ধুনটে ছাত্রলীগ নেতার মুচলেকা দিয়ে মুক্তি

বগুড়ার ধুনটে এক বিধবার ঘরবাড়ি ভাঙচুরের পর উচ্ছেদের অভিযোগে সম্রাট হোসেন নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের পর মুচলেকা দিয়ে মুক্তি দিয়েছে পুলিশ। আটক ওই ছাত্রলীগ নেতা গোসাইবাড়ী গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে এবং গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। শনিবার বিকালে উপজেলার গোসাইবাড়ী বাজার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটকের পর রাত ৯টায় মুচলেকা লিখে নিয়ে মুক্তি দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোসাইবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাকা সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় যমুনা ভাঙনে নিঃস্ব হোসনে আরা পারভিন নামের এক বিধবা তার তিন কন্যা সন্তান নিয়ে প্রায় ১৫ বছর যাবৎ ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। তবে, হোসনে আরা পারভিনের বাড়ির পাশেই এলাকার প্রভাবশালী গফুর ভাটের ছেলে বাদশাহ্‌ মিয়ার জমি রয়েছে। কিন্তু বাদশা মিয়া ওই জমি নিজের দাবি করে দীর্ঘদিন যাবৎ হোসনে আরা পারভিনের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।
বিধবা হোসনে আরা পারভিন সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার রাতে বাদশাহ মিয়া ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ্‌ স্বপন ও গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সম্‌্রাট হোসেনসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী নিয়ে তার বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে জিনিসপত্র লুটপাট করে। এ ঘটনায় হোসনে আরা পারভীন ওই রাতেই ধুনট থানায় একটি অভিযোগ দেয়। শনিবার বিকালে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সম্রাটকে আটক করে। পরে রাত ৯টায় ধুনট থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি দেয়া হয়।
তবে, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ্‌ স্বপন তার বিরুদ্ধে বিধবার ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় তিনি এবং তার কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. এরফান বলেন, বিধবার ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল।
প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মুচলেকা লিখে নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।