ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
জার্মানির বাঁচা-মরার ম্যাচ
স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ জুন ২০১৮, শনিবার, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
১৯৩৮ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে একবারই নকআউট পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয় ইউরোপের পাওয়ার হাউজ জার্মানি। রাশিয়া বিশ্বকাপে বাঁচা-মরার ম্যাচে আজ সুইডেনের মুখোমুখি হবে কোচ জোয়াকিম লোর শিষ্যরা। সোচির ফিস্ট অলিম্পিক স্টেডিয়াম রাত ১২টায় গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইডেন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে জার্মানরা। তার আগে রাত ৯টায় রোস্তভ এ্যারেনায় টিকে থাকার লড়াইয়ে মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে এশিয়ার পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়া। ‘এফ’ গ্রুপে মেক্সিকোর কাছে প্রথম ম্যাচে অঘটনের শিকার হয় চার বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। মেক্সিকানদের জয়োল্লাসে (১-০) মাতানো একমাত্র গোলটি করেন উঠতি উইঙ্গার হিরভিং লোজানো। গ্রুপের অপর খেলায় দক্ষিণ কোরিয়াকে পেনাল্টি গোলে একই ব্যবধানে হারায় সুইডেন। ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত ১৯৫৮ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে জয় দেখে সুইডিশরা। সেবার ফাইনালে উঠে ব্রাজিলের কাছে ৫-২ গোলে ধরাশায়ী হয় স্বাগতিক সুইডেন। গত দুই আসর মিস করা সুইডেন এবার বাছাইপর্বের প্লে-অফে ইতালিকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কাটে। অন্যদিকে ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইপর্বে ১০ ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মানি। কিন্তু সবশেষ সাতটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে কেবল সৌদি আরবের বিপক্ষে (২-১) জয় পায় তারা। গ্রুপ পর্বের এক ম্যাচ শেষে সুইডেন ও মেক্সিকোর পয়েন্ট সমান ৩। সুইডেনের সামনে ২০০৬ আসরের পর আবারো নকআউট পর্বে উঠার হাতছানি। জার্মানিকে হারাতে পারলে আর দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মেক্সিকো ১ পয়েন্ট পেলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে সুইডেন। সেক্ষেত্রে জার্মানির বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো মেক্সিকোর সামনেও জয় দিয়ে শেষ ষোলোতে পা রাখার সুযোগ। স্নায়ুচাপে থাকা জার্মানির জন্য পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
সবশেষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ার লজ্জায় ডোবে ফ্রান্স। ঘুরে দাঁড়াতে দৃঢ়প্রত্যয়ী জার্মান কোচ জোয়াকিম লো। তিনি বলেন, ‘দলের সবাই সত্যিই খুব হতাশ। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই হবে।’ জার্মান ফরোয়ার্ড টমাস মুলার বলেন, ‘আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। গ্রুপে আমাদের বাকি দুইটি ম্যাচই জিততে হবে। আমরা অনেক চাপে রয়েছি। সুইডেনের রক্ষণভাগ ভাঙা কঠিন। কিন্তু অধৈর্য হলে এর খেসারত দিতে হবে।’ কঠিন এক ম্যাচ হবে বলেই মনে করেন সুইডেন উইঙ্গার এমি ফোর্সবার্গ, ‘খুবই কঠিন একটি ম্যাচ হবে। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি। কিন্তু একইসঙ্গে আমাদের ম্যাচটা উপভোগও করতে হবে। সব চাপ তাদের ওপর।
আমরা নিজেদের শক্তির জায়গাটা ঠিক রাখব। ডিফেন্স ঠিক রেখে ফলাফল পাওয়ার চেষ্টা করব। এটাই প্রধান লক্ষ্য।’ বিশ্বকাপে মোট চারবার মুখোমুখি হয় জার্মানি ও সুইডেন। তিন বার (১৯৩৪, ১৯৭৪ ও ২০০৬) জয় তুলে নেয় জার্মানরা। সুইডেনের একমাত্র জয়টি আসে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে। সুইডেনের বিপক্ষে সবশেষ ১১ ম্যাচে অপরাজিত জার্মানি (৬ জয় ও ৫ ড্র)। জার্মানির বিপক্ষে সুইডিশরা শেষবার জয় দেখে ১৯৭৮ সালের এপ্রিলে (৩-১)। এদিকে দুই দলের সবশেষ লড়াইয়ে ১৬ গোল উপভোগ করেন দর্শকরা। ২০১৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে জার্মানির মাঠে চার গোলে পিছিয়ে থেকেও ৪-৪ গোলের রোমাঞ্চকর ড্র করে সুইডেন। কিন্তু ফিরতি লেগে তারা ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে ৫-৩ গোলে হার মানে। প্রীতি ম্যাচসহ সব মিলিয়ে ৩৬ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৫ ম্যাচে জার্মানি ও ১২ ম্যাচে জয় পায় সুইডেন।
সবশেষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ার লজ্জায় ডোবে ফ্রান্স। ঘুরে দাঁড়াতে দৃঢ়প্রত্যয়ী জার্মান কোচ জোয়াকিম লো। তিনি বলেন, ‘দলের সবাই সত্যিই খুব হতাশ। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই হবে।’ জার্মান ফরোয়ার্ড টমাস মুলার বলেন, ‘আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। গ্রুপে আমাদের বাকি দুইটি ম্যাচই জিততে হবে। আমরা অনেক চাপে রয়েছি। সুইডেনের রক্ষণভাগ ভাঙা কঠিন। কিন্তু অধৈর্য হলে এর খেসারত দিতে হবে।’ কঠিন এক ম্যাচ হবে বলেই মনে করেন সুইডেন উইঙ্গার এমি ফোর্সবার্গ, ‘খুবই কঠিন একটি ম্যাচ হবে। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি। কিন্তু একইসঙ্গে আমাদের ম্যাচটা উপভোগও করতে হবে। সব চাপ তাদের ওপর।
আমরা নিজেদের শক্তির জায়গাটা ঠিক রাখব। ডিফেন্স ঠিক রেখে ফলাফল পাওয়ার চেষ্টা করব। এটাই প্রধান লক্ষ্য।’ বিশ্বকাপে মোট চারবার মুখোমুখি হয় জার্মানি ও সুইডেন। তিন বার (১৯৩৪, ১৯৭৪ ও ২০০৬) জয় তুলে নেয় জার্মানরা। সুইডেনের একমাত্র জয়টি আসে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে। সুইডেনের বিপক্ষে সবশেষ ১১ ম্যাচে অপরাজিত জার্মানি (৬ জয় ও ৫ ড্র)। জার্মানির বিপক্ষে সুইডিশরা শেষবার জয় দেখে ১৯৭৮ সালের এপ্রিলে (৩-১)। এদিকে দুই দলের সবশেষ লড়াইয়ে ১৬ গোল উপভোগ করেন দর্শকরা। ২০১৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে জার্মানির মাঠে চার গোলে পিছিয়ে থেকেও ৪-৪ গোলের রোমাঞ্চকর ড্র করে সুইডেন। কিন্তু ফিরতি লেগে তারা ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে ৫-৩ গোলে হার মানে। প্রীতি ম্যাচসহ সব মিলিয়ে ৩৬ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৫ ম্যাচে জার্মানি ও ১২ ম্যাচে জয় পায় সুইডেন।