ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
রামোসের শাস্তির দাবিতে পিটিশন, ২ লাখ মানুষের স্বাক্ষর
মানবজমিন ডেস্ক
২৮ মে ২০১৮, সোমবার, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
লিভারপুলের প্রাণভোমরা তিনি। সেই মোহাম্মদ সালাহকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে ট্যাকল করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। ফলে খেলার প্রথম দিকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মাঠ ছাড়েন সালাহ। এখন শোনা যাচ্ছে, খোদ মিশরের হয়ে বিশ্বকাপেও খেলা না-ও হতে পারে তার। এ নিয়ে শুধু লিভারপুলের ভক্তরাই নন, অন্যান্য দলের অনেকেও দায়ী করছেন রামোসকে। কেউ কেউ বলছেন, রামোস ইচ্ছে করেই ওই কা- করেছিলেন। এমনই একজন ক্ষুদ্ধ ভক্ত রামোসের শাস্তির দাবিতে অনলাইন পিটিশন খুলেছেন। আর তাতে প্রায় ২ লাখের মতো স্বাক্ষর পড়েছে। প্রতিমুহূর্তে স্বাক্ষরকারীর সংখ্যা বাড়ছে। রিয়াল মাদ্রিদের বাইরে এবারই প্রথম সমালোচনার শিকার হন নি মাঠের ভেতর ও বাইরে আক্রমণাত্মক দেহভঙ্গির জন্য পরিচিত রামোস। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে সালাহকে ট্যাকল করে এখন রীতিমত জনশত্রুতে পরিণত হয়েছেন তিনি। খেলায় শেষ অবদি ৩-১ গোলে জয়ী হয় রিয়াল মাদ্রিদ। রামোসের শাস্তির দাবিতে পিটিশন খোলা হয়েছে চেঞ্জ.অর্গে। এতে ইউএফএ ও ফিফার প্রতি রামোসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। পিটিশন যিনি খুলেছেন, তার ভাষ্য, ‘সার্জিও রামোস ইচ্ছাকৃতভাবে মোহাম্মদ সালাহর হাত নিজের বাহুর নিচে চেপে রেখেছিলেন। ফলে তার কাঁধের স্থানচ্যুতি ঘটেছে। তিনি শুধু ওই খেলাই খেলতে পারেননি তাই নয়। বিশ্বকাপও খেলা হবে না তার।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘ট্যাকল করার পাশাপাশি রামোস এমনভাবে অভিনয় করে গিয়েছিলেন যেন লিভারপুলের খেলোয়াড়রাই তাকে ফাউল করছিল! এ কারণেই বিভ্রান্ত হয়ে রেফারি মানেকে হলুদ কার্ড দেখান যেটি তার প্রাপ্য ছিল না।’ পিটিশনে আরও লেখা হয়, ‘ভবিষ্যত প্রজন্মের ফুটবলারদের কাছে সার্জিও রামোস এক জঘন্য উদাহরণ। ন্যায়সঙ্গতভাবে ম্যাচ জয়ের বদলে তিনি কূটকৌশলের আশ্রয় নেন, যা খেলার চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই ইউএফএ ও ফিফার উচিত রামোস ও তার মতো খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এক্ষেত্রে খেলার ভিডিও রেকর্ডিং ব্যবহার করা যেতে পারে।’ তবে খেলা শেষে রামোস কিছুটা অনুশোচনাও প্রকাশ করেন। টুইটারের মাধ্যমে সালাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠান। এতে তিনি লিখেছেন, ‘মাঝেমাঝে ফুটবল আপনাকে নিজের ভালো দিকটা দেখায়। মাঝেমাঝে খারাপটা। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমরা সবাই খেলোয়াড়। দ্রুত সেরে উঠুন, সালাহ। ভবিষ্যৎ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।’