প্রথম পাতা

এমপি বদির বেয়াইর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

‘বন্দুকযুদ্ধ’ অব্যাহত নিহত আরো ১১

বাংলারজমিন ডেস্ক

২৬ মে ২০১৮, শনিবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চলমান সাঁড়াশি অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। গতকাল এতে আরো অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য ইয়াবার টাকার ভাগাভাগি নিজেদের মধ্যকার বন্দুকযুদ্ধে কক্সবাজারে আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এর মধ্যে টেকনাফের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বেয়াই আকতার কামালও রয়েছেন। তিনি টেকনাফের সাবরাংয়ের ইউপি সদস্য ছিলেন। এ নিয়ে গতকাল একদিনে মারা গেছে ১১ জন। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৮ জনের মধ্যে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ১, নেত্রকোনায় ২, শেরপুর, গাইবান্ধা, কুমিল্লা, কালীগঞ্জ ও ময়ময়নসিংহে একজন করে মারা গেছে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য চলতি মাসের ৪ঠা মে থেকে এই সংখ্যা আরো বেশি। এদিকে গতকাল মধ্যরাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কামরুল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

কক্সবাজারে বদির বিয়াইসহ নিহত ৩: আমাদের কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার জানান, কক্সবাজারে পৃথক কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ তিন ইয়াবা ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। গতকাল শুক্রবার ভোরে মেরিনড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর ২ নম্বর ব্রিজ এলাকা থেকে আকতার কামাল (৪১) নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আকতার কামাল উখিয়া টেকনাফের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগদলীয় এমপি আব্দুর রহমান বদির বড় বোন শামসুন্নাহারের দেবর এবং টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য।

মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, ভোরে দরিয়ানগর ব্রিজ এলাকায় গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ টহলে যায়। একপর্যায়ে সেখানে সড়কের পাশে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায়।
লাশের পাশে এক হাজার পিস ইয়াবা, ১টি এলজি ও ৪ রাউন্ড গুলি পড়ে ছিল। পরে স্থানীয়রা এসে লাশটি এমপি বদির বেয়াই আকতার কামালের বলে সনাক্ত করেন। এই পুলিশ কর্মকর্তার ধারণা, প্রতিপক্ষের মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে আকতার কামালের মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ইয়াবা, বন্দুক ও গুলিগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। আখতার কামাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবার গডফাদার বলেও জানান পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে দশটার দিকে মহেশখালীতেও একই কায়দায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে বলা হয়েছে। এঘটনায় মোস্তাক আহমদ (৩৫) নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মুন্সীরডেইল পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোস্তাক বড় মহেশখালী ইউনিয়নের আনোয়ার পাশার ছেলে ও এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী মোস্তাকের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। এসময় সেখান থেকে দেশি চারটি বন্দুক এবং সাত রাউন্ড গুলি ও ৩০ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। নিহত মোস্তাকের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।

বৃহসপতিবার ভোরে কক্সবাজার শহরের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন কাটাপাহাড় এলাকা থেকে মো. হাসান (৩৫) নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার কাছে ইয়াবা ও অস্ত্র পাওয়া যায়। তিনি কলাতলী উত্তর আদর্শগ্রাম এলাকার মৃত খুইল্যা মিয়ার ছেলে।

পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহসপতিবার ভোর পাঁচটার দিকে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে বাইপাস সড়কের উত্তরপাশের কাটাপাহাড় এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। লাশের পাশে পড়েছিল এক হাজার ইয়াবা ও একটি দেশি অস্ত্র।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ইয়াবার টাকা ভাগাভাগি করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে জড়ায়। নিহতের শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

হাসানের বড় ভাই শহর মুল্লুক বলেন, গত মঙ্গলবার সেহেরি খাওয়ার সময় বাড়ি থেকে সাদা পোশাকধারী কিছু লোক হাসানকে তুলে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের মর্গে তার গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পান তিনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন শহর মুল্লুক।

নেত্রকোনায় নিহত ২: নেত্রকোনা সদরের মদনপুর ইউনিয়নের মনাং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত পরিচয় দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশের এসআই জলিল, এএসআই জাকির ও কনস্টেবল ওয়াহিদ আহত হন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই ইউনিয়নের মনাং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৭০৫ গ্রাম হেরোইন, ৩ হাজার ৫ পিস ইয়াবা, ২টি পাইপগান উদ্ধার করে পুলিশ। নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বোরহান উদ্দিন খান জানান, মাদক বেচাকেনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ এক সদস্য আহত হয়। এসময় দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  
শেরপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত: শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আজাদ মিয়া ওরফে কালু ডাকাত (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়সংলগ্ন ঘুঘুরাকান্দি সড়কের সাতপাকিয়া নামক স্থানে ওই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। ওই সময় এক এসআইসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। নিহত আজাদ ওরফে কালু সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের মরাকান্দি খাসপাড়া গ্রামের মৃত মনতাজ আলীর ছেলে। শুক্রবার সকালে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত আজাদ একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের ২১টি মামলা রয়েছে। আহত এসআই আব্দুল ওয়াদুদ এবং পুলিশ কনস্টেবল গোলাম মোস্তফা ও সাইফুল ইসলামকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার সাতপাকিয়া গ্রামে মাদক উদ্ধারে অভিযানে যায়। ওই সময় সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে আজাদ ওরফে কালু ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। ওই সময় সন্ত্রাসীদের আঘাতে এক এসআই-সহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

এদিকে, নিহত কালুর স্ত্রী শিউলী বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ তাকে (আজাদ) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলেছে। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কালুকে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়। ডিবি পুলিশের নামে তাকে ডেকে আনার পর আমরা দুপুরের দিকে ডিবি অফিসে গেলে সেখানে তাকে নেয়া হয়নি বলে জানানো হয়। পরে সদর থানায় খোজ নিতে গেলে তারাও নাই বলে জানান।’  

গাইবান্ধায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদক সম্রাট নিহত : গাইবান্ধায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জুয়েল নামের এক মাদক সম্রাট নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাটে গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়ী জুয়েল শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ ও বিক্রি করতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার গভীর রাতে জুয়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে গেলে তার লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশ পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। পরে সেখান থেকে মাদক ব্যবসায়ী জুলেলকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। নিহত জুয়েলের বিরুদ্ধে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে।

কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১: কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে কামাল হোসেন ওরফে ফেন্সি কামাল  নামে ১২ মামলার আসামি তালিকাভুক্ত এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী মহিষমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল হোসেন জেলার আদর্শ সদর উপজেলার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধার করতে জেলার বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার এবং ডিবির ওসি নাছির উদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে ডিবি ও থানা পুলিশের দুটি টিম বৃহস্পতিবার রাতে বুড়িচং উপজেলার মহিষমারা এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সি কামাল (৫১) ও তার সহযোগীরা ওই এলাকা দিয়ে মাদক পাচারকালে পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা চালায়। ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য ৩৪ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গুলিবিনিময়ের সময় মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সি কামাল গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই অভিযানের সময় ডিবির এসআই নন্দন চন্দ্র সরকার, এএসআই মাহাবুল হোসেন ও কনস্টেবল সুমন মিয়া আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আদর্শ সদর উপজেলার ছাওয়ালপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে হানিফ (৪২) ও চান্দিনা উপজেলার কোরপাই গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে ইলিয়াস (২৮) নামের ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাইপগান, ১ রাউন্ড কার্তুজ ও ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিহত মাদক ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বুড়িচং ও কোতোয়ালি মডেল থানায় ১২টি মাদকের মামলা রয়েছে।

কালীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী নিহত: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে শামীম সরদার ওরফে ঢাকালে মামুন (৪৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সে উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মনি শিকদারের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার ওয়াপদা নামক স্থানে গোলাগুলিতে শামীম নিহত হন। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে থানায় ৯টি মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৪৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। ঘটনার সময় পুলিশের একজন এসআই, একজন এএসআই, দুজন কনস্টেবলসহ মোট ৪ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান খান জানান, কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ওয়াপদা রোডের একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের মধ্যে মাদক বিক্রির গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গুলি বিনিময়ের পর একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহফুজুল আলম সোহাগ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার নাম শামীম শিকদার বলে পুলিশ জানতে পারে। উল্লেখ্য, গত রোববার র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সব্দুল ইসলাম মণ্ডল নিহত হয়। এ ঘটনার ৪ দিন পর পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে আরেক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হলো।
ময়মনসিংহে নিহত ১: ময়মনসিংহ নগরীতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজন (৩০) নামে এক মাদক ?ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২৪) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে নগরীর পুরোহিতপাড়া রেলওয়ে কোলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান ও কনস্টেবল কাওসার। তারা জেলা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত ডিবি পুলিশ আশিকুর রহমান জানান, রাতে ওই এলাকায় মাদক বেচাকেনা করছে মাদক ব্যবসায়ী আলালসহ মাদক বিক্রেতারা। এমন গোপন খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে রাজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাজনের বিরুদ্ধে থানায় আট থেকে নয়টি মাদক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থলে থেকে ৪শ পিস ইয়াবা, একটি চাইনিজ কোড়াল জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status