আলোচনায় সেই চেরিশেভ

জন্ম রাশিয়ায়। তবে বেড়ে ওঠা ও ফুটবল দীক্ষা স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমি কাস্তিয়ায়। ২০১২তে রাশিয়া জাতীয় দলে অভিষেক হলেও ২০১৫’র পর কোনো ম্যাচের শুরুর একাদশে জায়গা পাননি তিনি। বিশ্বকাপের দলে থাকা নিয়েও ছিল অনিশ্চয়তা। এবারের আসরের আগে কোচ স্তানিসলাভ চেরচেসভের অধীনে মাত্র ৩৩ মিনিট খেলেছেন মাঠে। তারপরও বিশ্বকাপে স্বাগতিক রাশিয়ার আক্রমণভাগে সবচেয়ে বড় অস্ত্র এখন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। বলছি ডেনিস চেরিশেভের কথা। যার বিশ্বকাপ খেলার কথা ছিল না, আর তিনিই এখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে যৌথভাবে চলতি আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সৌদি আরবের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন না চেরিশেভ। ম্যাচের ২৪ মিনিটে অ্যালান জাগোয়েভের ইনজুরি সুযোগ করে দেয় তাকে। আর তা কাজে লাগাতে মাত্র ১৯ মিনিট সময় নেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ক্যারিয়ারে প্রথম গোল তিনি পান বিশ্বকাপে এসে। ম্যাচের যোগ করা সময়ে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ম্যাচে রাশিয়া জয় পায় ৫-০ গোলে। মিশরের বিপক্ষে পরের ম্যাচেই শুরুর একাদশে মাঠে নামেন চেরিশেভ। ৫৯ মিনিটেই গোল করে বুঝিয়ে দেন কোচের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতে শেষ ষোল অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে রাশিয়া। আর ২ ম্যাচে ৩ গোল করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তিনি এখন পর্যন্ত চলতি আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা। তবে সব সময় দলের জয়ে অবদান রাখতে চান তিনি। গত দুই ম্যাচে তা করতে পেরে আনন্দিত চেরিশেভ বলেন, স্রষ্টাকে ধন্যবাদ, আমি দুই ম্যাচে তিন গোল করতে পেরেছি। তবে আমার লক্ষ্য দলকে সাহায্য করা। দলের অন্য খেলোয়াড়রা গোল করলে আমি তাদের জন্যও সমান আনন্দিত হবো। পেশাদার ক্যারিয়ারে বর্তমানে স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়ালে খেলছেন চেরিশেভ। এবারের বিশ্বকাপে রাশিয়া দলে মাত্র দুজন দেশের বাইরের ক্লাবে খেলেন, তাদের মধ্যে চেরিশেভ একজন।