বাংলারজমিন
লোহাগড়ায় ২ পুলিশ অফিসার ক্লোজড
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
২৮ মে ২০১৮, সোমবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
লোহাগড়ায় মাদকের নামে আটক বাণিজ্যের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড হয়েছে। তারা হলেন লোহাগড়া থানার এএসআই মো. ইসমাঈল হোসেন ও এএসআই সুজন ফকির। শনিবার রাতে লোহাগড়া থানা থেকে তাদের ক্লোজ করে নড়াইল পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম, ওই দুই পুলিশ অফিসারকে ক্লোজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়পুর গ্রামের আবু সাইদ বাবুলের ছেলে আবু নাইম আকাশকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। বিক্রি করতে এগুলো নাইম কাছে রেখেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোহাগড়ার জয়পুর পরশমণি শ্মশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবু নাইমের মা রেকসোনা পারভীন বলেন, নাইমের সাথে তার এক বন্ধু গল্প করছিল। এ সময় দু’জনকে ওই দুই পুলিশ অফিসার ধরে থানায় নিয়ে যায়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নাইমের বন্ধুকে থানা থেকে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু নাইমকে ছেড়ে দিবে বলে চার হাজার টাকা নিয়েও তাকে ছাড়েনি। টাকা দাবি করেছিল আরো বেশি। পরে ফোনে এএসআই সুজন ফকিরের সঙ্গে কথা হয়। সুজন ফকির আমাকে বলেছেন ‘চার হাজার টাকা দেওয়ায় ১০ পিস ইয়াবার মামলা হয়েছে, টাকা না দিলে ৫২ পিস ইয়াবার মামলা হতো।’ এসব বিষয় আমি নড়াইলের পুলিশ সুপারকে জানাই। তারপর ওই দুই পুলিশ অফিসার টাকা ফেরত দিতে আমার বাড়িতেও গিয়েছিল। আমাকে না পেয়ে ফিরে গেছে।
রেকসোনা পারভীন আরো বলেন, নাইম মাদকের সঙ্গে জড়িত না। সে ঢাকায় পড়াশোনা করে। কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছে। আমরা গরিব মানুষ। আমার একমাত্র সন্তান নাইমের জীবন পুলিশ শেষ করে দিলো। নাইমের প্রতিবেশি ও স্থানীয় লোকজন জানান, নাইম মাদকের সঙ্গে জড়িত তা কখনো শোনা যায়নি। ওইদিন একইসঙ্গে নাইমসহ দু’জনকে পুলিশ ধরে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এএসআই সুজন ফকির ও এএসআই ইসমাঈল হোসেন অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
আবু নাইমের মা রেকসোনা পারভীন বলেন, নাইমের সাথে তার এক বন্ধু গল্প করছিল। এ সময় দু’জনকে ওই দুই পুলিশ অফিসার ধরে থানায় নিয়ে যায়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নাইমের বন্ধুকে থানা থেকে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু নাইমকে ছেড়ে দিবে বলে চার হাজার টাকা নিয়েও তাকে ছাড়েনি। টাকা দাবি করেছিল আরো বেশি। পরে ফোনে এএসআই সুজন ফকিরের সঙ্গে কথা হয়। সুজন ফকির আমাকে বলেছেন ‘চার হাজার টাকা দেওয়ায় ১০ পিস ইয়াবার মামলা হয়েছে, টাকা না দিলে ৫২ পিস ইয়াবার মামলা হতো।’ এসব বিষয় আমি নড়াইলের পুলিশ সুপারকে জানাই। তারপর ওই দুই পুলিশ অফিসার টাকা ফেরত দিতে আমার বাড়িতেও গিয়েছিল। আমাকে না পেয়ে ফিরে গেছে।
রেকসোনা পারভীন আরো বলেন, নাইম মাদকের সঙ্গে জড়িত না। সে ঢাকায় পড়াশোনা করে। কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছে। আমরা গরিব মানুষ। আমার একমাত্র সন্তান নাইমের জীবন পুলিশ শেষ করে দিলো। নাইমের প্রতিবেশি ও স্থানীয় লোকজন জানান, নাইম মাদকের সঙ্গে জড়িত তা কখনো শোনা যায়নি। ওইদিন একইসঙ্গে নাইমসহ দু’জনকে পুলিশ ধরে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এএসআই সুজন ফকির ও এএসআই ইসমাঈল হোসেন অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।