দেশ বিদেশ

একমাসের মধ্যেই হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিট- আইজিপি

স্টাফ রিপোর্টার

১৩ জুন ২০১৮, বুধবার, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

কূটনৈতিক জোন গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬ সালের ১লা জুলাই ঘটা ভয়াবহ জঙ্গি হামলার দু’বছর পূর্ণ হবে চলতি জুন পেরুলেই। ওই ঘটনায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। দীর্ঘ তদন্তের পর মাসখানেকের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড মামলার চার্জশিট দেয়া সম্ভব হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, হলি আর্টিজানে অভিযানের সময় হামলাকারীরা নিহত হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে যারা রসদ যুগিয়েছে, মদত দিয়েছে, ঘর ভাড়া দিয়েছে তাদের আমরা শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে কিছু কিছু বন্দুকযুদ্ধে মারাও গেছে। বাকি যারা আছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির বিধান করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন প্রয়োজন। এটি একেবারে শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করি মাসখানেকের মধ্যে হলি আর্টিজান মামলার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করতে পারবো। ২০১৬ সালের ১লা জুলাই রাতে ওই জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। মারা যান দুই পুলিশ কর্মকর্তাও। এ ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, হত্যা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা করে পুলিশ। অবশ্য ইতিপূর্বে হলি আর্টিজান মামলার তদন্তে থাকা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছিলেন। সাংবাদিকরা বিষয়টি উল্লেখ করে জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান বলেন, দেখুন মামলার তদন্ত একটি জটিল প্রক্রিয়া। একটি অভিযোগনামা যখন বিজ্ঞ আদালতে যায় সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কার কার বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ আছে তা প্রমাণ করার জন্য আমাদের মুখের কথায় হয় না। এখানে কিন্তু সারকামসটেন্স এভিডেন্স, আমাদের ফিজিক্যাল এভিডেন্স এবং সায়েন্টিফিক এভিডেন্সসহ সব ধরনের এভিডেন্স দরকার হয়। তিনি আরো বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনা ছিল দেশের বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত। কোনো সাধারণ অপরাধ ছিল না। এ ঘটনার সঙ্গে বহু কর্নার, বহু লোক, বহু উদ্দেশ্য জড়িত ছিল। তাদের প্রত্যেকের অপরাধকে খুঁজে বের করা, প্রত্যেকটা ব্যক্তির স্বার্থ, উদ্দেশ্য এবং তাদের এক্টিভিটিজ কি ছিল তা আলাদা আলাদাভাবে শনাক্ত করা, এরপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করা অনেক কঠিন বিষয়। সেক্ষেত্রে কোনো মামলার তদন্তে হয়তো বেশি সময় লাগে, কোনো মামলার কম সময় লাগে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status