অনলাইন
ধর্ষণ শিকার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা
ভূঞাপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি
২৮ মে ২০১৮, সোমবার, ১:২৫ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে বর্তমানে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্থানীয় কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের ৬০ বছরের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আনছের আলী ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন মেয়েটির গির্ভপাত করানোর জন্য মেয়েটিকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর ও নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটি টাঙ্গাইলের মুন নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সরজমিনে জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের এজিপির সাবেক অডিট অফিসার আনছের আলীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতো। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় ওই ছাত্রী পড়াশোনার ফাঁকে আনছের আলীর বাড়িতে কাজ করতো সে। তার স্ত্রী বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে টাকা-পয়সা ও বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ার পরও ভয়-ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। কিছুদিন আগে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে পরিবারের লোকজনের জিজ্ঞসাবাদে সব কিছু খুলে বলে মেয়েটি। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় তার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। বিষয়টি আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন জানার পর মেয়েটির পরিবারকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। এ নিয়ে মেয়েটির বাব মেয়েকে নিয়ে আনছের আলীর বাড়িতে গেলে সে কয়েক দফা তাদের মারধর করে। গর্ভপাত করানোর জন্য মেয়ের পরিবারকে চাপ দিতে থাকে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকালে মেয়েটিকে টাঙ্গাইল মুন নার্সিং হোমে গর্ভপাত করানোর জন্য ভর্তি করা হয়। কিন্তু ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গাইনী ডাক্তার মালেকা শফি মঞ্জু তা করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে ডাঃ মালেকা শফি মঞ্জু বলেন, শনিবার পেটের ব্যাথা নিয়ে ক্লিনিকে আসে। পরীক্ষায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ে। মেয়েটির পরিবার গর্ভপাত করাতে চাইলেও আমি তা করিনি।
মুন নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন কিশোরীটি জানায়, আমাকে টাকা-পয়সা ও বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়েছিল সে। আর বিষয়টি আমি যাতে কাউকে না বলি এ জন্য প্রায়ই আমাকে মারতো।
মেয়ের বাবা জানান, আমার বাচ্চা মেয়েটির যে সর্বনাশ আনছের আলী করেছে আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এবিষয়ে কথা বলতে আনছের আলীর বাড়িতে গেলে তিনি ঢাকায় আছেন বলে জানান এক প্রতিবেশী। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আনছের আলীর ছেলে সুমনের কল করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি অশালীন বাক্য প্রয়োগ করে ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানা অফিসার ইনচার্জ মীর মোসারফ হোসেন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরজমিনে জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে নিকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের এজিপির সাবেক অডিট অফিসার আনছের আলীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতো। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় ওই ছাত্রী পড়াশোনার ফাঁকে আনছের আলীর বাড়িতে কাজ করতো সে। তার স্ত্রী বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে টাকা-পয়সা ও বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ার পরও ভয়-ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। কিছুদিন আগে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে পরিবারের লোকজনের জিজ্ঞসাবাদে সব কিছু খুলে বলে মেয়েটি। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় তার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। বিষয়টি আনছের আলী ও তার ছেলে সুমন জানার পর মেয়েটির পরিবারকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। এ নিয়ে মেয়েটির বাব মেয়েকে নিয়ে আনছের আলীর বাড়িতে গেলে সে কয়েক দফা তাদের মারধর করে। গর্ভপাত করানোর জন্য মেয়ের পরিবারকে চাপ দিতে থাকে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকালে মেয়েটিকে টাঙ্গাইল মুন নার্সিং হোমে গর্ভপাত করানোর জন্য ভর্তি করা হয়। কিন্তু ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গাইনী ডাক্তার মালেকা শফি মঞ্জু তা করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে ডাঃ মালেকা শফি মঞ্জু বলেন, শনিবার পেটের ব্যাথা নিয়ে ক্লিনিকে আসে। পরীক্ষায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ে। মেয়েটির পরিবার গর্ভপাত করাতে চাইলেও আমি তা করিনি।
মুন নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন কিশোরীটি জানায়, আমাকে টাকা-পয়সা ও বিভিন্ন জিনিসপত্রের লোভ দেখিয়েছিল সে। আর বিষয়টি আমি যাতে কাউকে না বলি এ জন্য প্রায়ই আমাকে মারতো।
মেয়ের বাবা জানান, আমার বাচ্চা মেয়েটির যে সর্বনাশ আনছের আলী করেছে আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এবিষয়ে কথা বলতে আনছের আলীর বাড়িতে গেলে তিনি ঢাকায় আছেন বলে জানান এক প্রতিবেশী। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আনছের আলীর ছেলে সুমনের কল করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি অশালীন বাক্য প্রয়োগ করে ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানা অফিসার ইনচার্জ মীর মোসারফ হোসেন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।