বাংলারজমিন
কুলাউড়ায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীর অন্তঃসত্ত্বা নিয়ে তোলপাড়!
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০১৮, বুধবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া উপজেলায় ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার রিপোর্ট নিয়ে তোলপাড় চলছে। মেয়েটির হঠাৎ শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনো পরীক্ষায় শিশুটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হিসেবে রিপোর্ট আসে। এই নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। শিশুটি জয়চন্ডী ইউনিয়নের গৌরিশংকর এলাকার একটি স্কুলের ছাত্রী।
স্থানীয় লোকজন জানান, পাশের বাড়ির এক খালার ঘরে প্রায় দিন টেলিভিশন দেখতে যেত একটি সরকারি বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। এ সুবাধে পরিচয় হয় গৌরীশঙ্কর এলাকার লৈয়ারহাই গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে সামছার ওরফে আজাদ (২৮)’র সঙ্গে। সেই সুযোগে শিশুটিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে আজাদ। এভাবে ২-৪ দিন পরপর কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলত সে। এতে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে কারো কাছে মুখ খুললে শিশুটিকে মেরে ফেলার বলে হুমকি দেয় আজাদ। ভয়ে এই ঘটনা কাউকে বলেনি সে। কিন্তু শারীরিক পরিবর্তনে তার মায়ের সন্দেহ হয়। মেয়ের ভাবী তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে নিশ্চুপ থাকে। বিষয়টি নিয়ে তাকে চাপ দেয় পরিবারের সবাই। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে আজাদ তার সঙ্গে খারাপ কিছু করেছে। কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় ভয়ে সে কাউকে কিছু বলেনি।
পরিবারের লোকজন জানান, তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজ উদ্দিন লবিককে বিষয়টি অবহিত করে। তিনি বিষয়টির কোনো সুরাহা করতে না পেরে তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়। এদিকে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাশবিকতার শিকার ওই মেয়েটি ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী হলেও বাস্তবে সে একজন কিশোরী। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা ওই ছাত্রী ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে ফেল করেছে। বর্তমানে তার বয়স ১৩ বছরের বেশি হবে। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম মুসা জানান, বিষয়টি জেনেছি। ভিকটিমের পরিবারকে আসতে বলেছি। আমরা মামলা নেবো।
স্থানীয় লোকজন জানান, পাশের বাড়ির এক খালার ঘরে প্রায় দিন টেলিভিশন দেখতে যেত একটি সরকারি বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। এ সুবাধে পরিচয় হয় গৌরীশঙ্কর এলাকার লৈয়ারহাই গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে সামছার ওরফে আজাদ (২৮)’র সঙ্গে। সেই সুযোগে শিশুটিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে আজাদ। এভাবে ২-৪ দিন পরপর কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলত সে। এতে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে কারো কাছে মুখ খুললে শিশুটিকে মেরে ফেলার বলে হুমকি দেয় আজাদ। ভয়ে এই ঘটনা কাউকে বলেনি সে। কিন্তু শারীরিক পরিবর্তনে তার মায়ের সন্দেহ হয়। মেয়ের ভাবী তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে নিশ্চুপ থাকে। বিষয়টি নিয়ে তাকে চাপ দেয় পরিবারের সবাই। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে আজাদ তার সঙ্গে খারাপ কিছু করেছে। কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় ভয়ে সে কাউকে কিছু বলেনি।
পরিবারের লোকজন জানান, তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজ উদ্দিন লবিককে বিষয়টি অবহিত করে। তিনি বিষয়টির কোনো সুরাহা করতে না পেরে তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়। এদিকে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাশবিকতার শিকার ওই মেয়েটি ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী হলেও বাস্তবে সে একজন কিশোরী। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা ওই ছাত্রী ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে ফেল করেছে। বর্তমানে তার বয়স ১৩ বছরের বেশি হবে। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম মুসা জানান, বিষয়টি জেনেছি। ভিকটিমের পরিবারকে আসতে বলেছি। আমরা মামলা নেবো।