বাংলারজমিন
রিয়াদে অপহরণকারীদের বন্দিশালায় মাগুরার ২ যুবক
মাগুরা প্রতিনিধি
২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৮:০০ পূর্বাহ্ন
মানবপাচারের শিকার হয়ে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার তল্লাবাড়িয়া গ্রামের জালাল ও বক্কার নামে ২ যুবক সৌদি আরবের রিয়াদে বন্দি জীবনযাপন করছে। ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন। পাচারের শিকার জালাল মোল্যার বাবা দুদু মোল্যা অভিযোগ করেন তল্লাবাড়িয়া গ্রামের মোকসেদ ফকিরের ছেলে দিলু ফকির ৫ মাস আগে ৫ লাখ টাকার চুক্তিতে তার ছেলে জালালকে রিয়াদে নিয়ে যায়। একই সময়ে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে রিয়াদে নেয় তল্লাবাড়িয়ার বক্কারকে। কিন্তু রিয়াদে নিয়ে কাজ না দিয়ে তাদেরকে একটি ঘরে বন্দি করে রেখেছে। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের কাছে আকামার জন্য আরো টাকা দাবি করছে। পাচারের শিকার বক্কার শেখের মেয়ে তন্নী বেগম কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ করেন, তার বাবার সঙ্গে মাঝে মাঝে ফোনে কথা হচ্ছে। সেখানে তার বাবা খুবই কষ্টের মধ্যে আছেন বলে জানিয়েছেন। প্রায়ই তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। অথচ ভালো কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে দিলু নিজে বাংলাদেশে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে রিয়াদে নিয়ে গেছে। এখন আকামার জন্য অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকার পাশাপাশি আরো টাকা দাবি করছে। মোবাইল ফোনে রেকর্ডকৃত জালালের বক্তব্যে জানা যায়, রিয়াদ শহরের সমুতি হাসপাতালের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে জালাল ও বক্কারকে আটকে রেখেছে দিলু ফকির ও তার লোকজন। মাঝে মধ্যে তাদের মারধর পর্যন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া মোবাইলে পরিবারের সদস্যদের কাছে অতিরিক্ত টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। পাশাপাশি তাদের পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে গেছে। জালাল মোল্যা আরো অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করতে গেলেই তাদেরকে মারধর করছে দিলু ফকির ও অন্যরা। এমনকি ঘরের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরে অগ্নিকাণ্ড বলে চালিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এদিকে অভিযুক্ত দিলু ফকিরের বাবা মোকছেদ ফকির এ বিষয়ে বলেন, ‘জালাল ও বক্কারের পরিবারের সদস্যদের আগ্রহেই বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসার মধ্যমে রিয়াদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন কাজ পেতে একটু বিলম্ব হওয়ায় তাদের পরিবার এসব অভিযোগ তুলছে’।