শেষের পাতা
নবনিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ
২৬ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
ছবি: আইএসপিআর
নবনিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন আজিজ আহমেদ। গতকাল তিনি পূর্বতন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ ১লা জানুয়ারি ১৯৬১ সালে চাঁদপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ১০ই জুন ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ৮ম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার ইন ডিফেন্স স্টাডিজ, এমএসসি (কারিগরি) এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ হতে মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এক্সিকিউটিভ) ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বিইউপি’র অধীনে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য গবেষণারত আছেন। তিনি আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, হালিশহর হতে গানারি স্টাফ কোর্স, মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ হতে স্টাফ কোর্স এবং ভারত হতে লং গানারি স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। তার বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে তিনি ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, বিজিবির মহাপরিচালক, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড ও সেনাসদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি একটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের অধিনায়ক, দুটি আর্টিলারি ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার, একটি বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, একটি বিজিবি সেক্টরের কমান্ডার, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবজারভার হিসেবে ইরাক-কুয়েত এবং সুদানে ফোর্স কমান্ডারের মিলিটারি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অপারেশনের অংশ হিসেবে তিনি দীর্ঘ দুই বছর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেডের অপারেশনাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ দীর্ঘ সময় আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল হালিশহর এবং স্কুল অব মিলিটারি ইন্টিলিজেন্সে একজন সফল প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিজিবি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে অধীনস্থ সেক্টরের পুনর্গঠন ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বিজিবিএম পদকে ভূষিত করা হয়। বিজিবি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিজিবির পুনর্গঠন ও উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পিজিবিএম পদকে ভূষিত করা হয়। তিনি গত ২০১৬ সাল হতে বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও তিন পুত্র-সন্তানের গর্বিত পিতা। তার দ্বিতীয় ছেলে বর্তমানে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৭৬তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে প্রশিক্ষণরত রয়েছেন।