বাংলারজমিন

বিয়ানীবাজারে জনদুর্ভোগ চরমে

বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি

২০ জুন ২০১৮, বুধবার, ৮:১৮ পূর্বাহ্ন

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর আকস্মিক বন্যায় বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা, কুশিয়ারা এবং সোনাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর ৫টি স্থানে ডাইক ভেঙে হু-হু করে পানি ঢুকছে। বিভাগীয় শহর সিলেটের সঙ্গে বিয়ানীবাজার তথা পূর্বাঞ্চলের ৪টি উপজেলার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজি আরিফুর রহমান জানান, ‘কুশিয়ারা নদীর ৫টি স্থানে ডাইক ভেঙে যাওয়ায় বন্যায় এতবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কুশিয়ারার শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৩ সে.মি. এবং আমলসীদ পয়েন্টে ১৪৫ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিরণ মাহমুদ জানান, ‘উপজেলার কোথাও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়নি। তবে এখানকার প্রায় ৯ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর নিম্নাঞ্চল নিমজ্জিত হওয়ায় প্রায় ৪০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।’ কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘এবার ২৩২৭ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়। এরমধ্যে ৯৪০ হেক্টর আবাদ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।’ সরজমিন দেখা যায়, বন্যার পানির কারণে সিলেট-বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কে ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপজেলার দুবাগ বাজার, মেওয়া পয়েন্ট, কাকরদিয়া এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। এছাড়াও ফুলমলিক, কাদিমলিক, চন্দগ্রাম, রামদা, তাজপুর, আবঙ্গি, টেকইকোনা, শ্রীধরা, কিয়াছারা, গড়রবন্দ, ছোটদেশ, মালারগ্রাম, আঙ্গারজুর, শেওলা, পীরেরচক, মাটিজুরা, চান্দলা, বিবিরাই, বাহাদুরপুর, আলীপুর, মাটিকাটা, খশির কৈবন্দ গ্রামের বেশিরভাগ পরিবারে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।      
এদিকে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি উপজেলার দুবাগ, শেওলা, পৌরসভা, চারখাই এবং মুড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সকল দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম। আর এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। এছাড়াও সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, পৌর মেয়র মো. আব্দুস শুকুর প্রমুখ বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বন্যা দুর্গত এলাকায় বিতরণের জন্য ১৫ টন চাল এবং আরো ৩শ’ প্যাকেট খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পৌর এলাকার শ্রীধরায় তাৎক্ষণিক অস্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status