বাংলারজমিন
শায়েস্তাগঞ্জে সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ
শাহ মোস্তফা কামাল, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে
২৮ মে ২০১৮, সোমবার, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা বাজার দেউন্দি চা ফ্যাক্টরি পর্যন্ত এলজিইডি সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারর অভিযোগ উঠেছে। পূর্বে এ সড়কটি নির্মাণ কাজ ভাল হলেও বর্তমানে সড়কে ছোট ছোট গর্ত হওয়ায় হবিগঞ্জে এলজিইডির অধীনে কাজ চলছে। বেশকিছুদিন ধরে এসড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে স্বপ্ন পূরণ হলেও ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে শুরু করছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী অভিযোগ সূত্রে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় চুনারুঘাটের শানখলা দেউন্দি চা ফ্যাক্টরি পর্যন্ত হবিগঞ্জ এলজিইডির অধীনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩ কিলো ৭শ ফুট পাকাসড়ক (১কোটি ২ লাখ) টাকার সংস্কার কাজ চলছে। শিডিউল না মেনে পূর্বের রাস্তা খুঁড়ে ঐ সব পাথর ও ইটের খোয়ার মাধ্যমে ডাস্ট দিয়ে সড়ক সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ত্বরিত গতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (আউয়াল এন্টার প্রাইজ) কর্ণধার আমিনুল ইসলাম চকদার। সরজমিনে গিয়ে সংস্কারাধীন সড়ক ঘুরে শানখলা ও পাইকপাড়া ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রকাশ্যে নিম্নমানের কাজের মাধ্যমে চলছে পুকুরচুরি শানখলা এলাকাবাসী মোঃ আব্দু গফুর, আব্দুল আউয়াল, সুহেল মিয়া, হেলাল মিয়াসহ এলাকার শ্রমিক নেতা খালেদ তরফদার অভিযোগ করে বলেন চুনারুঘাট উপজেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিবকে অবগত করলে ও তিনি কোনো সড়ক নির্মাণ কাজের তদারকিতে নেই। তদারকি করছেন এসও আনিসুর রহমান কিন্তু সরজমিনে গিয়ে কাউকে পাউয়া যায়নি। ঠিকাদাররা এ সুযোগ পেয়ে শানখলা-দেউন্দি চা ফ্যাক্টরি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে। এ সড়কে নিম্নমানের কাজ করায় হবিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আবুজাকের কে অবগত করলে তিনি সড়কে না এসে প্রতিনিধি পার্টিয়ে নিম্নমাণের সড়ক নির্মাণ হচ্ছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখছেন এবং বলেন যদি নিম্ন মানের কাজ তারা করে তাহলে তার আইনানোগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এ বলে স্থানীয় লোকজনকে আশ্বাস দেন। সড়কের কাজকে উপলক্ষ করে লুটপাটের ফাঁদ তৈরি করে সরকারি টাকার ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাহার কোন কর্ণপাত করে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠন। হবিগঞ্জ জেলার চুনারোঘাট উপজেলার শানখলা ও দেউন্দি সড়কে ৩ কিলো ৭শ মিটার এলজিডি রাস্তা সংস্কার কাজে অনিয়ম। এলাকার সচেতন মহলের ক্ষোভ প্রকাশ এবং নিম্ন মানের কাজ হওয়ায় সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে টিকাদারি প্রতিষ্ঠান (আউয়াল কনস্ট্রাকশন) এর মালিক মো. আমিনুল হোসেন চকদার বলেন আমি শিডিউ মেনে মাল মেটারিয়ালস দিয়ে কাজ করাচ্ছি। কবির নামের একজন লেভার (সাব কন্ট্রাক) ১৩ টাকা প্রতি বর্গ ফুট হিসাবে কাজ করছে। তবে আমার মাল মেটিরিয়ালস সঠিক। কিন্তু এলাকার লোকজনের দাবি এই রাস্তায় নিম্নমানের কাজ হচ্ছে তাই আমরা বর্তমানে চুনারুঘাট উপজেলার নির্বাহীর নির্দেশে কাজ বন্দ রাকার কথা থাকলে ও তার অগচরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে লেভার কবির মিয়া ও তার কামলারা। চুনারুঘাট উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার সাকিব বলেন আমি বাহিরে আছি ঐ খানে যাব পরে।