বিশ্বজমিন

আখাউড়া-আগরতলায় রেল সংযোগ প্রকল্পে সমন্বয়হীনতা

মানবজমিন ডেস্ক

১৮ জুন ২০১৮, সোমবার, ১২:৫০ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল সংযোগ প্রকল্পে আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তের কাজে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, এ নিয়ে যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বা হচ্ছে তাতে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে যথাযথ কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয় নি। ফলে এ প্রকল্পের খরচ বাড়তে পারে। দ্য হিন্দুর অনলাইন বিজনেস লাইন এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছে। এতে বলা হয়, ত্রিপুরায় ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীসন বিপ্লব দেব সরকার। তার সরকারকে ভারত ও বাংলাদেশ রেল সংযুক্তি প্রকল্পের আখাউড়া ও আগরতলা সীমান্তের কাজ দেয়া হয়েছে, যেন তারা তা বাস্তবাযন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়র সহযোগিতা নিতে পারে। দুই দেশের মধ্যে রেল সংযোগের জন্য ১৫ কিলোমিটার রেইল লিংকে অর্থায়ন করছে ডেভেলপমেন্ট অব নর্থ-ইস্টার্ন রিজিয়ন (ডিওএনইআর) মন্ত্রণালয়। আর কাজের বাস্তবায়ন করছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়। এই রেল সংযোগ একবার চালু হয়ে গেছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রী ও কার্গো চলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে এই প্রকল্পটি ত্রিপুার জন্য খুবই আকর্ষণীয়। চট্টগ্রাম বন্দর ও বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকেও কার্গোর ট্রান্সশিপমেন্টে সহায়তা করলে এই রেল সংযোগ। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো সমন্বয় না করেই একপেশেভাবে এ কাজের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নির্মিয়মাণ রেলভিত্তিক অবকাঠামোর ডিজাইনের কোনো ক্লু নেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। ফলে প্রাথমিক পর্যায়েই দেখা যাচ্ছে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা কর্তৃপক্ষকে বিবেচনায় আনা হয় নি। একবার যখন এ পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে যাবে তখন তারা তা পাঠিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচলিত একটি সংস্থার কাছে। তারাই এর দায়িত্ব বুঝে বেনে। কিন্তু যথাযথ সফলতা তাতে আসবে না। এখানে উল্লেখ্য, যে সংস্থাকে কাজ দেয়ার কথা রয়েছে তারা কিন্তু পরিকল্পনা অংশ নয়। এ বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হয। তখনকার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখিত একটি আবেদন করেছিলেন। তাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থল সীমান্ত বিষয়ক কর্তৃপক্ষতে কাজের ডিজাইন বা কাজ দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিনি। এরই মধ্যে এই কর্তৃপক্ষ আগরতলায় আধুনিক মানসম্মত একটি চেক পোস্ট বসাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রকল্পের শতকরা ৬০ ভাগ খরচ বহন করবে ভারত। রেল লিংকের শতকরা ৩০ ভাগের শেয়ার রয়েছে তাদের। কার্গো চলাচল ও যাত্রীদের জন্য টার্মিনাল নির্মাণে খবরচ হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া ত্রিপুরায় জমির দামও অনেক বেশি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status