বাংলারজমিন
উপকূলের গ্রামে গ্রামে ইফতার
এম সাইদ খোকন, আমতলী (বরগুনা) থেকে
২৬ মে ২০১৮, শনিবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
আমতলীসহ দক্ষিণ জনপদে রোজা এবং ইফতারকেন্দ্রিক মুসলমানদের মধ্যে একটা আমেজ কাজ করে। রোজা শুরুর আগের মাস থেকেই আমেজটা টের পাওয়া যায়। শিশু-কিশোরের পাশাপাশি বড়দের মধ্যেও সমান দেখা যায় আমেজের উপস্থিতি। ঘর, উঠান পরিষ্কার, পুরনো কাপড় ধোয়া এবং পরিপাটি করে ঘর সাজানোর কাজে উঠেপড়ে লাগে গ্রামের মহিলারা। সারা মাসের ইফতারে যে পরিমাণ মুড়ি দরকার সেই পরিমাণ মুড়ি নিজেরাই হতে ভেজে প্রস্তুত রাখার কাজও শিডিউলের শীর্ষে থাকে। রোজা এবং ইফতার সংস্কৃতি মুসলিম বিশ্বে হাজার বছরের পুরনো। রোজাদারদের একসঙ্গে বসে ইফতার করার রেওয়ায়েত প্রচলিত রাসুল (স.)-এর যুগ থেকেই। সেই আদর্শ দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মুসলমান সমাজ এই সংস্কৃতিকে তাদের আত্মার সঙ্গে একাকার করে পালন করার চেষ্টা করে। সৌহার্দ্য সমপ্রীতি তৈরির পথ খুলে দেয় একসঙ্গে বসে ইফতার করার মাধ্যমে। অপরদিকে একজন রোজাদারকে ইফতার করানোর মধ্যদিয়ে পূর্ণ আরো একটি রোজার সওয়াব পাওয়া যায়। ধর্মীয় এই অনুভূতি থেকেও সমবেত ইফতার এবং ইফতার বিনিময় মুসলমান সমাজে প্রচলিত। রমজানের শুরুতেই গ্রামের মসজিদগুলোতে সংস্কার করে নতুন রূপ দেয়া হয়। যেসব এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই সে সব এলাকায় রমজান শুরু থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। ফ্যান ঘুরানো হয়। তারাবি এবং ইতেকাফের সময় মুসল্লিরা যাতে ভালোভাবে ইবাদত করতে পারেন সে জন্যই এ আয়োজন করা হয়।
রোজা এবং ইফতারের এই সংস্কৃতি আবহমান কাল ধরে বাঙালি মুসলমান সমাজকে ঐক্যের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে আসছে। দক্ষিণ জন পদের মানুষের মধ্যে এই ইফতার আমেজ এখনো চলমান আছে।
রোজা এবং ইফতারের এই সংস্কৃতি আবহমান কাল ধরে বাঙালি মুসলমান সমাজকে ঐক্যের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে আসছে। দক্ষিণ জন পদের মানুষের মধ্যে এই ইফতার আমেজ এখনো চলমান আছে।