বাংলারজমিন
শ্রীনগরে মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে স্বামীর লিঙ্গ কর্তন
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৯ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
শ্রীনগরে মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে স্বামীর লিঙ্গ কেটে নিয়েছে এক স্ত্রী। গত শুক্রবার ঈদের রাতে উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত স্বামী ওয়ারিশ ইসলামকে (৪০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে স্ত্রী দোলন আক্তার (৩৫) পুলিশে আত্মসমর্পণ করেন।
শ্রীনগর থানায় স্ত্রী দোলন আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, মা হিসেবে মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচানোর জন্য এর বাইরে তার আর কিছুই করার ছিল না। তিনি জানান, তার স্বামী বাড়ৈখালী বাজারে নাবিল টেইলার্সের মালিক। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এলাকায় নারী লোভী হিসেবে পরিচিত তার স্বামী বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত। একাধিকবার সে পরনারীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে মারধরের স্বীকার হয়েছে। স্ত্রী দোলন বেগম সব কিছু মেনে নিলেও নিজ মেয়ের উপর স্বামীর কুনজর মেনে নিতে পারেননি। এ কারণে বেশ কয়েক বছর আগে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে যান। পরে পারিবারিক মীমাংসার মাধ্যমে স্বামীর সংসারে ফিরে আসেন। কিছুদিন পর ওয়ারিশ তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিলে মেয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। উপায়ান্তর না দেখে দোলন বেগম তড়িঘড়ি পার্শ্ববর্তী উপজেলার এক প্রবাসীর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। তারপরও স্বামীর দৃষ্টি ঠিক না হওয়ায় তিনি স্বামীকে আরেকটি বিয়ে করার পরামর্শ দেন। তিন দিন আগে ঈদ উপলক্ষে মেয়ে বাড়িতে বেড়াতে এলে স্বামী উঠে পড়ে লাগে। বিষয়টি তিনি দেবর ভাসুরদের জানান এবং মেয়েকে জা-এর ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা করেন। এতে স্বামী ওয়ারিশ ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী দোলন আক্তারকে মারধর করে। উপায়ান্তর না দেখে দোলন আক্তার ঈদের দিন সন্ধ্যায় ওয়ারিশকে সেমাইয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। রাত ১২টার দিকে ঘুমানো অবস্থায় ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর লিঙ্গ কেটে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে ওয়ারিশের চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার কওে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর স্ত্রী দোলন বেগম ঘরে ফিরে আসে। সকালে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আলমগীর হোসেন জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীনগর থানায় স্ত্রী দোলন আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, মা হিসেবে মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচানোর জন্য এর বাইরে তার আর কিছুই করার ছিল না। তিনি জানান, তার স্বামী বাড়ৈখালী বাজারে নাবিল টেইলার্সের মালিক। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এলাকায় নারী লোভী হিসেবে পরিচিত তার স্বামী বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত। একাধিকবার সে পরনারীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে মারধরের স্বীকার হয়েছে। স্ত্রী দোলন বেগম সব কিছু মেনে নিলেও নিজ মেয়ের উপর স্বামীর কুনজর মেনে নিতে পারেননি। এ কারণে বেশ কয়েক বছর আগে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে যান। পরে পারিবারিক মীমাংসার মাধ্যমে স্বামীর সংসারে ফিরে আসেন। কিছুদিন পর ওয়ারিশ তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিলে মেয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। উপায়ান্তর না দেখে দোলন বেগম তড়িঘড়ি পার্শ্ববর্তী উপজেলার এক প্রবাসীর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। তারপরও স্বামীর দৃষ্টি ঠিক না হওয়ায় তিনি স্বামীকে আরেকটি বিয়ে করার পরামর্শ দেন। তিন দিন আগে ঈদ উপলক্ষে মেয়ে বাড়িতে বেড়াতে এলে স্বামী উঠে পড়ে লাগে। বিষয়টি তিনি দেবর ভাসুরদের জানান এবং মেয়েকে জা-এর ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা করেন। এতে স্বামী ওয়ারিশ ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী দোলন আক্তারকে মারধর করে। উপায়ান্তর না দেখে দোলন আক্তার ঈদের দিন সন্ধ্যায় ওয়ারিশকে সেমাইয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। রাত ১২টার দিকে ঘুমানো অবস্থায় ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর লিঙ্গ কেটে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে ওয়ারিশের চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার কওে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর স্ত্রী দোলন বেগম ঘরে ফিরে আসে। সকালে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আলমগীর হোসেন জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।