দেশ বিদেশ
জেএসসি-জেডিসি মানবণ্টনের জন্য আরো চারদিন অপেক্ষা করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ মে ২০১৮, সোমবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এ বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা কমানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসি)। সভায় শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ কমাতে গতকাল বিকালে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে সিলেবাসের মধ্যে গল্প, কবিতা এবং প্রবন্ধের প্রশ্ন কাঠামো চূড়ান্ত করতে কমিটি আগামী বৃহস্পতিবার ফের বৈঠকে বসবে। অর্থাৎ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রায় ৩০ লাখ পরীক্ষার্থীকে আরো চারদিন অপেক্ষা করতে হবে। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসোইন সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জেএসসি ও জেডিসির শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ কমাতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি এসেছে। আর চাপ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা যে পরিমাণে শেখার কথা সেভাবে শিখতে পারছে না। এ কারণে চাপ কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ৩১শে মে বৃহস্পতিবার সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি আরো বলেন, এটা ঠিক যে, এসএসসি ও এইচএসসির মতো অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার রেজাল্ট অন্য কোনো প্রতিযোগিতায় কাউন্ট হচ্ছে না। কিন্তু পরীক্ষা থাকলে শিক্ষার্থীরা কিছু না কিছু পড়াশোনা করে, সে কারণে পরীক্ষা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে কি হবে জানি না, আপাতত এ বছরের পরীক্ষা থেকে কিছু চাপ কমাতে চাই। পরে ক্রমান্বয়ে বছর বছর সিলেবাস পরিবর্তন করে মানসিক চাপ কমিয়ে আনা হবে। গত ৮ই মে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির সভায় বাংলা ও ইংরেজি দুইপত্রের ১৫০ নম্বরে পরিবর্তে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ঐচ্ছিক বিষয় শ্রেণি কক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ণের প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাবের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও একমত পোষণ করেছে। বিতর্ক এড়াতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য গতকাল এনসিসি বৈঠক ডাকা হয়। সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা সচিব উদাহরণ দিয়ে বলেন, যদি সিদ্ধান্ত এমন হয় যে, ১৫০ মার্কের পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীকে ১৫টা প্রশ্ন পড়তে হবে, সেখানে ১০০ মার্কের জন্য পড়তে হবে ১০টি প্রশ্ন। তবে কোন ১০টা পড়বে, সেটা আমরা চিন্তা করছি তিন-চার বছরের প্রশ্ন একসঙ্গে পড়তে হবে। এর বাইরে এ বছর সিলেবাস ঠিক রেখে আগামী বছর থেকে ক্রমান্বয়ে সিলেবাসের কিছু কিছু অংশে পরিবর্তন আনা হবে। মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার মানবণ্টন নির্ধারণ করার দায়িত্ব এনসিটিবির। প্রতিষ্ঠানটির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর মসিউজ্জামান সভা শেষে বলেন, নতুন করে নম্বর বিভাজন করতে হবে। এমসিকিউ আগের মতো ৩০-ই থাকবে। তবে প্রথমপত্রে এমসিকিউ কত থাকবে দ্বিতীয়পত্রে কত থাকবে-এটি রি-সেট করতে হবে। এরপর কোন কোন আইটেমগুলো অ্যাসেসমেন্টে আসবে, কোনটাতে কত নম্বর থাকবে, কবিতায় কত থাকবে-এগুলো রি-ডিজাইন করতে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে। তবে আজকের মিটিং (রোববার) থেকে আরেকটি বিকল্প প্রস্তাব আনতে বলা হয়েছে। আবারো শিক্ষকদের সঙ্গে বসে বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হবে। যা আগামী মিটিং এ চূড়ান্ত করা হবে।