খেলা
রাশিয়া বিশ্বকাপে না থেকেও আছে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। তবে ফুটবলের এ মহাযজ্ঞে অন্যভাবে উপস্থিত রয়েছে লাল সবুজের বাংলাদেশ। রাশিয়ায় এবারের বিশ্বকাপে মাঠে মাতানো খেলোয়াড়দের পরিহিত জার্সিতেও লেখা থাকবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। বিশ্বকাপে অংশ নেয়া বেশ কয়েকটি দেশের অফিসিয়াল জার্সি ও জ্যাকেট তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পোশাক কারখানায় এসব জার্সি তৈরি করা হয়েছে। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা জার্সিতে গায়ে খেলবে ইংল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দল। আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি আর স্পেনের আন্দ্রেস ইনিয়েস্তারা পরবেন ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা জ্যাকেট। এর আগে বৃটিশ দৈনিক দ্যা টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে শ্রমিকদের মজুরি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। চট্টগ্রামের কেইপি জেডের পোশাক কারখানায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের হাতে তৈরি হয়েছে আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, স্বাগতিক রাশিয়ার ফুটবল দলের অফিশিয়াল জ্যাকেট। চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) ইয়াংওয়ান করপোরেশনের জনসংযোগ পরামর্শক নজরুল ইসলাম খোকন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইয়াংওয়ানের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী স্যু ইন্ডাস্ট্রিজ তৈরি করেছে আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, স্বাগতিক রাশিয়া ফুটবল দলের অফিশিয়াল জ্যাকেট। খ্যাতনামা খেলার সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের পক্ষে ইয়াংওয়ান এসব জ্যাকেট বাংলাদেশ থেকে তৈরি করেছে। তিনি জানান, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব পোশাকের শিপমেন্ট হয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে শুরু হয় এ পোশাক তৈরির কাজ। জানা যায়, প্রায় ৮ মাস ধরে চলা এসব পোশাক অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি যেন কোনোভাবেই আগে ফাঁস হয়ে না যায় তার জন্য খুব সতর্কতা অবলম্বন করে প্রতিষ্ঠানটি।
গত সপ্তাহে বৃটিশ দৈনিক দ্যা টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ফুটবল কিটের মূল্য দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল। ভক্ত-সমর্থকদের জন্য দলটির অফিশিয়াল জার্সি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ পাউন্ডে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু বাংলাদেশের সাভার ইপিজেডের যে কারখানায় এসব পোশাক তৈরি করা হয়েছে সেখানকার শ্রমিকরা ঘণ্টায় পেয়েছেন মাত্র ২১ পেনি অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ টাকার কিছু বেশি। বিষয়টি নিয়ে সরব বৃটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরাও। বিষয়টি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন হাউস অব কমন্সের ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্টস কমিটির রক্ষণশীল দলীয় সদস্য সাইমন হার্ট। তিনি বলেন, ‘এমন চুক্তি কীভাবে হয়েছে তা খতিয়ে দেখা উচিত।’ বৃটিশ অপর এমপি জো স্টিভেনস বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখাটা ইংলিশ ফুটবল সংস্থার (এফএ) দায়িত্ব। যদি মানুষকে কর্মক্ষেত্রে শোষণ করে এগুলো বানানো হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আমাদের পক্ষে গর্বিত হওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
গত সপ্তাহে বৃটিশ দৈনিক দ্যা টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ফুটবল কিটের মূল্য দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল। ভক্ত-সমর্থকদের জন্য দলটির অফিশিয়াল জার্সি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ পাউন্ডে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু বাংলাদেশের সাভার ইপিজেডের যে কারখানায় এসব পোশাক তৈরি করা হয়েছে সেখানকার শ্রমিকরা ঘণ্টায় পেয়েছেন মাত্র ২১ পেনি অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ টাকার কিছু বেশি। বিষয়টি নিয়ে সরব বৃটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরাও। বিষয়টি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন হাউস অব কমন্সের ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্টস কমিটির রক্ষণশীল দলীয় সদস্য সাইমন হার্ট। তিনি বলেন, ‘এমন চুক্তি কীভাবে হয়েছে তা খতিয়ে দেখা উচিত।’ বৃটিশ অপর এমপি জো স্টিভেনস বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখাটা ইংলিশ ফুটবল সংস্থার (এফএ) দায়িত্ব। যদি মানুষকে কর্মক্ষেত্রে শোষণ করে এগুলো বানানো হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আমাদের পক্ষে গর্বিত হওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।