বাংলারজমিন
অভিমানী ছেলের অপেক্ষায় ৭ বছর
সাইফুল ইসলাম সানি, সখীপুর (টাঙ্গাইল) থেকে
২৬ মে ২০১৮, শনিবার, ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রায় ৭ বছর ধরে অভিমানী এক ছেলের অপেক্ষায় পথ চেয়ে রয়েছে এক বৃদ্ধ দম্পতি। এ দম্পতির বাড়ি সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সখীপুর প্রেস ক্লাবের পাশেই বেদনা কাতর বাবা কানাই লাল চন্দ্র শীলের হেয়ার ড্রেসারের দোকান। কাজের ফাঁক পেলেই প্রেস ক্লাবে ছুটে আসেন। সবকটি পত্রিকার পাতায় পাতায় হাত বুলাতে থাকেন আর বিস্ময় চোখে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন- ‘আজ কি আমার ছেলের ছবিটা কোনো পত্রিকায় ছেপেছে?’
২০১১ সালের ৩০শে অক্টোবর রাতে একমাত্র ছেলে সত্য চন্দ্র শীল (২৩) বাবার সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। প্রায় সাত বছর ধরে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা-মা দু’জনেই এখন প্রায় নির্বাক অসহায়। জানা যায়, ২০১১ সালের অক্টোবরে কানাই লাল চন্দ্র শীলের মা ননী বালা মারা যান। তাকে দাহন শেষে রাতে পরিবারের লোকজন নিয়ে পুকুরে স্নান করতে যান তিনি। ওই সময় ভাগিনা বিশ্বজিতের ছেলের সঙ্গে ছেলে সত্য চন্দ্রের ঝগড়া বাধে। ওই সময় দু’জনকেই ধমক দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান কানাই লাল চন্দ্র শীল। সে রাতে ছেলে তাৎক্ষণিক ভাগিনার ব্যাপারে বাবার কাছে বিচার চায়। অন্যথায় ত্যাজ্য করে দেন বলে কান্না-কাটি শুরু করে। কানাই লালের একদিকে মা হারানোর শোক; অন্যদিকে এমন বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি। পরের দিন বিচারের আশ্বাস দিলেও তাতে ছেলের মন গলেনি। সে রাতেই অভিমান করে চলে গেছে ছেলেটি তার। আর ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজেও তার সন্ধান মেলেনি আজও। সে সময় ওই ছেলে স্থানীয় সরকারি মুজিব কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। অভাবের সংসারে অনেক কষ্ট করে তাকে পড়ালেখা করালেও ভাগ্য বিড়ম্বনায় আজ ছেলেটিকে হারিয়ে ফেলেছি বলেই কেঁদে ফেলেন কানাই লাল। কানাই লালের স্ত্রী চায়না রাণীর শারীরিক অবস্থাও বেশি ভালো না। সেও পুত্রের চিন্তায় শয্যাশায়ী। এ ব্যাপারে তিনি ২০১১ সালের ১২ই নভেম্বর সখীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। ডায়েরি নম্বর-৪৬২। সন্তান হারানোর বেদনায় বাবা-মার কান্নাও যেন ফুরিয়ে এসেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে চোখের পানি। নীরব যন্ত্রণা ক্রমশ তাদের বোবা করে দিচ্ছে। অভিমানী এই ছেলের অপেক্ষা কবে শেষ হবে জানা নেই তাদের। তবে মান ভেঙে ছেলে একদিন ফিরবেই; এ বিশ্বাসই যেন বাবা কানাই লাল চন্দ্র শীল আর মা চায়না রাণীকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
২০১১ সালের ৩০শে অক্টোবর রাতে একমাত্র ছেলে সত্য চন্দ্র শীল (২৩) বাবার সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। প্রায় সাত বছর ধরে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা-মা দু’জনেই এখন প্রায় নির্বাক অসহায়। জানা যায়, ২০১১ সালের অক্টোবরে কানাই লাল চন্দ্র শীলের মা ননী বালা মারা যান। তাকে দাহন শেষে রাতে পরিবারের লোকজন নিয়ে পুকুরে স্নান করতে যান তিনি। ওই সময় ভাগিনা বিশ্বজিতের ছেলের সঙ্গে ছেলে সত্য চন্দ্রের ঝগড়া বাধে। ওই সময় দু’জনকেই ধমক দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান কানাই লাল চন্দ্র শীল। সে রাতে ছেলে তাৎক্ষণিক ভাগিনার ব্যাপারে বাবার কাছে বিচার চায়। অন্যথায় ত্যাজ্য করে দেন বলে কান্না-কাটি শুরু করে। কানাই লালের একদিকে মা হারানোর শোক; অন্যদিকে এমন বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি। পরের দিন বিচারের আশ্বাস দিলেও তাতে ছেলের মন গলেনি। সে রাতেই অভিমান করে চলে গেছে ছেলেটি তার। আর ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজেও তার সন্ধান মেলেনি আজও। সে সময় ওই ছেলে স্থানীয় সরকারি মুজিব কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। অভাবের সংসারে অনেক কষ্ট করে তাকে পড়ালেখা করালেও ভাগ্য বিড়ম্বনায় আজ ছেলেটিকে হারিয়ে ফেলেছি বলেই কেঁদে ফেলেন কানাই লাল। কানাই লালের স্ত্রী চায়না রাণীর শারীরিক অবস্থাও বেশি ভালো না। সেও পুত্রের চিন্তায় শয্যাশায়ী। এ ব্যাপারে তিনি ২০১১ সালের ১২ই নভেম্বর সখীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। ডায়েরি নম্বর-৪৬২। সন্তান হারানোর বেদনায় বাবা-মার কান্নাও যেন ফুরিয়ে এসেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে চোখের পানি। নীরব যন্ত্রণা ক্রমশ তাদের বোবা করে দিচ্ছে। অভিমানী এই ছেলের অপেক্ষা কবে শেষ হবে জানা নেই তাদের। তবে মান ভেঙে ছেলে একদিন ফিরবেই; এ বিশ্বাসই যেন বাবা কানাই লাল চন্দ্র শীল আর মা চায়না রাণীকে বাঁচিয়ে রেখেছে।