অনলাইন

শায়েস্তাগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

১২ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ১:২৩ পূর্বাহ্ন

শায়েস্তাঞ্জে (হবিগঞ্জ) জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতারা। তেমনি ব্যবসায়ীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা দেখা গেছে, পাঞ্জাবী ক্রয় করতে ক্রেতাদের ভিড়। ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের পাঞ্জাবী ক্রয় করছেন। ঈদের দিন সকালে শিশুসহ সব বয়সী পুরুষদের পছন্দের পোশাক পাঞ্জাবি। তাই প্রতিবার ঈদে ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবী পাইকারী ক্রয় করে নিয়ে আসেন। এবারের পাঞ্জাবীগুলো নতুন নতুন নকশা ও চলতি ফ্যাশনের নানা ডিজাইনের। এবার ঈদ উদযাপন করতে হবে বৃষ্টি এবং রোদের মিশ্র আবহাওয়ায়। তাই ছোটদের ঈদের পাঞ্জাবিতে উৎসবের ছোঁয়ার পাশাপাশি আরামের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এ বছর ঈদ বর্ষায় হওয়ায় ভ্যাপসা গরম এবং অতিরিক্ত আন্দ্রতার কথা মাথায় রেখে বাজারে পাঞ্জাবি আনা হয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকানে রঙিন পাঞ্জাবিই বেশি। কে আলী প্লাজার আব্দুল কাদির জানান, প্রতি বছর সব ধরণের পাঞ্জাবী বিক্রি করি। তবে শিশুদের পাঞ্জাবী বেশি বিক্রি ক্রয়। অভিভাবকরা ১ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে সব শিশুদের জন্য পাঞ্জাবী ক্রয় করেন। শিশুদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে গাঢ় রঙের পোশাক। তাই লাল, নীল, হলুদ, কমলা, সবুজসহ বিভিন্ন উজ্জ¦ল রঙের পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হচ্ছে। ডিজাইনের ক্ষেত্রে ব্লক, টাইডাই করা পাঞ্জাবি তো আছেই, পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির গলায় আর কাঁধে সুতার বাহারি কাজ রয়েছে। লং কাট পাঞ্জাবি বেশি চললেও পাশাপাশি শর্ট পাঞ্জাবিও অনেকে কিনছেন। বড়দের পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে শিশুদের পাঞ্জাবি তৈরি করা হয়েছে। পাঞ্জাবির সঙ্গে আছে চুড়িদার পায়জামা, আলিগড়ি, কাবলিসহ নানা ধরনের পায়জামা। পাঞ্জাবির সঙ্গে এবার চলছে কটি। সুতি ছাড়াও সিল্ক, জয় সিল্ক পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে। লম্বা ঝুল, দুই পাশে পকেট ছাড়াও পাঞ্জাবির সামনের দিকেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে পকেট। তবে বিভিন্ন কাপড়ের পাঞ্জাবি পাওয়া গেলেও সুতি ও লিনেন পাঞ্জাবি বেশি পছন্দ করছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ভারতীয় বিভিন্ন মডেলের পাঞ্জাবীও এসেছে। ক্রেতারা সুতি কাপড়ে পাতলা পাঞ্জাবীগুলোও পছন্দ করছেন। বড়দের পাঞ্জাবীগুলো ৮শ’ থেকে থেকে শুরু করে ২ হাজার, ৩ হাজার, ৪ হাজার ও ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিশুদের পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে ৬শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে। ছেলেদের পাঞ্জাবির সঙ্গে আলাদা করে পায়জামা বা ধুতি কিনতে চাইলে এর দাম পড়বে ২৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত সব ধরণের কাপড়ই বিক্রি হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দাউদনগর গ্রামের বাসিন্দা তানভীর জানান, ঈদে পাঞ্জাবী না পরলে যেন কিছু ভাল লাগে না। ঈদের দিন পাঞ্জাবী পরলে যেন মনের মধ্যে বাড়তি তৃপ্তি পাই। তাই প্রতি ঈদে পাঞ্জাবী ক্রয় করি। ক্রেতারা জানান, অনেক পরিবারের শিশুদের বায়না থাকে ঈদে তাদের পাঞ্জাবী দিতেই হবে। তাদের বায়না অনুযায়ী অভিভাবকরাও পাঞ্জাবী ক্রয় করে দেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status