খেলা
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজ
‘দায়িত্বের’ চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত মাহমুদুল্লাহ
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৮ মে ২০১৮, সোমবার, ৯:৫০ পূর্বাহ্ন
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। ভারতে দেরাদুনে যাওয়ার আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন দলের সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান রয়েছেন ভারতে। তিনি হয়তো দলের সঙ্গে সেখানেই যোগ দিবেন। তাকে ছাড়াই জাতীয় দল এতদিন প্রস্তুতি নিয়েছে। শুধু তাই নয় প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর নেই কোনো প্রধান কোচও। শেষ সিরিজের মতো এবারো ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করছেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। তাই বলা চলে বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ ছাড়াই এ সফরের প্রস্তুতি নিয়েছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীমরা। আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটিং কোচ ছাড়া প্রস্তুতির কারণে কতটা চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে দল তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন। মাহমুদুল্লাহকেও মুখোমুখি হতে হলো সেই প্রশ্নের। তবে তিনি জানিয়ে দিলেন এটাই সুযোগ নিজেদের দায়িত্বের চ্যালেঞ্জ প্রমাণ করার। তিনি বলেন, ‘যেদিন আমাদের ক্যাম্প শুরু হয়। সেদিন মাশরাফি ভাই, তামিম, মুশফিক ছিল। এমনকি ব্যাটসম্যান যারা ছিল প্রত্যেকেই কথা বলেছি। আমরা মনে করি এটা আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ। কতটুকু নিজেরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে সামনে এগুতে পারি। যদিও ওয়ালশ আছে, সুজন ভাই আছে। ?উনারা সাহায্য করছেন।’
অবশ্য বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ না থাকলেও ওয়ালশও দারুণ সাহায্য করছেন ব্যাটসম্যানদের। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিষ্যদের ব্যাটিং নিয়েও পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। এছাড়াও দলের ম্যানেজার ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন নিজেও কোচ। তাই খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না দলের। এ বিষয়ে রিয়াদ বলেন, ‘আমি গত পরশু (বৃহস্পতিবার) যখন নেটে ব্যাটিং করছিলাম, অনেক বেশি তাড়াহুড়া করছিলাম। তখন ওয়ালশ এসে আমাকে সাজেশন দিলেন, তুমি তোমার টাইমিংটার উপর আরো একটু ধ্যান দাও। ছোটখাটো এমন উপদেশও দিচ্ছে। ওটা আমার কাজেও লেগেছে। সবাই সাহায্য করছে। এখন এটা আমাদের দায়িত্ব, এই দায়িত্ব নিয়ে আমরা যেন সেরা পারফরম্যান্সটা করতে পারি।’ অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে চান না টাইগারদের সহ-অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি এই জিনিসটা খুব সিম্পলভাবে নেই। র্যাঙ্কিংয়ের কথাই ধরি, র্যাঙ্কিংয়ে ওরা আট নম্বর, আমরা দশ নম্বর। আমি চ্যালেঞ্জটা যেভাবে দেখি, প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আমরা যখন খেলি, ওটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। কিছুদিন আগেও আমাদের সামনে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিল। এখন ওটা আমাদের সামনে থেকে সরে গেছে। ডে বাই ডে আমরা উন্নতি করছি। এই সিরিজটি আরো একটা সুযোগ। এই সিরিজটা জিততে পারলে, পরবর্তী সব সিরিজের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে।’
অন্যদিকে আফগান মিশনের আগে তাদের দুই লেগ স্পিনার এখন টাইগারদের আলোচনার অন্যতম বিষয়। তাদের সামলাতে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা যখন বসে থাকি, তখন বিষয়টা নিয়ে কথা বলি। আলোচনা করি রশিদকে নিয়ে। কারণ আমরা সবাই জানি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রশিদ বিশ্বের সেরা বোলার। অবশ্যই তাকে সমীহ করতে হবে। আমার মনে হয় তাদের শক্তির জায়গাটা বোঝা দরকার, তারা কে কিভাবে ক্রিকেট খেলে। রশিদ অবশ্যই ভালো বোলার। আমাদেরও সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আর সাকিব নেটে রশিদকে খেলেছে, খুব কাছ থেকে রশিদের বলও দেখেছে। ওর কাছ থেকে হয়তো আমরা সাজেশন পাবো। ওর সঙ্গে কথা বললে ওর চিন্তাটা সম্পর্কেও আমরা জানতে পারবো।
প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা থাকলেও নিজেদের বোলিংকেই এগিয়ে রেখেছেন সহ-অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘দুইটা দলের শক্তির জায়গা দুই রকম। যদি পেস আক্রমণ দেখেন, ওদের চেয়ে আমাদের পেস আক্রমণ বেশি সমৃদ্ধ। রুবেল, মোস্তাফিজ অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। তারা জানে কিভাবে চাপ নিতে হয়। এছাড়া তরুণদের মধ্যে রনি, রাহী খুব ভালো বোলার। যদি স্পিনের কথা বলেন, সাকিব বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সেরা। অপু ভালো করছে। ওদের স্পিন যদি দেখেন, রশিদ আছে মুজিব আছে। দুইটা কম্পায়ার করা কঠিন। তারপরও আমি বলবো আমাদের বোলিং আক্রমণটা অনেক সমৃদ্ধ, যদি অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করেন।’ এ সিরিজে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কারণ জিতলেই র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি সম্ভব। নয় তো থাকতে হবে আফগানদের পেছনেই। মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘সিরিজ জেতাটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
অবশ্য বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ না থাকলেও ওয়ালশও দারুণ সাহায্য করছেন ব্যাটসম্যানদের। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিষ্যদের ব্যাটিং নিয়েও পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। এছাড়াও দলের ম্যানেজার ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন নিজেও কোচ। তাই খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না দলের। এ বিষয়ে রিয়াদ বলেন, ‘আমি গত পরশু (বৃহস্পতিবার) যখন নেটে ব্যাটিং করছিলাম, অনেক বেশি তাড়াহুড়া করছিলাম। তখন ওয়ালশ এসে আমাকে সাজেশন দিলেন, তুমি তোমার টাইমিংটার উপর আরো একটু ধ্যান দাও। ছোটখাটো এমন উপদেশও দিচ্ছে। ওটা আমার কাজেও লেগেছে। সবাই সাহায্য করছে। এখন এটা আমাদের দায়িত্ব, এই দায়িত্ব নিয়ে আমরা যেন সেরা পারফরম্যান্সটা করতে পারি।’ অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে চান না টাইগারদের সহ-অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি এই জিনিসটা খুব সিম্পলভাবে নেই। র্যাঙ্কিংয়ের কথাই ধরি, র্যাঙ্কিংয়ে ওরা আট নম্বর, আমরা দশ নম্বর। আমি চ্যালেঞ্জটা যেভাবে দেখি, প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আমরা যখন খেলি, ওটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। কিছুদিন আগেও আমাদের সামনে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিল। এখন ওটা আমাদের সামনে থেকে সরে গেছে। ডে বাই ডে আমরা উন্নতি করছি। এই সিরিজটি আরো একটা সুযোগ। এই সিরিজটা জিততে পারলে, পরবর্তী সব সিরিজের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে।’
অন্যদিকে আফগান মিশনের আগে তাদের দুই লেগ স্পিনার এখন টাইগারদের আলোচনার অন্যতম বিষয়। তাদের সামলাতে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা যখন বসে থাকি, তখন বিষয়টা নিয়ে কথা বলি। আলোচনা করি রশিদকে নিয়ে। কারণ আমরা সবাই জানি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রশিদ বিশ্বের সেরা বোলার। অবশ্যই তাকে সমীহ করতে হবে। আমার মনে হয় তাদের শক্তির জায়গাটা বোঝা দরকার, তারা কে কিভাবে ক্রিকেট খেলে। রশিদ অবশ্যই ভালো বোলার। আমাদেরও সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আর সাকিব নেটে রশিদকে খেলেছে, খুব কাছ থেকে রশিদের বলও দেখেছে। ওর কাছ থেকে হয়তো আমরা সাজেশন পাবো। ওর সঙ্গে কথা বললে ওর চিন্তাটা সম্পর্কেও আমরা জানতে পারবো।
প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তা থাকলেও নিজেদের বোলিংকেই এগিয়ে রেখেছেন সহ-অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘দুইটা দলের শক্তির জায়গা দুই রকম। যদি পেস আক্রমণ দেখেন, ওদের চেয়ে আমাদের পেস আক্রমণ বেশি সমৃদ্ধ। রুবেল, মোস্তাফিজ অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। তারা জানে কিভাবে চাপ নিতে হয়। এছাড়া তরুণদের মধ্যে রনি, রাহী খুব ভালো বোলার। যদি স্পিনের কথা বলেন, সাকিব বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সেরা। অপু ভালো করছে। ওদের স্পিন যদি দেখেন, রশিদ আছে মুজিব আছে। দুইটা কম্পায়ার করা কঠিন। তারপরও আমি বলবো আমাদের বোলিং আক্রমণটা অনেক সমৃদ্ধ, যদি অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করেন।’ এ সিরিজে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কারণ জিতলেই র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি সম্ভব। নয় তো থাকতে হবে আফগানদের পেছনেই। মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘সিরিজ জেতাটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’