বিশ্বজমিন
অভিবাসীর চাপ সামাল দেয়া নিয়ে বৈঠকে বসছে ইইউ
মানবজমিন ডেস্ক
২১ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
ক্রমবর্ধমান অভিবাসীদের চাপ সামাল দেয়া নিয়ে উপায় নির্ধারণে আলোচনায় বসছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রিয়া সহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশের নেতারা। আগামী রোববার তারা এমন আলোচনায় বসছেন। এই অভিবাসী ইস্যুতে ইউরোপে এবং যুক্তরাষ্ট্রেও রাজনৈতিক বিভক্তি রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে যখন সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের পিতামাতার কাছ থেকে আলাদা করে বন্দিশালায় পাঠানো হচ্ছে আর তা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তখনই এ রকম আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, এ আলোচনায় যোগ দেবেন গ্রিস ও বুলগেরিয়ার নেতারা। সেখানে আলোচনা করা হবে ইউরোপমুখী অভিবাসীদের কিভাবে থামানো যায়। কারণ, একবার অভিবাসীরা ইউরোপে পৌঁছাতে পারলে তারা সেখানকার কোনো না কোনো দেশে আশ্রয় চেয়ে বসেন। রোববারের আলোচনার ঘোষণা দিয়েছেন ইউরোপীয়ান কমিশনের নির্বাহী। তবে আগামী ২৮ ও ২৯ শে জুন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলন রয়েছে। ১০ লাখের বেশি অভিবাসী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করার তিন বছর পরে এই সম্মেলন থেকে একটি যৌথ অভিবাসন বিষয়ক নীতি গ্রহণ করার কথা নেতাদের। তার আগেই ওই আলোচনা সভার আহ্বান করা হয়েছে। ফলে এই আলোচনা ওই নীতি গ্রহণের ওপর ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হয়। উন্নত দেশগুলোতে বিশেষ করে জার্মানিতে রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে ক্রমাগত ভূমিকা রাখছে অভিবাসন ইস্যু। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে ধনী অর্থনীতির দেশ জার্মানি। সেখানে এই ইস্যুটি চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলের সঙ্গে তার জোটের অংশীদার সিডিইউয়ের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ক্রিশ্চিয়ান সোশাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) মারকেলকে সোমবার দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে ইউরোপভিত্তিক একটি চুক্তির জন্য। সিএসইউ নেতা ও জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্স্ট সিফার চাইছেন অভিবাসীদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া হোক। বিশেষ করে যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে নিবন্ধিত হয়েছে তাদের থেকে দূরে সরে যেতে হবে বা তাদেরকে বের করে দিতে হবে। ২০১৫ সালে যখন অভিবাসীর ঢল নেমেছিল তখন সীমান্তের দরজা খুলে দিয়েছিলেন মারকেল। এটা তার একক সিদ্ধান্তে হয়েছিল। তার এমন ভূমিকার বিরোধিতা করেন হোর্স্ট সিফার।