প্রথম পাতা
সালাহর গোলের পরও মিশরের হার, গ্রুপ সেরা উরুগুয়ে
স্পোর্টস ডেস্ক
২৬ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
স্বাগতিক রাশিয়াকে পেছনে ফেলে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো উরুগুয়ে। গতকাল সামারা অ্যারেনায় উরুগুয়ের কাছে ৩-০ গোলে হার মানে দশজনের দলে পরিণত হওয়া রাশিয়া। চলতি আসরে এটি রাশিয়ার প্রথম হার। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে গোল পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি মিশরের মহাতারকা। ভলগোগ্রাদ অ্যারেনায় একই গ্রুপে নিয়ম রক্ষার ম্যাচটিতে সৌদি আরবের কাছে শেষ মিনিটের গোলে ২-১ ব্যবধানে হার দেখে মিশর। ম্যাচের ২২ মিনিটের মাথায় দারুণ গোল উপহার দেন সালাহ। মুখোমুখি অবস্থানে সৌদি গোলরক্ষক ইয়াসের আল মোসাইলেমের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল পরিশোধ করেন সৌদি মিডফিল্ডার সালমান আল ফারাজ। ইনজুরির সময়ে খেলা যখন ড্রয়ের পথে তখনই মিশরের জালে বল পাঠান সৌদি মিডফিল্ডার সালেম আল দাউসারি। পুরো ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে মিশরের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল সৌদি আরব। এ ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়ের রেকর্ড গড়েন মিশরের ৪৫ বছর বয়সী গোলরক্ষক ইসাম এল হাদারি। প্রথম দুই ম্যাচে তাকে একাদশে রাখেননি মিশরের আর্জেন্টাইন কোচ হেক্টর কুপার। গত বিশ্বকাপে ৪২ বছর বয়সে মাঠে নামেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ফরিদ মনদ্রাগন। ১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ হলো সৌদি আরবের রাশিয়া বিশ্বকাপ মিশন। তিন ম্যাচেই হারালো ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা মিশর। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে আগেই মিশর ও সৌদি আরবের বিদায় নিশ্চিত হয়। কাঁধের ইনজুরির কারণে উরুগুয়ের বিপক্ষে (১-০) ৮৯ মিনিটের গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে ছিলেন না সালাহ্। রাশিয়ার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ফিরলেও ৩-১ গোলে হার দেখেন তিনি। বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচটিতে পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড সালাহ্। উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়ার কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় সৌদি আরব। দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে হার ১-০ গোলে। এর আগে সৌদি আরবের বিপক্ষে ছয়বারের সাক্ষাতে চার ম্যাচে জয় পায় মিশর। একটিতে সৌদি আরব ও এক ম্যাচ ড্র হয়। বিশ্বকাপে এটাই দুইদলের মধ্যকার প্রথম ম্যাচ।
উড়ন্ত রাশিয়াকে মাটিতে নামালো উরুগুয়ে
ঘরের মাটিতে প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৮ বার বল পাঠায় স্বাগতিক রাশিয়া। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচেই ন্যূনতম ব্যবধানের কষ্টার্জিত জয় পায় উরুগুয়ে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ম্যাচে জ্বলে ওঠে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। লুইস সুয়ারেজের গোলে খেলা শুরুর ১০ মিনিটেই লিড নেয় উরুগুয়ে। ১৩ মিনিট না যেতেই আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার দিয়েগো লাক্সাল্টের শট ডেনিশ চেরিশেভের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। রাশিয়ার আগের দুই ম্যাচেই গোল করেন চেরিশেভ। দুই গোলে পিছিয়ে থাকা রাশিয়া শিবিরে আরো বড় আঘাত আনে ডিফেন্ডার ইগোর স্মোলনিকোভের লালকার্ড। ৩৬ মিনিটে লাক্সাল্টকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাকি সময়টা দশজনের দল নিয়ে খেলতে হয় রাশিয়াকে। ৯০তম মিনিটে গোল পান এডিনসন কাভানি। রাশিয়া ও উরুগুয়ে এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়। ২০১২ সালের প্রীতি ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ সমতায়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে সাতটি ম্যাচ খেলে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপ ম্যাচ। সাত ম্যাচের ছয়টিতে জয় পায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। দক্ষিণ আমেরিকান পরাশক্তিদের একমাত্র জয়টি আসে ১৯৭০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের একমাত্র গোলে। ১৯৬২ বিশ্বকাপে উরুগুয়েকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ২-১ গোলে হারায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন।
উড়ন্ত রাশিয়াকে মাটিতে নামালো উরুগুয়ে
ঘরের মাটিতে প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৮ বার বল পাঠায় স্বাগতিক রাশিয়া। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচেই ন্যূনতম ব্যবধানের কষ্টার্জিত জয় পায় উরুগুয়ে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ম্যাচে জ্বলে ওঠে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। লুইস সুয়ারেজের গোলে খেলা শুরুর ১০ মিনিটেই লিড নেয় উরুগুয়ে। ১৩ মিনিট না যেতেই আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার দিয়েগো লাক্সাল্টের শট ডেনিশ চেরিশেভের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। রাশিয়ার আগের দুই ম্যাচেই গোল করেন চেরিশেভ। দুই গোলে পিছিয়ে থাকা রাশিয়া শিবিরে আরো বড় আঘাত আনে ডিফেন্ডার ইগোর স্মোলনিকোভের লালকার্ড। ৩৬ মিনিটে লাক্সাল্টকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাকি সময়টা দশজনের দল নিয়ে খেলতে হয় রাশিয়াকে। ৯০তম মিনিটে গোল পান এডিনসন কাভানি। রাশিয়া ও উরুগুয়ে এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়। ২০১২ সালের প্রীতি ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ সমতায়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে সাতটি ম্যাচ খেলে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপ ম্যাচ। সাত ম্যাচের ছয়টিতে জয় পায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। দক্ষিণ আমেরিকান পরাশক্তিদের একমাত্র জয়টি আসে ১৯৭০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের একমাত্র গোলে। ১৯৬২ বিশ্বকাপে উরুগুয়েকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ২-১ গোলে হারায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন।