বাংলারজমিন
কান কাটা মামলায় ৩ আসামি জামিনে এসে তাড়াশে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকির অভিযোগ
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৪ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খড় বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে তিনজন খড় ব্যবসায়ী মিলে ফরিদুল ইসলাম নামের এক কৃষক পাওনাদারের কান কেটে দেয়ার মামলার তিন আসামি জামিনে এসে বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। কান কাটায় গুরুতর অসুস্থ কৃষক ফরিদুল ইসলাম জানান, মামলার আসামিরা গতকাল বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে ওই মামলা তুলে নেয়ার জন্য মামলার বাদী আমার ভাই ফিরোজ হোসেনকে হুমকি দিচ্ছে। তারা বলেছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বেকায়দায় ফেলে তাদের পক্ষে মামলার অব্যাহতি নেয়া হবে এবং মামলা তুলে না নিলে তাদের ওপর আবারো হামলা করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। মামলার বাদী ফিরোজ হোসেন অভিযোগ করে বলেন , গত ১১ই জুন মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি শাহ জামালকে তাড়াশ থানার এসআই নিয়ামুল হক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিনসাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। এরপরই তারা মামলা থেকে বাঁচার জন্য এসআই নিয়ামুল হকের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ এনে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ করেন। মূলত ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি সত্য ঘটনা তদন্ত করে দুর্ধর্ষ আসামিদের গ্রেপ্তার করায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা নির্যাতনের অভিযোগ এনে আমার মামলাটি তুলে নেবার হুমকি ও দেখে নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা বারুহাঁস ইউনিয়নের বিনসাড়া বাজার এলাকায় শিবপুর গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে কৃষক ফরিদুল ইসলাম গত বোরো মৌসুমে বিনসাড়া এলাকার খড় ব্যবসায়ী শাহ জামাল, ইব্রাহিম হোসেন ও আউয়াল আলীর কাছে ২৫ হাজার টাকায় একটি গো-খাদ্য খড়ের পালা বিক্রি করে। এ সময় ওই খড় ব্যবসায়ীরা তাকে বায়না বাবদ ১১ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাজারে নতুন গো- খাদ্য খড় আসায় খড়ের দাম কমে গেলে ওই খড় ব্যবসায়ীরা খড়ের পালা না নিয়ে বায়নার ১১ হাজার টাকা ফেরত চায়। কিন্তু কৃষক ফরিদুল তাদের জানান, তিনি গো-খাদ্য খড় বিক্রি করেছেন এবং সে টাকা খরচ করে ফেলেছেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিত-া হয় এবং ফরিদুল টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। পরে ঘটনার দিন বিকালে কৃষক ফরিদুল বিনসাড়া বাজারে কেনাকাটা করতে আসলে ওই তিন খড় ব্যবসায়ী ফরিদুলকে দেখে ধরে ফেলে এবং একটি ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক মারপিট করেন। এক পর্যায়ে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে ওই কৃষকের কান কেটে দেয়। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মো. ফিরোজ হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। যা পরবর্তী আদালতের আদেশ মোতাবেক তাড়াশ থানার ওসি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন এবং মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।