প্রথম পাতা
খালেদার চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ কাল
স্টাফ রিপোর্টার
২০ জুন ২০১৮, বুধবার, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আগামী ২১শে জুন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তার সুচিকিৎসার দাবিতে ঢাকাসহ জেলা সদর ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, ঈদের আগে গত ১৪ই জুন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিল জেলা বিএনপি। চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার বিষয়ে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, দেশের সর্বজনপ্রিয় নন্দিত নেত্রী খালেদা জিয়াকে শুধু অন্যায়ভাবে সাজাই দেয়া হয়নি, এখন তার ওপর চলছে নানা কায়দায় অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন। দেশনেত্রীর শারীরিক অসুস্থতার যাতে যথাযথ চিকিৎসা না হয়, তার জন্য সরকার এমন কোনো ফন্দি নেই যা আঁটছে না। চিকিৎসাকে বিলম্বিত করার জন্য মন্ত্রীদের দিয়ে মানুষকে শোনানো হচ্ছে নানা কাহিনী। রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চান এজন্য যে, এর আগে তিনি সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, উন্নতমানের পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি যেগুলোর সুযোগ ইউনাইটেড হাসপাতালে রয়েছে বলেই তিনি সেখানে চিকিৎসা করাতে চান। রোগী সাধারণত আস্থাভাজন চিকিৎসকের কাছেই যেতে চান। রিজভী বলেন, এখন শুধু কারা কর্তৃৃপক্ষ নয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী, সেতু ও যোগাযোগমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা সম্মিলিত কোরাসে এমন কথা বলছেন, যাতে দেশনেত্রীর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হলে তাতে মনে হয় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে। বারবার কারাবিধির কথা তুলে মন্ত্রীরা খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা নেয়া ‘গায়ের জোরে’ আটকাতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, আমি সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- এই মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। ইউনাইটেড হাসপাতালে তার যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে। নইলে রেট ক্লিয়ারিংয়ের জন্য অনেক বেশি ডেমারেজ দিতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নিজ দেশেরই একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চাচ্ছেন। যেখানে তার যথাযথ চিকিৎসা হবে বলে তিনি মনে করেন। আর এই জন্য রাষ্ট্রের কোনো টাকা লাগবে না- তার আত্মীয়স্বজনরাই চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে বলে সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছেন। ১৮৯৪ সালে কারাবিধি যখন তৈরি হয় তখন ইউনাইটেড বা স্কয়ার হাসপাতাল ছিল না। কিন্তু এখন বেসরকারি হাসপাতালে সেবার মান উন্নতমানের বলেই মানুষ সেখানে ভিড় করে। সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকলেও সেবার মান এত নিম্নমানের যে মানুষ জমি-জায়গা বিক্রি করে হলেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। বিদ্যমান কারাবিধিতেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কয়ারের মতো বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।