তারকা সাক্ষাতকার
রাকিটিচ
‘মেসিকে আটকানো অসম্ভব’
স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ জুন ২০১৮, বুধবার, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
এবারের বিশ্বকাপে একই গ্রুপে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। বার্সেলোনা সতীর্থ ইভান রাকিটিচের মুখোমুখি হবেন লিওনেল মেসি। আগামী ২১শে জুন মেসির বিপক্ষে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার রাকিটিচ। তার আগে সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এই প্লে-মেকার। রাকিটিচের কথায়, মেসি একাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন এবং মেসিকে মার্কিং করা অসম্ভব কাজ। বার্সার মাঝমাঠে অপরিহার্য খেলোয়াড় রাকিটিচ। ট্যাকল করে বলের দখল নেয়া, সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করতে পারদর্শী তিনি। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন রাকিটিচ। ২০০৭ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর ৯১ ম্যাচে করেন ১৪ গোল। রাশিয়া বিশ্বকাপ সামনে রেখে মেসিকে নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি ক্রোয়েশিয়ার সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন রাকিটিচ। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: বার্সেলোনায় মেসির সঙ্গে চার বছর খেলেছেন। বিশ্বকাপে তার বিপক্ষে খেলতে হবে। অনুভূতি কেমন?
রাকিটিচ: আমাকে এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে আমি অনুশীলনেও মেসির বিপক্ষে খেলতে চাই না। এই চার বছর তার সঙ্গে খেলেছি। তার বিশ্বমানের স্কিল আমাকে অবাক করেছে। ম্যাচে এটা অনেকবার হয়েছে। তার অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য দেখে শুধু মুগ্ধ হয়ে হেসেছি। বার্সেলোনায় আমরা সবাই জানি মেসি কোন মাপের খেলোয়াড় এবং দলের জন্য কি করতে পারে। যাই হোক, বিশ্বকাপ মঞ্চে তার বিপক্ষে আমাদের খেলার ব্যাপারটি ভিন্ন। ৯০ মিনিট পর্যন্ত আমি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যেন মেসি তার সামর্থ্যরে সেরাটা দিতে না পারে।
প্রশ্ন: আপনি তাকে মার্কিং করবেন?
রাকিটিচ: না, আমার মনে হয় না তাকে কেউ মার্কিং করতে পারবে। যারাই তাকে আটকানোর চেষ্টা করেছে, দিন শেষে অনিবার্যভাবে ব্যর্থই হয়েছে। তাকে অবাধে সহজাত খেলাটা খেলতে দেয়া যাবে না। সুনির্দিষ্ট কিছু জায়গায় তাকে মার্কিং করতে হবে। মেসি যেন বল নিয়ে ছুটতে না পারে সেজন্য আমাদের কোচ নিশ্চয়ই কিছু উপায় বের করবেন। লুকা মদ্রিচ (রিয়াল মাদ্রিদ) আমাদের কিছু ধারণা দিতে পারে। তার মেসির বিপক্ষে খেলার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। এটা আমার জন্য সত্যিই রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ হবে। হাভিয়ের মাশ্চেরানোর (বার্সার সাবেক খেলোয়াড়) বিপক্ষেও খেলতে যাচ্ছি। সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড় এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।’
প্রশ্ন: ক্রোয়েশিয়ার সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
রাকিটিচ: আপনি নিশ্চয়ই নকআউট পর্বে ওঠার সম্ভাবনার কথা বলছেন? শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ২০১৪ বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। ব্রাজিল ও মেক্সিকোর কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছি। কিন্তু ক্যামেরুনের বিপক্ষে জিতেছি। এবারও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এক দল (আর্জেন্টিনা) ও আফ্রিকার এক দলের (নাইজেরিয়া) বিপক্ষে খেলবো। একমাত্র পার্থক্য ইউরোপ থেকে গ্রুপের তৃতীয় প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড। মানুষ বলছে এটা অন্যতম কঠিন গ্রুপ। তারা ঠিকই বলেছে। আর্জেন্টিনা (গতবারের রানার্সআপ) ফেভারিট দলের একটি। তারা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেবে। আমরা যত দূর সম্ভব ভালো খেলার ব্যাপারে আশাবাদী। কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও প্রয়োজন এবং মাঠে শতভাগ প্রচেষ্টা রাখতে হবে।’
প্রশ্ন: ক্রোয়েশিয়া যদি নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ হয় কতদূর যেতে পারবে?
রাকিটিচ: যদি শব্দটা অনেক বড় ব্যাপার! এখানে অনেক বেশি প্রশ্ন ও সম্ভাবনার কথা আসবে। যদি আমরা দ্বিতীয় স্থান বা শীর্ষে থেকে উত্তীর্ণ হই কোন দল আমাদের প্রতিপক্ষ হবে? তাই এসব ব্যাপার নিয়ে এখন কথা না বলাই ভালো। আমাদের তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে। এখন আমরা গ্রুপ পর্বের ম্যাচের দিকেই মনোযোগ দিতে চাই। আসলে আমরা একটি কঠিন গ্রুপে পড়েছি। নকআউট পর্বে যেতে হলে অবশ্যই ভালো খেলতে হবে।
প্রশ্ন: বাছাইপর্বে আপনারা আইসল্যান্ডকে হারিয়েছেন...
রাকিটিচ: হ্যাঁ, আমরা আইসল্যান্ডকে হারিয়েছি। কিন্তু তারাও আমাদের একবার হারিয়েছে। তাই এখন ১-১ সমতা। আমরা ঘরের মাঠের ম্যাচ জিতেছি। বিশ্বকাপে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা। যেকোনো কিছুই হতে পারে। আইসল্যান্ড প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলছে। ২০১৬ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (ইউরো) তাদের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। অভিষেক ইউরোতেই কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে আইসল্যান্ড দেখিয়েছে তারা কি করতে পারে। তাই বিশ্বকাপে কোনো কিছুর নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না।
প্রশ্ন: বার্সেলোনায় মেসির সঙ্গে চার বছর খেলেছেন। বিশ্বকাপে তার বিপক্ষে খেলতে হবে। অনুভূতি কেমন?
রাকিটিচ: আমাকে এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে আমি অনুশীলনেও মেসির বিপক্ষে খেলতে চাই না। এই চার বছর তার সঙ্গে খেলেছি। তার বিশ্বমানের স্কিল আমাকে অবাক করেছে। ম্যাচে এটা অনেকবার হয়েছে। তার অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য দেখে শুধু মুগ্ধ হয়ে হেসেছি। বার্সেলোনায় আমরা সবাই জানি মেসি কোন মাপের খেলোয়াড় এবং দলের জন্য কি করতে পারে। যাই হোক, বিশ্বকাপ মঞ্চে তার বিপক্ষে আমাদের খেলার ব্যাপারটি ভিন্ন। ৯০ মিনিট পর্যন্ত আমি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যেন মেসি তার সামর্থ্যরে সেরাটা দিতে না পারে।
প্রশ্ন: আপনি তাকে মার্কিং করবেন?
রাকিটিচ: না, আমার মনে হয় না তাকে কেউ মার্কিং করতে পারবে। যারাই তাকে আটকানোর চেষ্টা করেছে, দিন শেষে অনিবার্যভাবে ব্যর্থই হয়েছে। তাকে অবাধে সহজাত খেলাটা খেলতে দেয়া যাবে না। সুনির্দিষ্ট কিছু জায়গায় তাকে মার্কিং করতে হবে। মেসি যেন বল নিয়ে ছুটতে না পারে সেজন্য আমাদের কোচ নিশ্চয়ই কিছু উপায় বের করবেন। লুকা মদ্রিচ (রিয়াল মাদ্রিদ) আমাদের কিছু ধারণা দিতে পারে। তার মেসির বিপক্ষে খেলার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। এটা আমার জন্য সত্যিই রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ হবে। হাভিয়ের মাশ্চেরানোর (বার্সার সাবেক খেলোয়াড়) বিপক্ষেও খেলতে যাচ্ছি। সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড় এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।’
প্রশ্ন: ক্রোয়েশিয়ার সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
রাকিটিচ: আপনি নিশ্চয়ই নকআউট পর্বে ওঠার সম্ভাবনার কথা বলছেন? শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ২০১৪ বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। ব্রাজিল ও মেক্সিকোর কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছি। কিন্তু ক্যামেরুনের বিপক্ষে জিতেছি। এবারও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এক দল (আর্জেন্টিনা) ও আফ্রিকার এক দলের (নাইজেরিয়া) বিপক্ষে খেলবো। একমাত্র পার্থক্য ইউরোপ থেকে গ্রুপের তৃতীয় প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড। মানুষ বলছে এটা অন্যতম কঠিন গ্রুপ। তারা ঠিকই বলেছে। আর্জেন্টিনা (গতবারের রানার্সআপ) ফেভারিট দলের একটি। তারা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেবে। আমরা যত দূর সম্ভব ভালো খেলার ব্যাপারে আশাবাদী। কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও প্রয়োজন এবং মাঠে শতভাগ প্রচেষ্টা রাখতে হবে।’
প্রশ্ন: ক্রোয়েশিয়া যদি নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ হয় কতদূর যেতে পারবে?
রাকিটিচ: যদি শব্দটা অনেক বড় ব্যাপার! এখানে অনেক বেশি প্রশ্ন ও সম্ভাবনার কথা আসবে। যদি আমরা দ্বিতীয় স্থান বা শীর্ষে থেকে উত্তীর্ণ হই কোন দল আমাদের প্রতিপক্ষ হবে? তাই এসব ব্যাপার নিয়ে এখন কথা না বলাই ভালো। আমাদের তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে। এখন আমরা গ্রুপ পর্বের ম্যাচের দিকেই মনোযোগ দিতে চাই। আসলে আমরা একটি কঠিন গ্রুপে পড়েছি। নকআউট পর্বে যেতে হলে অবশ্যই ভালো খেলতে হবে।
প্রশ্ন: বাছাইপর্বে আপনারা আইসল্যান্ডকে হারিয়েছেন...
রাকিটিচ: হ্যাঁ, আমরা আইসল্যান্ডকে হারিয়েছি। কিন্তু তারাও আমাদের একবার হারিয়েছে। তাই এখন ১-১ সমতা। আমরা ঘরের মাঠের ম্যাচ জিতেছি। বিশ্বকাপে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা। যেকোনো কিছুই হতে পারে। আইসল্যান্ড প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলছে। ২০১৬ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (ইউরো) তাদের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। অভিষেক ইউরোতেই কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে আইসল্যান্ড দেখিয়েছে তারা কি করতে পারে। তাই বিশ্বকাপে কোনো কিছুর নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না।