এক্সক্লুসিভ

খুলনার মতো গাজীপুরে নির্বাচন করতে পারবে না

স্টাফ রিপোর্টার

২৬ মে ২০১৮, শনিবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো গাজীপুরে সরকার একই রকম নির্বাচন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব এর আয়োজনে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে এই সরকারের নীল নকশা আপনারা খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে দেখেছেন। খুলনায় তারা দলীয় ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করেছে। এখন গাজীপুরের নির্বাচন নিয়েও তারা একই নীল নকশা করছে। এমপি-মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য সংসদে নির্বাচনী আইন সংশোধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ধরনের আইন তৈরি করা হয়েছে যেন বিএনপি গাজীপুর নির্বাচন থেকে সরে আসে। কিন্তু আমাদের সরানো যাবে না। শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকব। খুলনায় যা করেছে হাজীপুরে আওয়ামী লীগ তা করতে পারবে না। কারণ, গাজীপুর আর খুলনার মানুষ এক নয়। খুলনার অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে সরকারের কূটকৌশল প্রতিহত করার জন্য আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে মাঠে থাকব। তিনি বলেন, এই সরকারের পতনই হবে আমাদের আগামী আন্দোলনের প্রধান ইস্যু। আদালত দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। মুক্তি হবে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে। সময়ই বলে দেবে সেই আন্দোলন কী ধরনের হবে। নরম আন্দোলন হবে না গরম আন্দোলন হবে।
তিনি বলেন, সারা দেশে এখন মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ সবাই জানে এদেশে মাদকের মূল হোতা কারা। আন্তর্জাতিকভাবে কারা মাদক ব্যবসা করে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় সরকার দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীর ছত্রচ্ছায়া ছাড়া কোনো মানুষ মাদক ব্যবসা করতে পারে না। কোন এমপি, কোন মন্ত্রী মাদক ব্যবসা করে জনগণ সব জানে। একই সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া কেউ মাদক ব্যবসা করতে পারে না- সেটাও জানে। অথচ তাদের গ্রেপ্তার করছে না সরকার। তারা গ্রেপ্তার করে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করছে সাধারণ মাদক বহনকরী লোকটিকে। কারণ, তাদের জিজ্ঞেস করলে নেতাদের নাম বলবে। এর বাইরে তাদের হত্যা করার আরেকটি কারণ   হলো নির্বাচনের বছরে মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়ানো। যেন মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস না পায়। মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন। বারবার যান, কয়েকবার ভিজিট করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মরা-বাঁচার সমস্যা হলো তিস্তার পানি। সেই পানি নিয়ে কোনো আলোচনা বিষয়বস্তুতেই আনতে পারেন না। কোনো দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পানি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। এজন্য মানুষের আশঙ্কা হচ্ছে ভারত গিয়ে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মতো কোনো ষড়যন্ত্র করছেন কি না। এবার যদি তিনি তিস্তার পানিচুক্তি নিয়ে ভালো কোনো খবর আনতে পারেন, তাহলে মনে করবেন আপনার সফর যৌক্তিক। না হলে মানুষের আশঙ্কাই বাস্তবায়িত হবে। তবে জাতীয়তাবাদী শক্তি এই ষড়যন্ত্রকে ভয় পায় না। এদেশের জনগণ আগামী দিনে আপনাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াবে। বিএনপি তাদের পাশে থাকবে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, ড্যাব সভাপতি আজিজুল ইসলাম, ড্যাবের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল শাখার সহসভাপতি খায়রুল ইসলাম, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status