দেশ বিদেশ
নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু সেতুর গাইড বাঁধ
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২০ জুন ২০১৮, বুধবার, ৫:৫১ পূর্বাহ্ন
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তে গ্রাম রক্ষা বাঁধে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গ্রাম রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ি ও বেলটিয়া গ্রামের ১৫-২০টি বাড়ি যমুনা নদীতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট। ভাঙনের ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুর গাইড বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। নদীর পানি বৃদ্ধি, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) গাফলতিকেই এ অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন এলাকাবাসী ।
সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদী তীরবর্তী বঙ্গবন্ধু সেতুর দেড় কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ধ্বসে পড়েছে। কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ি ও বেলটিয়া গ্রামের আকবর আলী আকন্দ, চাঁন মিয়া হাজী, আব্দুল আলী মন্ডল, আব্দুস সালাম, জোনাব আলী তালুকদার, দোকানদার আবুল হোসেন, কোরবান আলী, আকবর সিকদার, আশরাফ আলী, সোলায়মান, শফিক উদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, খালেদ মন্ডলসহ আরো অনেকের বাড়ি-ঘর ও ফসলী জমি নদীগর্ভে চলে বিলীন হয়ে গেছে। তারা অন্যের বাড়িতে এবং খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
বেলটিয়া গ্রামের গৃহবধূ রাশিদা বেগম বলেন, আমাগো পাকা দেয়াল করা ঘর, টিউবওয়েল, টয়লেটসহ সব কিছুই নদীতে চইলা গেছে। এহন অন্যের জায়গায় কষ্ট করে কোন মতে থাকতাছি। বাড়িহারা একই গ্রামের আকবর আলী আকন্দ বলেন, গতবছরও ভাঙ্গনে ম্যালা মাইনসের বাড়ি ঘর নদীতে চইলা গেছে। এবারও বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই তীব্র ভাঙ্গন শুরু হইছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করলে আমাদের রক্ষা নাই।
ভাঙ্গনের শিকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, সেতু এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলন অবৈধ। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এবং বিবিএ'র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বালু উত্তোলন করেন। তাই আমাদের এই অবস্থা। এতে দেশের বৃহত্তর স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতু হুমকির মুখে পড়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, শুকনো মৌসুমে যখন নদীতে পানি কম থাকে, তখন যদি বিবিএ কাজ করতো তাহলে এই ভাঙন হতো না। শতশত মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হতো না।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তবে এই ভাঙনে সেতুর কোন ক্ষতি হবে না। ভাঙ্গন ঠেকাতে সাময়িকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদী তীরবর্তী বঙ্গবন্ধু সেতুর দেড় কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ধ্বসে পড়েছে। কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ি ও বেলটিয়া গ্রামের আকবর আলী আকন্দ, চাঁন মিয়া হাজী, আব্দুল আলী মন্ডল, আব্দুস সালাম, জোনাব আলী তালুকদার, দোকানদার আবুল হোসেন, কোরবান আলী, আকবর সিকদার, আশরাফ আলী, সোলায়মান, শফিক উদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, খালেদ মন্ডলসহ আরো অনেকের বাড়ি-ঘর ও ফসলী জমি নদীগর্ভে চলে বিলীন হয়ে গেছে। তারা অন্যের বাড়িতে এবং খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
বেলটিয়া গ্রামের গৃহবধূ রাশিদা বেগম বলেন, আমাগো পাকা দেয়াল করা ঘর, টিউবওয়েল, টয়লেটসহ সব কিছুই নদীতে চইলা গেছে। এহন অন্যের জায়গায় কষ্ট করে কোন মতে থাকতাছি। বাড়িহারা একই গ্রামের আকবর আলী আকন্দ বলেন, গতবছরও ভাঙ্গনে ম্যালা মাইনসের বাড়ি ঘর নদীতে চইলা গেছে। এবারও বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই তীব্র ভাঙ্গন শুরু হইছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করলে আমাদের রক্ষা নাই।
ভাঙ্গনের শিকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, সেতু এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলন অবৈধ। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এবং বিবিএ'র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বালু উত্তোলন করেন। তাই আমাদের এই অবস্থা। এতে দেশের বৃহত্তর স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতু হুমকির মুখে পড়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, শুকনো মৌসুমে যখন নদীতে পানি কম থাকে, তখন যদি বিবিএ কাজ করতো তাহলে এই ভাঙন হতো না। শতশত মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হতো না।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তবে এই ভাঙনে সেতুর কোন ক্ষতি হবে না। ভাঙ্গন ঠেকাতে সাময়িকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।