এক্সক্লুসিভ

শতভাগ কারখানায় বেতন বোনাস পরিশোধ- বিজিএমইএ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

১৫ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

শতভাগ পোশাক কারখানায় ঈদের বোনাস ও মে মাসের বেতন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। গতকাল আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পোশাক শিল্প খাতের শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের জানা মতে, শতভাগ পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের গত মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দেয়া হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে ও আইসিডি’তে পোশাক কারখানার মালামাল ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বলা হয়। এক্ষেত্রে তৈরি পোশাক কারখানার মালামাল বহনকারী ট্রাকগুলো থেকে বাড়তি টাকা দাবি করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। ঈদের ছুটির বিষয়ে সভাপতি বলেন, এরইমধ্যে ৯০ শতাংশ কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজকের (গতকাল) মধ্যে বাকি কারখানাগুলোতেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরইমধ্যে অনেকেই বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাওয়া এবং বিজিএমইএ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঈদের আগে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এমন ১ হাজার ২২০টি কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৩৫টি কারখানায় বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা হবে বলে শঙ্কা ছিল। কিন্তু ওই কারখানাগুলোর সমস্যাও সমাধান করা হয়েছে।
তিনি জানান, পোশাক শিল্পখাতের জন্য এবারের ঈদ অন্য বছরগুলোর তুলনায় একটু অন্যরকম। ঈদুল ফিতর এমন এক সময়ে উদযাপিত হচ্ছে, যখন ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে এবং ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। একই সঙ্গে নতুন মজুরি ঘোষণার কাজ নিয়ে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড কাজ করছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ব্যাংকে যদি তারল্য সংকট থাকে তাহলে ব্যাংকে আমাদের টাকা থাকার পরও টাকা দিতে পারবে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চেক জমা দেয়ার পরও টাকা পাওয়া যায়নি। আবার দুই একটি কারখানার ক্ষেত্রে ব্যাংকের সহায়তা নিয়ে মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কোনো মালিক ট্রেড ইউনিয়ন করে দেবে না। মালিক ও শ্রমিক উভয়পক্ষ মিলেই ট্রেড ইউনিয়ন তৈরি করবে। তবে ট্রেড ইউনিয়ন থাকলেই সমস্যা সমাধান হয়, এমন না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জটিলতাও তৈরি হয়। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কিছু কিছু কারখানায় বেতন-বোনাস ও ছুটি দেয়ার পরও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হয়।
মে মাসের পুরো বেতন দেয়ার পরও কোনো কোনো কারখানায় জুনের ১০ দিনের বেতনও দেয়া হয়েছে, যাতে কোনো অস্থিরতা তৈরি না হয়। উস্কানি ছিল। কিন্তু তাতে পা দেইনি বিজিএমইএ।
সরকার ও বিভিন্ন পক্ষের কথায় আমরা শ্রমিকের সব চাহিদা পূরণ করলেও ঈদকে ঘিরে আমাদের বিড়ম্বনা বেড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে ও আইসিডিতে আমাদের মাল ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমাদের বলা হয়, ধাপে ধাপে ছুটি দেবেন। বেতন-বোনাস যথা সময়ে দেবেন। কিন্তু আমাদের মালামাল চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এটা খুবই দুঃখজনক।
সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ ব্যবসায়ী জানান, গার্মেন্টস শিল্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য গার্মেন্টস মালিকরা যাতে ঠিক সময়ে ব্যাংকের সহযোগিতা পেতে পারেন, সে ব্যবস্থাই সরকার নিয়েছে। ব্যাংকগুলো এ ব্যাপারে সহায়তা করেছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status