বিশ্বজমিন
পিছু হটলেন ট্রাম্প
মানবজমিন ডেস্ক
২১ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
দেশে ও বিদেশে তীব্র থেকে তীব্রতর সমালোচনার মুখে পিছু হটলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো সীমান্তের কাছে যুক্তরাষ্ট্র যেসব পরিবারের কাছ থেকে শিশুদের আলাদা করে রাখছে সেই নীতির ইতি ঘোষণা করলেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, অভিবাসন বিষয়ক শূন্য সহনশীলতার নীতি প্রয়োগ করছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এর আওতায় মেক্সিকো থেকে অবৈধভাবে যেসব পিতামাতা তাদের সন্তানদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন বা করছেন, তাদের কাছ থেকে সন্তানদের কেড়ে নিয়ে আলাদা করে দূরে আটক রাখা হচ্ছিল। যেসব স্থানে শিশুদের আটকে রাখা হয় তার অবস্থা ভয়াবহ। এরই মধ্যে তাকে জেলখানার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে নিজ দেশের ভিতরে ট্রাম্প যেমন সমালোচিত হয়েছেন, তেমনি তার সমালোচনা উঠেছে বাইরের বিশ্ব থেকে। পোপ ফ্রাঁসিসও তার সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ট্রাম্পের এমন নীতি অনৈতিক। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এতে বলা হয়েছে, যেসব মানুষ অবৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে এবং তারা যখন ধরা পড়বে তখন থেকেই তার পরিবারকে একত্রিত রাখতে হবে। যতদিন তাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলবে ততদিন তাদেরকে একসঙ্গে আটকে রাখতে হবে। কিন্তু এ নির্দেশও আদালতের একটি নীতির লঙ্ঘন বলে বলা হচ্ছে। কারণ, কোনো শিশুকে কতদিন আটকে রাখা যাবে তার বিষয়ে আদালত নির্দেশনা দিয়েছে। এ নিয়ে নতুন এক আইনী লড়াই হতে পারে, যদি কংগ্রেস এ ইস্যুতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়। তবু ট্রাম্প তার আগের অবস্থান থেকে ফিরেছেন। এটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা নয়। তবে এ ঘোষণায় সঙ্গে শিশু থাকা পরিবার বা পিতামাতারা অভিবাসন বিষয়ক প্রক্রিয়ার বাইরে যেতে পারবেন না। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের ১০ সপ্তাহ বয়সী শূণ্য সহনশীলতার কিন্তু ইতি ঘটেনি। এক্ষেত্রে তিনি শুধু শিশুদের তাদের পিতামাতার সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই তিনি ওভাল অফিসে বসে নির্দেশে স্বাক্ষর করে বলেছেন, এটা করা হলো পরিবারগুলোকে একত্রিত রাখার জন্য। একই সঙ্গে আমরা জানাতে চাই যে অত্যন্ত শক্তিশালী ও দৃঢ় একটি সীমান্ত রয়েছে আমাদের।