বিশ্বজমিন
যেসব স্থানে হবে ফুটবল মহারণ
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
বছর, মাস গণনার পালা শেষ। এখন শুধু ঘন্টা গণনার পালা। দ্রুত ঘুরে যাচ্ছে ঘড়ির কাঁটা। এরপরই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের মহারণ। সেই মহারণে অংশ নিতে রাশিয়া পৌঁছে গেছে সব দল ও ভক্তরা। আজই বিশ্বকাপ ফুটবলের এই যুদ্ধের উদ্বোধন হচ্ছে লুঝনিকিতে অবস্থিত লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। এটিই এবারের বিশ্বকাপ আসরের সবচেয়ে বড় ভেনু। এর ধারণ ক্ষমতা ৮১০০০। চূড়ান্ত ম্যাচগুলোও হবে এখানে। এ ছাড়া ম্যাচচ হবে রোস্তভ অন ডন স্টেডিয়ামে। ডন নদীর পাড় সরাসরি দেখা যায় এ স্টেডিয়াম। এ ছাড়া আছে ভলগোগ্রাড স্টেডিয়াম। এটি দেখতে মনে হয় যেন কোনো নিপুণ হাতের কারিগরের বোনা একটি ঝুড়ি। ভলগা নদীর পাড়ে অবস্থিত এ স্টেডিয়ামেও বসছে ফুটবল যুদ্ধ। ফুটবল লড়াই হবে মরদোভিয়া এরিনাতে। এটি দেখতে একটি উত্তপ্ত ফোলানো বেলুনের মতো। পাশেই রয়েছে পানির শান্ত ছুটে চলা ্এক ধারা। সোশিতে অবস্থিত ফিশট স্টেডিয়াম। এটি দেখতে তুষার জমে থাকা কোনো পাহাড়ের চূড়ার মতো মনে হতে পারে। তবে কখনো কখনো মনে হতে পারে ভূমিতে অবতরণ করা একটি বিমানের মতো। রয়েছে কাজান। বিশ্বে সববচেয়ে বড় স্ক্রিন রয়েছে এই স্টেডিয়ামে। কালিনিনগ্রাড। এটি এবারকার বিশ্বকাপের সবচেয়ে ছোট ভেনু। এতে আছে ৩৫২১২ টি আসন। স্টেডিয়ামটি ওকতিয়াব্রস্কি দ্বীপে অবস্থিত। আগে এই দ্বীপটি ছিল বিচ্ছিন্ন। এখন সেখানে যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। এ ছাড়া আছে সেন্ট পিটার্সবুর্গ স্টেডিয়াম। মহাকাশ যুগের এই স্টেডিয়ামটি দেখতে একটি ফ্লাইং সসারের মতো। ছাদ এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে অনায়াসে তা খুলে দেয়া যায়। আবার সুইচ টিপ দিলে ঢেকে যায় স্টেডিয়াম। আছে সামারা স্টেডিয়াম। এর ছাড় ৬৫..৫ মিটার উঁচু। ৩২ টি প্যানেলের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এটি। নিঝনি নভগোরোড স্টেডিয়াম। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে এটি কতগুলো থামের ওপর দঁাঁড় হয়ে আছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এতে। বিস্ময়কর এর নির্মাণশৈলী। ইয়েকাতেরিনবার্গ। স্টালিনযুগে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। তা এখনও সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটিই রাশিয়ার সবচেয়ে পূর্বের স্টেডিয়াম।