বাংলারজমিন
ধনবাড়ীতে চাঁদার দাবিতে কলেজে তালা
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০১৮, বুধবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে শিক্ষকদের বেতন-বোনাস থেকে চাঁদা দাবি করেন কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল কায়েস মুরাদ। চাঁদা না পেয়ে নিজেই কলেজে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বেতন-ভাতা সিটে স্বাক্ষর না করায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস তুলতে পারছেন না ওই কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ধনবাড়ী পাচপোটল ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের দিলরুবা বেগম এবং জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক কায়সার হোসেন সম্প্রতি প্রভাষকের স্কেল থেকে সহকারী অধ্যাপক স্কেলে উন্নীত হন। কলেজের করণিক গত রোববার বেতন-ভাতা উত্তোলনের জন্য বিল ফরমে সই আনতে গেলে কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি ইমরুল কায়েস মুরাদ ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। শিক্ষক দিলরুবা বেগম ও কায়সার হোসেন অভিযোগ করেন, বেসরকারি কলেজের জনবল কাঠামো অনুযায়ী যথা নিয়মে শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের দু’জনকে সহকারী অধ্যাপক পদে বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস চলতি এমপিও এর সাথে সমন্বয় করে দিয়েছেন। কিন্তু কলেজ সভাপতি তাদের দু’জনের নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় বিলে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়ে দেন। চাঁদা না পেয়ে সভাপতি ইমরুল কায়েস মুরাদ গত রোববার রাতে কলেজে তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভাপতি মুরাদ কয়েকজন মাদকাসক্তকে সাথে নিয়ে রামদা, ছোরা-চাকু ও লাঠিসোটা নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে মহড়া দেন এবং পরে কলেজের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। চাঁদা না পেয়ে সভাপতি সোমবার কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৩টি গাছ কেটে নেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দীকা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। তবে কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কলেজের সভাপতি ইমরুল কায়েস মুরাদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ নানা অনিয়ম করে ওই ২ শিক্ষককে সহকারী অধ্যাপক পদে স্কেল পাইয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি কলেজের বিলে স্বাক্ষর করেননি। চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কলেজে তালা তিনি দেননি, এলাকাবাসী দিয়েছেন।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দীকা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। তবে কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কলেজের সভাপতি ইমরুল কায়েস মুরাদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ নানা অনিয়ম করে ওই ২ শিক্ষককে সহকারী অধ্যাপক পদে স্কেল পাইয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি কলেজের বিলে স্বাক্ষর করেননি। চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কলেজে তালা তিনি দেননি, এলাকাবাসী দিয়েছেন।