দেশ বিদেশ
জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৪ জুন ২০১৮, রবিবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে এবার একসঙ্গে ঢাকা আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট। আগামী ৩০শে জুন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুঁতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ঢাকায় পৌঁছাবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে সেগুনবাগিচার তরফে জানানো হয়েছে- জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের সফরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ঢাকায় পৌঁছানোর পর অর্থাৎ ১লা জুলাই থেকে। ওইদিনে তাদের কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে। ঢাকা সফরকালে তাদের দু’জনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বাড়তি কর্মসূচি হিসেবে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুঁতেরেস এর আগে সংস্থাটির শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র প্রধান ছিলেন। ওই পদে থাকাকালে ২০০৮ সালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছিলেন। তবে মহাসচিব হিসেবে এবারই হবে তার প্রথম কক্সবাজার সফর। উল্লেখ্য, গত আগস্টে রোহিঙ্গা সংকট ভয়াবহ রূপ নেয়ার পর থেকেই অ্যান্তোনিও গুঁতেরেস পুঞ্জীভূত ওই সংকট সমাধানে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানকে ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ এবং ‘রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল চেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের আহ্বানও জানিয়ে আসছেন তিনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার তাগিদ: এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবের তরফে তার মুখপাত্র রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ইউএনএইচসিআর’কে যুক্ত করতে চুক্তি প্রসঙ্গে বলেছেন- বিশ্বের এখন একটাই চাওয়া তা হলো- বাস্তুচ্যুতদের নিজ ভূমে স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন। মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হক গত ২২শে জুনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তাগিদ দেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার তাগিদ: এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবের তরফে তার মুখপাত্র রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ইউএনএইচসিআর’কে যুক্ত করতে চুক্তি প্রসঙ্গে বলেছেন- বিশ্বের এখন একটাই চাওয়া তা হলো- বাস্তুচ্যুতদের নিজ ভূমে স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন। মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হক গত ২২শে জুনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তাগিদ দেন।