শেষের পাতা
হাসি ফুটবে কি আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মুখে?
২৬ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
বিশ্বজুড়ে শতকোটি সমর্থকের মুখে আর্জেন্টিনা হাসি ফোটাতে পারবে কি না- এমন সংশয় রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষক আমিনুল হকের। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে শেষ ম্যাচের রেজাল্টের ওপর। প্রশ্ন হচ্ছে, আর্জেন্টিনা কি বিশ্বজুড়ে তাদের অগুনতি সমর্থকের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে? একেবারে অসম্ভব নয়। কিন্তু অত্যন্ত কঠিন। শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জিততে তো হবেই, গ্রুপের অন্য ম্যাচটির ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। আমিনুল বলেন, বিশ্বফুটবলের মঞ্চ থেকে এত সহজে যেতে চাইবে না আর্জেন্টিনা।
শেষ ম্যাচে জেতার জন্য তারা নিশ্চিতভাবেই অলআউট ফুটবল খেলবে। সমস্ত হতাশা ঝেড়ে ফেলে লড়াইয়ে নামবে লিওনেল মেসি। মেসিকে কার্যকর সহায়তা করতে সর্বোচ্চ করবেন সতীর্থরা। শেষ ম্যাচে কীভাবে তারা ঘুরে দাঁড়াবে সে নিয়ে নিশ্চয় কৌশল ঠিক করেছেন আর্জেন্টিনা টিম। তবে এ ম্যাচে মেসিকে যেমন হতাশা ঝেড়ে ফেলতে হবে তেমনি রক্ষণ ও আক্রমণভাগের সেতুবন্ধন তৈরিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে হ্যাভিয়ের মাসচেরানোকে। আর্জেন্টিনাকে তাদের মিডফিল্ড সাজাতে হবে। গোলরক্ষক পরিবর্তনের পাশাপাশি মজবুত করতে হবে ডিফেন্স। আলাদা করে দৃষ্টি রাখতে হবে মুসার ওপর। সতর্ক থাকতে হবে অলআউট খেলতে গিয়ে যেন প্রথম দুই ম্যাচের মতো রক্ষণে অরক্ষিত হয়ে না পড়ে। তবে শেষ ম্যাচে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে মাঠে নামবে নাইজেরিয়া। তারা প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে। মুসা যে দুর্দান্ত এক সুযোগসন্ধানী তার প্রমাণ রেখেছেন। মেসিকে ব্লক করে রাখতে পারলে অর্ধেক এগিয়ে থাকবে নাইজেরিয়া।
আর্জেন্টিনা শিবিরে অনৈক্যের বিষয়টি খেলোয়াড়রা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারবে বলে মনে করেন আমিনুল। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনা একে তো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেনি তার ওপর প্রথম দুই ম্যাচে বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ফেরেছে সাম্পাওলি। প্রস্তুতি ম্যাচের অভাবে টিম কম্বিনেশন গড়ে ওঠেনি, তার ওপর ফরমেশন এবং একাদশ নির্বাচনে অদূরদর্শিতা পরিচয় দিয়েছেন সাম্পাওলি। ফেভারিট দল যখন এমন একটি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে তখন তাদের শিবিরে মনোমালিন্য হতেই পারে। তবে আমার বিশ্বাস তারা সেটা ওভারকাম করতে পারবে। আমিনুল মনে করেন, আর্জেন্টিনা শিবিরে ম্যারাডোনাকে যেতে দেয়া উচিত ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। তিনি একজন কিংবদন্তি প্লেয়ার। তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বললে নিশ্চিতভাবেই তারা উজ্জীবিত হতেন। কিন্তু দলের কোচ হিসেবে সাম্পাওলিই সর্বেসর্বা। সবকিছুর দায়দায়িত্ব তার। তবে এটাও ঠিক যে, কোনো কোচই পছন্দ করেন না অন্য কেউ ইন্টার ফেয়ার করুন।
চলমান বিশ্বকাপে প্রযুক্তিগত রিভিউই পেনাল্টি আধিক্যের কারণ বলে মনে করেন নিজের সময়ে এশিয়ার এ সেরা গোলরক্ষক। তিনি বলেন, প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে রেফারিরা একদিকে নিজেদের ওপর চাপ কমাচ্ছেন। ফলে বাড়ছে পেনাল্টির সংখ্যা। আবার রিভিউ সিস্টেম থাকার পরও অনেক ফেরারি বেশি আত্মবিশ্বাসী হতে গিয়ে কোনো কোনো দলকে অধিকার বঞ্চিত করছেন। জার্মানির সঙ্গে সুইডেনের ম্যাচে সুইডেনকে একটি নিশ্চিত পেনাল্টি বঞ্চিত করা হয়েছে। এ প্রযুক্তিগত রিভিউ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা বাড়বেই।
আমিনুল বলেন, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি আইসল্যান্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্রোয়েশিয়া ইতিমধ্যে কোয়ালিপাই করেছে। আইসল্যান্ড যে স্বপ্ন দেখিয়েছে সেটা এগিয়ে নিতে হলে শেষ ম্যাচে তাদের জিততেই হবে। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া দলে এখন বিশ্বসেরা দুই মিডফিল্ডার মদরিচ ও রাকিটিচ খেলেন। এ ম্যাচে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে থাকবে ক্রোয়েশিয়া। দিনের অন্য ম্যাচে ফ্রান্স দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে চাইবে। ডেনমার্কের সঙ্গে তারা মোটেই ছাড় দিয়ে খেলবে না। তাদের দলে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাও কম। অন্যদিকে পেরুর বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ফেভারিট। এ ম্যাচটি জিততে পারলে গোলের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার সম্ভাবনা থাকবে।
জাপান-সেনেগাল ম্যাচটি দর্শকদের মন ভরিয়েছে বলে মনে করেন আমিনুল। তিনি বলেন, দুই দলই ভালো খেলেছে, পজেটিভ ফুটবলের পসরা দেখিয়েছে। তবে জাপানের খেলা বেশি ভালো লেগেছে। কারণ তারা স্পেনিশ টিকিটাকা স্টাইলের খেলাটা রপ্ত করার চেষ্টা করেছে। এটা তাদের ফুটবলকে এগিয়ে দেবে অনেক দূর। এ গ্রুপে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য জাপান-সেনেগাল ও কলম্বিয়াকে শেষম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে জাপান-সেনেগালই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার সম্ভাবনা বেশি।
অনুলিখন: কাফি কামাল
শেষ ম্যাচে জেতার জন্য তারা নিশ্চিতভাবেই অলআউট ফুটবল খেলবে। সমস্ত হতাশা ঝেড়ে ফেলে লড়াইয়ে নামবে লিওনেল মেসি। মেসিকে কার্যকর সহায়তা করতে সর্বোচ্চ করবেন সতীর্থরা। শেষ ম্যাচে কীভাবে তারা ঘুরে দাঁড়াবে সে নিয়ে নিশ্চয় কৌশল ঠিক করেছেন আর্জেন্টিনা টিম। তবে এ ম্যাচে মেসিকে যেমন হতাশা ঝেড়ে ফেলতে হবে তেমনি রক্ষণ ও আক্রমণভাগের সেতুবন্ধন তৈরিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে হ্যাভিয়ের মাসচেরানোকে। আর্জেন্টিনাকে তাদের মিডফিল্ড সাজাতে হবে। গোলরক্ষক পরিবর্তনের পাশাপাশি মজবুত করতে হবে ডিফেন্স। আলাদা করে দৃষ্টি রাখতে হবে মুসার ওপর। সতর্ক থাকতে হবে অলআউট খেলতে গিয়ে যেন প্রথম দুই ম্যাচের মতো রক্ষণে অরক্ষিত হয়ে না পড়ে। তবে শেষ ম্যাচে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে মাঠে নামবে নাইজেরিয়া। তারা প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে। মুসা যে দুর্দান্ত এক সুযোগসন্ধানী তার প্রমাণ রেখেছেন। মেসিকে ব্লক করে রাখতে পারলে অর্ধেক এগিয়ে থাকবে নাইজেরিয়া।
আর্জেন্টিনা শিবিরে অনৈক্যের বিষয়টি খেলোয়াড়রা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারবে বলে মনে করেন আমিনুল। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনা একে তো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেনি তার ওপর প্রথম দুই ম্যাচে বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ফেরেছে সাম্পাওলি। প্রস্তুতি ম্যাচের অভাবে টিম কম্বিনেশন গড়ে ওঠেনি, তার ওপর ফরমেশন এবং একাদশ নির্বাচনে অদূরদর্শিতা পরিচয় দিয়েছেন সাম্পাওলি। ফেভারিট দল যখন এমন একটি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে তখন তাদের শিবিরে মনোমালিন্য হতেই পারে। তবে আমার বিশ্বাস তারা সেটা ওভারকাম করতে পারবে। আমিনুল মনে করেন, আর্জেন্টিনা শিবিরে ম্যারাডোনাকে যেতে দেয়া উচিত ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। তিনি একজন কিংবদন্তি প্লেয়ার। তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বললে নিশ্চিতভাবেই তারা উজ্জীবিত হতেন। কিন্তু দলের কোচ হিসেবে সাম্পাওলিই সর্বেসর্বা। সবকিছুর দায়দায়িত্ব তার। তবে এটাও ঠিক যে, কোনো কোচই পছন্দ করেন না অন্য কেউ ইন্টার ফেয়ার করুন।
চলমান বিশ্বকাপে প্রযুক্তিগত রিভিউই পেনাল্টি আধিক্যের কারণ বলে মনে করেন নিজের সময়ে এশিয়ার এ সেরা গোলরক্ষক। তিনি বলেন, প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে রেফারিরা একদিকে নিজেদের ওপর চাপ কমাচ্ছেন। ফলে বাড়ছে পেনাল্টির সংখ্যা। আবার রিভিউ সিস্টেম থাকার পরও অনেক ফেরারি বেশি আত্মবিশ্বাসী হতে গিয়ে কোনো কোনো দলকে অধিকার বঞ্চিত করছেন। জার্মানির সঙ্গে সুইডেনের ম্যাচে সুইডেনকে একটি নিশ্চিত পেনাল্টি বঞ্চিত করা হয়েছে। এ প্রযুক্তিগত রিভিউ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা বাড়বেই।
আমিনুল বলেন, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি আইসল্যান্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্রোয়েশিয়া ইতিমধ্যে কোয়ালিপাই করেছে। আইসল্যান্ড যে স্বপ্ন দেখিয়েছে সেটা এগিয়ে নিতে হলে শেষ ম্যাচে তাদের জিততেই হবে। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া দলে এখন বিশ্বসেরা দুই মিডফিল্ডার মদরিচ ও রাকিটিচ খেলেন। এ ম্যাচে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে থাকবে ক্রোয়েশিয়া। দিনের অন্য ম্যাচে ফ্রান্স দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে চাইবে। ডেনমার্কের সঙ্গে তারা মোটেই ছাড় দিয়ে খেলবে না। তাদের দলে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাও কম। অন্যদিকে পেরুর বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ফেভারিট। এ ম্যাচটি জিততে পারলে গোলের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার সম্ভাবনা থাকবে।
জাপান-সেনেগাল ম্যাচটি দর্শকদের মন ভরিয়েছে বলে মনে করেন আমিনুল। তিনি বলেন, দুই দলই ভালো খেলেছে, পজেটিভ ফুটবলের পসরা দেখিয়েছে। তবে জাপানের খেলা বেশি ভালো লেগেছে। কারণ তারা স্পেনিশ টিকিটাকা স্টাইলের খেলাটা রপ্ত করার চেষ্টা করেছে। এটা তাদের ফুটবলকে এগিয়ে দেবে অনেক দূর। এ গ্রুপে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য জাপান-সেনেগাল ও কলম্বিয়াকে শেষম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে জাপান-সেনেগালই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার সম্ভাবনা বেশি।
অনুলিখন: কাফি কামাল