বিশ্বজমিন
‘মাহমুদ আব্বাসকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র’
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
ফিলিস্তিেিনর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কঠোরভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাইব এরেকাত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জামাই জারেড কুশনার সম্প্রতি শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে এরেকাত ওই মন্তব্য করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এরেকাত উল্টো যুক্তরাষ্ট্রকে শান্তি প্রক্রিয়ায় অযোগ্য ঘোষণা করেন। কারণ, ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো জেরুজালেম। সেই জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী দাবি করে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পশ্চিমা বিশ্বগুলোর কারো প্রতি তোয়াক্কা না করে, নিজের দেশের প্রচলিত রীতি না মেনে একতরফাভাবে সেই জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। তবু তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্র তার দূতাবাস স্থানান্তর করে জেরুজালেমে। এর মধ্য দিয়ে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের যে ভূমিকা ছিল সেখানে তাদেরকে অযোগ্য ঘোষণা করে ফিলিস্তিন। এক সপ্তাহের জন্য মধ্যপ্রাচ্য সফরে এসেছেন জারেড কুশনার, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের দূত জেসন গ্রিনব্লাট। তারা সাক্ষাত করেছেন ইসরাইল, জর্ডান, কাতার, মিশর ও সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে। এরপর মাহমুদ আব্বাসকে জারেড কুশনার শান্তি প্রতিষ্ঠায় অযোগ্য ঘোষণা করেন। তার জবাবে রোববার সাইব এরেকাত ওই মন্তব্য করেন। আরবি ভাষায় প্রকাশিত আল কুদস পত্রিকায় রোববার জারেড কুশনারের একটি সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়। তাতে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে মার্কিন প্রশাসন। তাতে আব্বাসকে রাখা হতেও পারে, নাও পারে। এ সময় তিনি আব্বাসের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর রামাল্লায় সাংবাদিকদের কাছে এরেকাত তার প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কুশনারের সাক্ষাতকারে একেবারে পরিষ্কার হয়ে গেছে। পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, সমঝোতা প্রক্রিয়া থেকে প্রকৃতপক্ষেই সরে গেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। তারা এখন চাইছে তারা নির্দেশ দেবে এবং সেই মতো কাজ করতে হবে। তারা এ বিষয়ে সংকল্পবদ্ধ। তারা আসলে শাসকগোষ্ঠীর পরিবর্তন ঘটাতে কাজ করছে। কারণ, প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অধীনে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ একটি খাঁটি, টেকসই, বিস্তৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তারপর থেকে ওই প্রশাসনের সঙ্গে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন মাহমুদ আব্বাস।