বিশ্বজমিন

যে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন মমতা

মানবজমিন ডেস্ক

২৭ মে ২০১৮, রবিবার, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সঙ্গে আলোচনার পর একে ইতিবাচক বলে আখ্যায়িত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অঘোষিতভাবে তিনি এড়িয়ে গেছেন তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে আলোচনা। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তার কাছে প্রশ্ন করলে তিনি তা কৌশলে এড়িয়ে যান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এশিয়ান এইজ। এতে বলা হয়, পানি বন্টন নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে নানা রকম পূর্বাভাস ছিল। এ নিয়ে মমতার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, আলোচনায় কি পানি বন্টন চুক্তি এসেছিল কিনা। কিন্তু মমতা এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেন নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দু’দিনের ভারত সফরে অবস্থান করেন আলিপুরেএকটি হোটেলে। সেখানেই শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতার প্রায় এক ঘন্টা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। শনিবার সন্ধ্যায় ওই হোটেলে উপস্থিত হন মমতা। বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এশিয়ান এইজ লিখেছে, এরপর দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয় রুদ্ধদ্বার। এরপরই ওই রাতে দেশে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বৈঠক ইতিবাচক ছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। যেহেতু আমরা একই সম্পর্ক, সংস্কৃতি ও রীতি চর্চা করি তাই অনেক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে। কথা হয়েছে বাণিজ্য সম্পর্ককে উন্নত করা নিয়ে। এসব সম্পর্ক উন্নত হলে উভয় পক্ষই সুবিধা পাবে। মমতা বলেন, যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ একই অবস্থানে (সেম পেইজে) আছে তাই কোনো রাজনীতি বা ভৌগোলিক সীমারেখা কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারবে না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের বর্ণনা দিয়ে মমতা বলেন, আমরা একজন অন্যজনকে ভালবাসি। ২৫ বছরের বেশি সময় আমি হাসিনাজি, রেহানাজি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জানি। আমরা চাই তারা আবার এখানে আসুন। এ সময় মমতা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন, তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে পশ্চিমবঙ্গে বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার আগ্রহী তিনি। মমতার ভাষায়, তিনি বলেছেন তার পিতা এখানকার শেক্সপিয়ার সরণিতে অবস্থান করতেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর নামে ওই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার অনুরোধ করেছেন এবং আমরা তা করবো। বর্তমানে ওই বাড়িটি শ্রী অরবিন্দ আশ্রম। বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিলে আমরা সেখানেই জাদুঘর নির্মাণ করবো। কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটি থেকে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি দেয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। মমতা বলেন, দু’দেশই সহমর্মিতাপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে। আমরা প্রতিটি ইস্যুতে একে অন্যের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status