এক্সক্লুসিভ
সিলেটে ঈদবাজারে যে আতঙ্ক, অস্বস্তি
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১২ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ঈদবাজারে স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। সিস্টেম লসের দোহাই দিয়ে লোডশেডিং দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে করে ভোগান্তি বেড়েছে। তীব্র গরমেও হাঁসফাঁস অবস্থা ক্রেতাদের। অন্যদিকে রয়েছে ঝাপটা পার্টি, চোরদের উৎপাত। এবার ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য না থাকলেও ঝাপটা ও চোর চক্রকে নিয়ে ঈদবাজারে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। লোডশেডিংয়ের সময়ই সক্রিয় হয়ে উঠে অপরাধীরা। এতো সবের মধ্যে এবারের ঈদবাজারের বিকিকিনি নিয়ে সন্তুষ্ট বিক্রেতারা। তারা বলেন- আগামী দুই দিন একই ভাবে বিক্রি অব্যাহত থাকলে বিক্রেতারা এবার হাসিমুখে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন। সিলেট হচ্ছে প্রবাসী শহর। মার্কেটের শহর। বিপণি বিতানের শহর। ঈদ এলেই সিলেটে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী সিলেটে আসেন। এবারো এসেছেন লন্ডনীরা। তাদের ঘিরেও সরগরম হয়ে উঠেছে ঈদের বাজার। কিন্তু সিলেটের ঈদবাজারে এসে প্রভাব পড়েছে অসহ্য গরম ও তীব্র লোডশেডিংয়ের। বিকিকিনির সময় বাণিজ্যিক এলাকা সিলেটের জিন্দাবাজার, বারুতখানা, জেলরোড, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে করে বিকিকিনির প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের নয়াসড়ক এলাকার কয়েকটি আধুনিক বিপণি বিতানের ব্যবসায়ীরা। সিলেটের অত্যাধুনিক বিপণি বিতান সিলেটের মাহা। বিশেষ করে সব বয়সী নারীদের কাছে আকর্ষণীয় বাণিজ্যিক স্থান এটি। মাহার স্বত্বাধিকারী মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম ঈদবাজারের চলমান বিক্রিতে তিনি খুশি। এবার তিনি ক্রেতাদের পছন্দের কাপড় তুলেছেন মার্কেটে। দামও সহনীয় পর্যায়ে। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা মার্কেটে স্বস্তিতে দাঁড়াতে পারছে না বলে জানান তিনি। ‘ব্যবসার মৌসুমে’ সিলেটে তীব্র লোডশেডিংয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ। তিনি বলেন, ক্রেতারা মার্কেটে এসে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে চান। ব্যবসায়ীরা গোটা বছরই এই দিনের বিক্রির জন্য অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় সিলেটের ঈদবাজার নিয়ে না বিক্রেতা, না ক্রেতা- কেউই খুশি হতে পারছেন না। এবার সিলেটের ঈদবাজার জমেছে ১৫ রমজানের পর থেকে। বিশেষ করে তরুণীরা রেডিমেইড কাপড় ও পছন্দের ড্রেস কিনতে মার্কেটগুলোতে ভিড় করেন। এবার সিলেটের মার্কেটে সব বয়সী ক্রেতাদের পছন্দের কাপড় তোলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আলহামরা শপিং সিটির ব্যবসারীরা। দেশি কাপড়ের পাশাপাশি বিদেশি কাপড়ের কালেকশন ভালো বলেও জানান তারা। এ কারণে মার্কেটগুলোতে এবার ঈদ বিক্রি অনেক আগে থেকেই লেগেছে। একই কথা জানিয়েছেন- সিলেটের সিটি সেন্টার, ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, মিলেনিয়াম, কাকলী, শুকরিয়া, মার্কেটসহ কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা জানিয়েছেন- তারা সহনশীল দামে এবার ঈদ কেনাকাটা করতে পারছেন। তবে এতে বাদ সেধেছে আবহাওয়া।
এবার তীব্র গরম হওয়ার পাশাপাশি ঈদবাজারে চলছে লোডশেডিং। এই লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকেই নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বের হন না। আর বের হলেও ভয়ে থাকেন। এখনো অনেক ক্রেতা মার্কেট ঘুরে দেখছেন। বারুতখানা এলাকা বাসিন্দা নাসিমা বেগম জানিয়েছেন, তারা কেনাকাটা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে কাপড় কিনেছেন। একেক করে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত তারা কেনাকাটা করবেন। এদিকে গেল কয়েক বছরের তোলনায় এবার সিলেটের ঈদবাজারে অনেক বেশি নিরাপত্তা। ছিনতাইকারীরা থাকলেও পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নজরদারির কারণে তেমন বিতর্ক নেই। যে দু-একটি ঘটনা ঘটেছে সেগুলোকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সিলেটের মার্কেটে পুলিশের পোশাকি, সাদা ড্রেসে রয়েছে। এর বাইরে র্যাবের গোয়েন্দা ব্রাঞ্চের টিমও সক্রিয় রয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো. আবদুল ওয়াহাব জানিয়েছেন- সিলেটের ঈদবাজার এবার নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে সিসিটিভি ফুটেজের নজরদারি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি পোশাকি পুলিশের বাইরে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও রয়েছে।
এবার তীব্র গরম হওয়ার পাশাপাশি ঈদবাজারে চলছে লোডশেডিং। এই লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকেই নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বের হন না। আর বের হলেও ভয়ে থাকেন। এখনো অনেক ক্রেতা মার্কেট ঘুরে দেখছেন। বারুতখানা এলাকা বাসিন্দা নাসিমা বেগম জানিয়েছেন, তারা কেনাকাটা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে কাপড় কিনেছেন। একেক করে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত তারা কেনাকাটা করবেন। এদিকে গেল কয়েক বছরের তোলনায় এবার সিলেটের ঈদবাজারে অনেক বেশি নিরাপত্তা। ছিনতাইকারীরা থাকলেও পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নজরদারির কারণে তেমন বিতর্ক নেই। যে দু-একটি ঘটনা ঘটেছে সেগুলোকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সিলেটের মার্কেটে পুলিশের পোশাকি, সাদা ড্রেসে রয়েছে। এর বাইরে র্যাবের গোয়েন্দা ব্রাঞ্চের টিমও সক্রিয় রয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো. আবদুল ওয়াহাব জানিয়েছেন- সিলেটের ঈদবাজার এবার নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে সিসিটিভি ফুটেজের নজরদারি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি পোশাকি পুলিশের বাইরে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও রয়েছে।