অনলাইন
এক মাসেও শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের দ্বার খোলেনি
কলকাতা প্রতিনিধি
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ ভবনের দ্বার সকলের জন্য কবে খুলে দেওয়া হবে তা এখনও অনিশ্চিত। গত ২৫ মে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় এই ভবনের উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত এই ভবনটির রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্ব ওইদিনই তুলে দেয়া হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের হাতে। কিন্তু এক মাস পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ভবন কবে খুলে দেয়া হবে সে ব্যাপারে কেউই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না। তালাবদ্ধ ভবনের সামনে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই বহু মানুষ এসে ঘুরে যাচ্ছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশিরা শান্তিনিকেতনে গিয়ে ভবনের দ্বার খোলা না পেয়ে হতাশই হচ্ছেন। শান্তিনেকেতন ঘুরতে আসা যশোরের মাসুদুল ইসলাম বলেছেন, অনেক আশা নিয়ে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের নিজস্ব ভবন দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু খোলা না পেযে ফিরে এসেছি। বিশ্বভারতীতে চীনা ভবন ও নিপ্পন ভবনের পর তৃতীয় বিদেশি ভবন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ ভবন। এখানে গবেষকরা যেমন বাংলাদেশ সম্পর্কিত গবেষণার সুযোগ পাবেন তেমনি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের ইতিহাস , মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃৃতির নানা দিক জানতে পারবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনের উদ্বোধনে বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে এটি ছোট এক টুকরো বাংলাদেশ, যেখান থেকে বাংলাদেশের চেতনা প্রতিপালিত হবে। এই ভবনে রয়েছে একটি মিউজিয়াম ও একটি লাইব্রেরি। রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক মানের অডিটোরিয়ম। বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয়েছে, ভবনের দায়িত্ব তারা নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু এখনও অনেক বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাই ভবনটি কবে খোলা সম্ভব হবে তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। বিশ্বভারতীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরাও জানিয়েছেন, দ্রুত বাংলাদেশ ভবন খুলে দেয়া হোক। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই ভবন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্বভারতী ১০ কোটি রুপি চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকার তা দিতে সম্মতও হয়েছে। তবে ভবনের কর্মী নিয়োগ থেকে গ্রন্থাগার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে কিনা তার মীমাংসা হয় নি বলে জানা গেছে।