খেলা
ইংল্যান্ডের পানামা চ্যালেঞ্জ
স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ জুন ২০১৮, রবিবার, ৯:৫০ পূর্বাহ্ন
তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ইনজুরি সময়ের গোলে জয় পায় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের সামনে এবার বিশ্বকাপে অভিষিক্ত পানামার চ্যালেঞ্জ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। আজ নিঝনি নভগোরোদ স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় খেলা শুরু হবে। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় ৬৬’র চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সেবার এক ম্যাচও জেতেনি (১ ড্র ও ২ হার) তারা। এবার রাশিয়া বিশ্বকাপে নকআউট পর্বের পথে ইংল্যান্ড শিবির। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পানামার বিপক্ষে পরিষ্কার ফেভারিট ইংল্যান্ড। কিন্তু ছেড়ে কথা বলবে না মধ্য আমেরিকার দেশটি। ‘জি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ৩-০ গোলে হার মানে পানামা। তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্স করতে মুখিয়ে আছে তারা। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে পানামার হার এড়ানোর বিকল্প নেই। দলের ডিফেন্ডার হ্যারল্ড কামিন্স বলেন, ‘আমরা যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। সেরাটা ঢেলে দিয়ে ইংল্যান্ডের ওপর চাপ তৈরি করতে চাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যই মাঠে নামবো। ইংল্যান্ডের অনেক ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। এদিক থেকে তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে। আমরা তাদের দিকে তাকাচ্ছি না। নিজেদের খেলাটাই খেলতে চাই।’ পানামার বিপক্ষে নিখুঁত ফুটবল খেলতে চায় ইংল্যান্ড। ডিফেন্ডার জন স্টোন্স বলেন, ‘পানামাকে নিয়ে আমরা হোমওয়ার্ক করেছি। কিছু জায়গায় আমাদের উন্নতি প্রয়োজন। নিখুঁত ফুটবল খেলতে হবে। আমাদের স্বাভাবিক খেলার ধরন আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রতিপক্ষকে যতটা সম্ভব চাপে রাখাই মূল লক্ষ্য।’ পানামার বিপক্ষে উইঙ্গার ড্যালি আলীর খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তিউনিশিয়ার বিপক্ষে উরুতে চোট পান তিনি। তিউনিশিয়া ম্যাচে (২-১) জোড়া গোল করে ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। এর মধ্য দিয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে জয় দেখে ইংলিশরা। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ড একবারও টানা দুই ম্যাচ জিততে পারেনি। ১৯৮২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপেই কেবল প্রথম দুই ম্যাচে জয় পায় ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে কনকাকাফ (উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) অঞ্চলের দলের বিপক্ষে সবশেষ চার ম্যাচে অপরাজিত ইংল্যান্ড (২ জয় ও ২ ড্র)। একমাত্র পরাজয় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৯৫০ সালে। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ৩৮তম প্রতিপক্ষ পানামা। প্রথম সাক্ষাতে পাঁচ দলের বিপক্ষে হার মানে ইংল্যান্ড। ১৯৫০ আসরে যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের বিপক্ষে, উরুগুয়ের বিপক্ষে ১৯৫৪ বিশ্বকাপে, হাঙ্গেরির বিপক্ষে ১৯৬২ আসরে ও ১৯৯০ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে। ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে সবশেষ ১০টি বিশ্বকাপ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একবার জয়ের দেখা পায় কনকাকাফ দেশগুলো (৩ ড্র ও ৬ হার)। এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে (১-০) হারিয়ে দেয় মেক্সিকো।