বিশ্বজমিন
বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বোকা বানালেন ‘ভুয়া কলার’
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ মে ২০১৮, শুক্রবার, ১:০৭ পূর্বাহ্ন
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী সেজে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তাকে রীতিমত বোকা বানিয়ে ছাড়লেন এক রাশিয়ান ‘প্রাংকস্টার’। সত্যি সত্যি আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভেবে ওই ভুয়া কলারের সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সহ স্বরচিত কবিতা নিয়েও আলাপ করেন। তাদের মধ্যে হওয়া ১৮ মিনিটের ফোনালাপে বরিস জনসন রাশিয়া, ইরান পারমাণবিক চুক্তি ও সিরিয়া যুদ্ধের মতো গুরুতর বিষয়ে আলাপ করেন। এই ফোনালাপের অডিও ইউটিউবে ফাঁস করে দিয়েছেন রাশিয়ার দুই প্রাংকস্টার ভোভান ও লেক্সাস। তাদের টুইটার পেইজেও ওই অডিও আপলোড করা হয়। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আর্মেনিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নিকল পাশিনয়ান সেজে কল দেওয়া ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, তিনি শিগগিরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ¬াদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ সময় সম্প্রতি বৃটেনে নির্বাসিত সাবেক এক রাশিয়ান গুপ্তচর ও তার মেয়ের ওপর রাসায়নিক হামলার প্রসঙ্গ টেনে ওই ব্যক্তি কৌতুক করার ছলে বলেন, ‘আশা করি সে আমাকে রাসায়নিক দিয়ে বিষপ্রয়োগ করবে না।’ প্রত্যুত্তরে ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা বরিস জনসনকে হাসতে শোনা যায়।
ফোনালাপের এক পর্যায়ে বরিস বলেন, তিনি খুব শিগগিরই আর্মেনিয়ায় যেতে চান। তারা রাশিয়া ও দেশটির উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ নিয়েও কথা বলেন।
তবে বিতর্ক বরিস জনসনের জন্য নতুন কোনো বিষয় নয়। ২০১৬ সালে বৃটেনের ইইউ সদস্যপদ নিয়ে অনুষ্ঠিত গণভোটে তিনি ইইউ থেকে প্রস্থানের পক্ষে অবস্থান নেন। এক প্রচারণা সভায় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অ্যাডলফ হিটলার ও নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করেন। ২০১৬ সালেই বরিস জনসন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানকে নিয়ে একটি বিতর্কিত কবিতা লেখেন।
জনসনের সঙ্গে ফোনালাপে ওই রাশিয়ান প্রাংকস্টার তাকে ওই কবিতার জন্য অভিনন্দন জানান। এ সময় উত্তরে ধন্যবাদসূচক মন্তব্য করেন জনসন। এরপর বরিস জনসন আলাপ শেষ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনও ওই প্রাংকস্টার কথা বলে যেতে থাকে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বোঝা যায় জনসন ওই ফোন কেটে দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝতে পেরেছিলেন এটি ভুয়া কল ছিল। তাই তিনি কল কেটে দিয়েছেন। আমরা পরে যাচাই করে সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারি এটি ছিল ভুয়া কল।’
খবরে বলা হয়, বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আর্মেনিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নিকল পাশিনয়ান সেজে কল দেওয়া ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, তিনি শিগগিরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ¬াদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ সময় সম্প্রতি বৃটেনে নির্বাসিত সাবেক এক রাশিয়ান গুপ্তচর ও তার মেয়ের ওপর রাসায়নিক হামলার প্রসঙ্গ টেনে ওই ব্যক্তি কৌতুক করার ছলে বলেন, ‘আশা করি সে আমাকে রাসায়নিক দিয়ে বিষপ্রয়োগ করবে না।’ প্রত্যুত্তরে ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা বরিস জনসনকে হাসতে শোনা যায়।
ফোনালাপের এক পর্যায়ে বরিস বলেন, তিনি খুব শিগগিরই আর্মেনিয়ায় যেতে চান। তারা রাশিয়া ও দেশটির উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ নিয়েও কথা বলেন।
তবে বিতর্ক বরিস জনসনের জন্য নতুন কোনো বিষয় নয়। ২০১৬ সালে বৃটেনের ইইউ সদস্যপদ নিয়ে অনুষ্ঠিত গণভোটে তিনি ইইউ থেকে প্রস্থানের পক্ষে অবস্থান নেন। এক প্রচারণা সভায় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অ্যাডলফ হিটলার ও নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করেন। ২০১৬ সালেই বরিস জনসন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানকে নিয়ে একটি বিতর্কিত কবিতা লেখেন।
জনসনের সঙ্গে ফোনালাপে ওই রাশিয়ান প্রাংকস্টার তাকে ওই কবিতার জন্য অভিনন্দন জানান। এ সময় উত্তরে ধন্যবাদসূচক মন্তব্য করেন জনসন। এরপর বরিস জনসন আলাপ শেষ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনও ওই প্রাংকস্টার কথা বলে যেতে থাকে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বোঝা যায় জনসন ওই ফোন কেটে দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝতে পেরেছিলেন এটি ভুয়া কল ছিল। তাই তিনি কল কেটে দিয়েছেন। আমরা পরে যাচাই করে সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারি এটি ছিল ভুয়া কল।’