি দেখেছি তাতে জানলাম, এই পাহাড়ের চূড়াতে বিশাল একটা গর্ত হয়েছে। যা মোটামুটি ছয়শ’ মিটার হবে। আর এই গর্তটাকে ঘিরে রেখেছে ৯৯টা ছোট ছোট ধারালো শিলা, মানে শার্প রকস। দেখতে অনেকটা রাজার মুকুটের মতো।
জুসাংজিয়লি ক্লিফ : চমৎকার সুন্দর শান্ত নিরিবিলি জায়গা। নীল আকাশ আর সবুজ স্বচ্ছ পানি ঘেরা জায়গাটি। সারাদিন কাটিয়ে দেয়া যায় এমন ভালোলাগার স্থান এটি।
সনিমগিও ব্রিজ : তিনটা জলপ্রপাত নিয়ে এবং পর্যটক ব্রিজ নিয়ে গোছানো হয়েছে এই জায়গাটি। প্রথম ঝর্ণার পানি দিয়েই পরের দুই ঝর্ণার সৃষ্টি হয়েছে। এই জন্য প্রথমটা দিয়েই শুরু করবো ভেবে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে শুরু করেছি। অতি সচ্ছ নীল পানি। এর থেকেই পরের ঝর্ণা হয়েছে এবং তার পরেরটা।
হালিম পার্ক : জেজুতে বেশ কিছু স্থান রয়েছে যেগুলো পাথুরে ভাস্কর্য ,ঝরনা আর গাছ পালা দিয়ে সুশোভিত। রয়েছে বিস্তর জায়গা জুড়ে টিউলিপ বাগান। স্টোন গ্র্যান্ডফাদার মূর্তি রয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status