বিশ্বজমিন

অসীম ক্ষমতা নিয়ে এরদোগানই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট

মানবজমিন ডেস্ক

২৫ জুন ২০১৮, সোমবার, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

অসীম ক্ষমতার অধিকারী হয়ে সেই রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানই আবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। রোববারের নির্বাচনে তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষের প্রধান সাদি গুভেন। তিনি বলেছেন, সব বৈধ ভোটের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেন নি। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মোট ভোটের শতকরা ৯৯ ভাগ গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে এরদোগান পেয়েছেন শতকরা ৫৩ ভাগ ভোট। আর তার নিকতম প্রতিদ্বসন্দ্বী মুহাররেম পেয়েছেন শতকরা ৩১ ভাগ ভোট। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিরোধীরা এ ফল আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নেয় নি। তবে তারা বলেছে, ফল যাই হোক না কেন তারা গণতান্ত্রিক লড়াই অব্যাহত রাখবে। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় যে ফল আগেভাগে প্রচার করা হচ্ছিল তা নিয়ে তারা সংশয় প্রকাশ করেছে। তুরস্কের এ নির্বাচনের ফল সরকারিভাবে ঘোষণা করার কথা রয়েছে শুক্রবার। অনেক বছরের মধ্যে এবারের নির্বাচনকে তুরস্কে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলে দেখা হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এরদোগান সীমাহীন ক্ষমতা লাভ করছেন। এর ফলে তিনি একচ্ছত্র ক্ষমতার মালিক হবেন। রাষ্ট্রের সবকিছুতে তিনি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। কারণ তাকে সংবিধান সংশোধন করে নতুন নির্বাহী ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বিজয়ের খবরে ৬৪ বছর বয়সী এরদোগান রাজধানী আঙ্কারায় তার দলের প্রধান কার্যালয়ের ব্যালকনি থেকে বক্তব্য রেখেছেন। বলেছেন, এই নির্বাচনের জয় আমার দেশের ৮ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের প্রত্যেকের। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির মুহাররেম ইনচি একজন সাংবাদিকের কাছে পাঠানো এক বার্তায় পরাজয় মেনে নিয়েছেন। যদিও এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয় নি। রোববার দিনের শুরুতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাডোলুকে তিনি নির্বাচনে জালিয়াতি করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। এরদোগান, মুহাররেম ছাড়াও এ নির্বাচনে আরো চারজন প্রার্থী ছিলেন। তবে তাদের কেউই শতকরা ৮.৪ ভাগের বেশি ভোট পান পান নি। উল্লেখ্য, এর আগে তুরস্কের সংবিধান সংশোধন করা হয় গণভোটে। সেই গণভোট হয় গত বছর। শতকরা ৫১ ভাগ ভোটার সেই ভোটে সংবিধান সংশোধনের পক্ষে রায় দেন। এতে যে সংবিধান তুরস্কে গৃহীত হয়েছে তাতে প্রেসিডেন্ট পাচ্ছেন বিপুল পরিমাণ ক্ষমতা। এর মধ্যে তিনি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, মন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিজের ইচ্ছেমত ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে পারবেন। এ জন্য তাকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে না। দেশের আইন ব্যবস্থায় তিনি হস্তক্ষেপের ক্ষমতা পাবেন। যখন তখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীকে ইচ্ছে হলেই বরখাস্ত করতে পারবেন। একজন ব্যক্তির হাতে যদি এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা থাকে তাহলে সেখানে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে না বলে মনে করছেন সমালোচকরা। এতে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নষ্ট হয়। প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করতে পারেন। আবার দেশের দক্ষিণ-পূর্বে কুর্দি বিদ্রোহীদের দমন করতে ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারেন। বিজয়ী ভাষণে এরদোগান বলেছেন, তিনি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধেঅধিকতর লড়াই চালিয়ে যাবেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status